ঢাকা ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুধু দেশে নয় রায়ে আগ্রহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও, যেভাবে আদালতে যাচ্ছেন খালেদা

জাতীয় ডেস্কঃ

দীর্ঘ ১০ বছরের আইনি প্রক্রিয়া শেষে টানটান উত্তেজনার মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে আজ বৃহস্পতিবার। কী হবে! কার পক্ষে যাবে রায়? সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সত্যিই কি সাজা হবে? সাজা হলে, তার ধরন কী হতে পারে? এমন সব প্রশ্ন নিয়েই জাতি তাকিয়ে আছে খালেদার রায়ের দিকে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রধান আসামি; তাই এ রায়ে আগ্রহ শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও। তিনি দণ্ডিত হবেন, না খালাস পাবেন- এ আলোচনা সর্বত্র। সবার দৃষ্টি আদালতে।

তবে রায় শুনতে মামলার প্রধান আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সকাল ১০টার দিকে বকশীবাজারে স্থাপিত ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে যাচ্ছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আজ সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালতের উদ্দেশে বের হবেন খালেদা জিয়া। এদিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করবেন।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ম্যাডামের নিরাপত্তায় নিয়োজিতরা সিদ্ধান্ত দেবেন, খালেদা জিয়া কোন পথে আদালতে যাবেন।

এদিকে গুলশান কার্যালয় সূত্র জানায়, অন্যদিনের মতো খালেদা জিয়া যে পথে যেতেন আজও সে পথেই যাবেন। এক্ষেত্রে গুলশান-১, গুলশান-২, নাবিস্কো মোড়, মগবাজার হয়ে আদালতে যেতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

এদিকে রায়ের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই টানটান উত্তেজনা জনমনে। সময় ঘনিয়ে আসতেই সেই উত্তেজনার পারদ যেন ঊর্ধ্বমুখী। রায়কে ঘিরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি মুখোমুখি অবস্থানে। রাজনীতির মাঠে রায় নিয়ে আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে জাতীয় নির্বাচনও। নির্বাচনে খালেদা জিয়াকে অযোগ্য ঘোষণা করতেই সরকার এ মামলায় বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে, এমন অভিযোগ বিএনপির নেতাকর্মীদের।

অন্যদিকে সরকারি দল আওয়ামী লীগ বলছে, খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি বিশেষ রাজনীতি করতে চাইছে।

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এ রায়কে কেন্দ্র করে এখন উত্তেজনা মিডিয়াপাড়াতেও। রায়ের খবরেই মিডিয়ায় চলছে শত আয়োজন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও ঝড় বইছে রায় নিয়ে। রায়ের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সমর্থকরা তর্কেও শামিল হচ্ছেন।

২০০৮ সালের ৩ জুলাই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলার ১০ বছর পর আজ রায় ঘোষণা করা হচ্ছে। সাবেক কোনো প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা বিচারের রায় দেশে এটিই প্রথম।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীর বাড়ি ঘরে হামলা, নারীসহ আহত ৩

শুধু দেশে নয় রায়ে আগ্রহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও, যেভাবে আদালতে যাচ্ছেন খালেদা

আপডেট সময় ০৮:০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
জাতীয় ডেস্কঃ

দীর্ঘ ১০ বছরের আইনি প্রক্রিয়া শেষে টানটান উত্তেজনার মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে আজ বৃহস্পতিবার। কী হবে! কার পক্ষে যাবে রায়? সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সত্যিই কি সাজা হবে? সাজা হলে, তার ধরন কী হতে পারে? এমন সব প্রশ্ন নিয়েই জাতি তাকিয়ে আছে খালেদার রায়ের দিকে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রধান আসামি; তাই এ রায়ে আগ্রহ শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও। তিনি দণ্ডিত হবেন, না খালাস পাবেন- এ আলোচনা সর্বত্র। সবার দৃষ্টি আদালতে।

তবে রায় শুনতে মামলার প্রধান আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সকাল ১০টার দিকে বকশীবাজারে স্থাপিত ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে যাচ্ছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আজ সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালতের উদ্দেশে বের হবেন খালেদা জিয়া। এদিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করবেন।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ম্যাডামের নিরাপত্তায় নিয়োজিতরা সিদ্ধান্ত দেবেন, খালেদা জিয়া কোন পথে আদালতে যাবেন।

এদিকে গুলশান কার্যালয় সূত্র জানায়, অন্যদিনের মতো খালেদা জিয়া যে পথে যেতেন আজও সে পথেই যাবেন। এক্ষেত্রে গুলশান-১, গুলশান-২, নাবিস্কো মোড়, মগবাজার হয়ে আদালতে যেতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

এদিকে রায়ের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই টানটান উত্তেজনা জনমনে। সময় ঘনিয়ে আসতেই সেই উত্তেজনার পারদ যেন ঊর্ধ্বমুখী। রায়কে ঘিরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি মুখোমুখি অবস্থানে। রাজনীতির মাঠে রায় নিয়ে আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে জাতীয় নির্বাচনও। নির্বাচনে খালেদা জিয়াকে অযোগ্য ঘোষণা করতেই সরকার এ মামলায় বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে, এমন অভিযোগ বিএনপির নেতাকর্মীদের।

অন্যদিকে সরকারি দল আওয়ামী লীগ বলছে, খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি বিশেষ রাজনীতি করতে চাইছে।

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এ রায়কে কেন্দ্র করে এখন উত্তেজনা মিডিয়াপাড়াতেও। রায়ের খবরেই মিডিয়ায় চলছে শত আয়োজন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও ঝড় বইছে রায় নিয়ে। রায়ের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সমর্থকরা তর্কেও শামিল হচ্ছেন।

২০০৮ সালের ৩ জুলাই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলার ১০ বছর পর আজ রায় ঘোষণা করা হচ্ছে। সাবেক কোনো প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা বিচারের রায় দেশে এটিই প্রথম।