লাইফস্টাইল ডেস্ক:
শীতে মূলত শিশুরা নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ঠাণ্ডা, কাশি, সর্দি এবং অ্যাজমায় বেশি আক্রান্ত হয়। আর সঙ্গে সিজোনাল জ্বর তো রয়েছেই। সাধারণত পুষ্টিহীনতায় ভোগা, কম ওজনের শিশুরাই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।
সতর্কতা
• শিশুকে নিয়মিত হাত ধোয়ায় অভ্যাস করান
• খাবার তৈরির সময় ডায়াপার পরিবর্তন ও নাকের সর্দি মোছার হাত পরিষ্কার করুন
• শিশুকে শেখাতে হবে যে সে যেন তার চোখ ও নাকে হাত না দেয়। বাচ্চা যখন চোখ ও নাকে হাত দেয় তখন তার হাত থেকে জীবাণু শরীরে ঢুকে যায়
• আপনার শিশু যদি জ্বর, বমি, ডায়রিয়া ও চোখের সংক্রমণে আক্রান্ত হয় তবে তাকে আশেপাশের বাচ্চাদের সংস্পর্শে যাওয়া থেকে বিরত রাখুন
• শিশু অসুস্থ হলে মায়ের বুকের দুধ দিতে হবে এবং নিয়মিত খাবার খাওয়াতে হবে
• সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হলে হাঁচি দেওয়ার সময় বা নাকের পানি মুছতে রুমাল বা টিস্যু পেপার ব্যবহার করুন
• লক্ষ্য রাখতে হবে যেন তার ঠাণ্ডা না লাগে
• তাদের ধুলাবালি থেকেও দূরে রাখতে হবে।
চিকিৎসা
নিউমোনিয়া প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত করা গেলে ১৫ দিনের চিকিৎসায়ই শিশু ভালো
হয়ে যায়। আর ভাইরাস জনিত জ্বরও ৩ থেকে ৫ দিনেই সেরে যায়। শিশুকে জন্মের পর
থেকে সবগুলো টিকা দিন। টিকার পাশাপাশি ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলও খাওয়াতে হবে।
সবগুলো টিকা নিয়মিত দিলে শিশু বিভিন্ন মারাত্বক রোগ থেকে রক্ষা পায় এবং তার
মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
শিশু একটানা তিন দিনের বেশি অসুস্থ থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।