ঢাকা ০২:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীত-গ্রীষ্মে সানস্ক্রিন

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ

সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি বা আলট্রাভায়োলেট রে আমাদের ত্বকের নানা সমস্যার কারণ। শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা-ঋতু যাই হোক না কেন, সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি সব ঋতুতেই ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।

এই ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সব সময় রোদে যাওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় পূর্বে সানস্ক্রিন ব্যবহার করাটা নিরাপদ। অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায় খুব দ্রুত। এছাড়া মেছতা, ফ্রিকেলসসহ বিভিন্ন পিগমেনটারি ডিজঅর্ডার দেখা দেয়। তাছাড়া অতিরিক্ত সূর্য রশ্মির প্রভাবে ত্বকের ক্যান্সার হওয়ারও ঝুঁকি থাকে। তাই প্রতিদিনের প্রসাধনী সামগ্রীর মধ্যে অন্যতম প্রয়োজনীয় প্রসাধনী হওয়া উচিত সানস্ক্রিন। সানস্ক্রিন ব্যবহারের সময় সান প্রটেকশন ফ্যাক্টর বা এসপিএফ দেখে ব্যবহার করা উচিত।

সাধারণত এসপিএফ ১৫ কিংবা ৩০ মানের সানস্ক্রিনগুলো প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য উপযোগী। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অয়েল বেসড সানস্ক্রিনের পরিবর্তে ওয়াটার বেসড সানস্ক্রিন ব্যবহার করাই উত্তম। যে সানস্ক্রিনে যত বেশি এসপিএফ থাকে তাতে তত বেশি সান প্রটেকশন দেওয়ার ক্ষমতা বেশি থাকে।

রোদে যাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পূর্বে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। এতে সানস্ক্রিন ত্বকের সাথে ভালো ভাবে মিশে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির রাসায়নিক উপাদান থেকে ত্বককে রক্ষা করে। প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।

মেঘলা বা কুয়াশাচ্ছন্ন দিনেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি। শুষ্ক ও স্বাভাবিক ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজারযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া ঠোঁটের জন্য সানস্ক্রিন যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো।

লেখক: চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে সাবেক মন্ত্রীর কায়কোবাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের করার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি

শীত-গ্রীষ্মে সানস্ক্রিন

আপডেট সময় ০৭:৩২:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০১৯
লাইফস্টাইল ডেস্কঃ

সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি বা আলট্রাভায়োলেট রে আমাদের ত্বকের নানা সমস্যার কারণ। শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা-ঋতু যাই হোক না কেন, সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি সব ঋতুতেই ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।

এই ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সব সময় রোদে যাওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় পূর্বে সানস্ক্রিন ব্যবহার করাটা নিরাপদ। অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায় খুব দ্রুত। এছাড়া মেছতা, ফ্রিকেলসসহ বিভিন্ন পিগমেনটারি ডিজঅর্ডার দেখা দেয়। তাছাড়া অতিরিক্ত সূর্য রশ্মির প্রভাবে ত্বকের ক্যান্সার হওয়ারও ঝুঁকি থাকে। তাই প্রতিদিনের প্রসাধনী সামগ্রীর মধ্যে অন্যতম প্রয়োজনীয় প্রসাধনী হওয়া উচিত সানস্ক্রিন। সানস্ক্রিন ব্যবহারের সময় সান প্রটেকশন ফ্যাক্টর বা এসপিএফ দেখে ব্যবহার করা উচিত।

সাধারণত এসপিএফ ১৫ কিংবা ৩০ মানের সানস্ক্রিনগুলো প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য উপযোগী। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অয়েল বেসড সানস্ক্রিনের পরিবর্তে ওয়াটার বেসড সানস্ক্রিন ব্যবহার করাই উত্তম। যে সানস্ক্রিনে যত বেশি এসপিএফ থাকে তাতে তত বেশি সান প্রটেকশন দেওয়ার ক্ষমতা বেশি থাকে।

রোদে যাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পূর্বে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। এতে সানস্ক্রিন ত্বকের সাথে ভালো ভাবে মিশে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির রাসায়নিক উপাদান থেকে ত্বককে রক্ষা করে। প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।

মেঘলা বা কুয়াশাচ্ছন্ন দিনেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি। শুষ্ক ও স্বাভাবিক ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজারযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া ঠোঁটের জন্য সানস্ক্রিন যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো।

লেখক: চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ