ঢাকা ০৭:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলা: ১১ জনের ২০ বছরের কারাদণ্ড

জাতীয় ডেস্কঃ
প্রায় তিন দশক আগে রাজধানীর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১১ আসামিকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া হুমায়ুন কবির নামে এক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে  আসামিদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ রবিবার পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জাহিদুল কবির এ রায় ঘোষণা করেন। গত ১৫ অক্টোবর শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন (২৯ অক্টোবর) ধার্য করেন আদালত। সেই অনুযায়ী আজ এ রায় ঘোষণা করা হলো। এই মামলায় দুটি ধারায় ১১ আসামিকে ১০ বছর করে মোট ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার ধারাবাহিকতায়ই এ হামলা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তারা শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল। এই রায়ের মাধ্যমে তাদের শাস্তি নিশ্চিত হয়েছে। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।’
আসামিদের সাজা কার্যকরের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘ধারাবাহিকবাবে ১০ বছর করে এই শাস্তি কার্যকর হবে। যারা কারাগারে আছে, তাদের কারাভোগের মেয়াদ এই শাস্তি থেকে বাদ যাবে।’
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার আবদুর রশীদ, মো. জাফর আহম্মদ, মিজানুর রহমান, শাজাহান বালু, গাজী ইমাম হোসেন, খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল, গোলাম সারোয়ার ওরফে মামুন, ফ্রিডম সোহেল, সৈয়দ নাজমুল মাকসুদ মুরাদ, হুমায়ুন কবির, জর্জ মিয়া। এর মধ্যে কর্নেল রশীদ, জাফর আহমেদ ও হুমায়ুন কবির পলাতক।
১৯৮৯ সালের ১০ আগাস্ট মধ্যরাতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে গুলি ও বোমা ছোড়া হয়। ওই ঘটনায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম একটি মামলা করেন। তদন্ত অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নেতৃত্বে গঠিত দল ফ্রিডম পার্টির নেতাকর্মীদের সংশ্লিষ্টতা বেরিয়ে আসে। ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনার তদন্ত শেষ করে হত্যা চেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। আসামি করা হয় মোট ১২ জনকে।
পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় মোট ১৯ বার চেষ্টা চালানো হয়েছে। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে হামলার মামলাটিতে এই বছরই রায় হয়।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসি’র মত বিনিময়

শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলা: ১১ জনের ২০ বছরের কারাদণ্ড

আপডেট সময় ০১:২২:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
প্রায় তিন দশক আগে রাজধানীর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১১ আসামিকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া হুমায়ুন কবির নামে এক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে  আসামিদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ রবিবার পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জাহিদুল কবির এ রায় ঘোষণা করেন। গত ১৫ অক্টোবর শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন (২৯ অক্টোবর) ধার্য করেন আদালত। সেই অনুযায়ী আজ এ রায় ঘোষণা করা হলো। এই মামলায় দুটি ধারায় ১১ আসামিকে ১০ বছর করে মোট ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার ধারাবাহিকতায়ই এ হামলা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তারা শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল। এই রায়ের মাধ্যমে তাদের শাস্তি নিশ্চিত হয়েছে। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।’
আসামিদের সাজা কার্যকরের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘ধারাবাহিকবাবে ১০ বছর করে এই শাস্তি কার্যকর হবে। যারা কারাগারে আছে, তাদের কারাভোগের মেয়াদ এই শাস্তি থেকে বাদ যাবে।’
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার আবদুর রশীদ, মো. জাফর আহম্মদ, মিজানুর রহমান, শাজাহান বালু, গাজী ইমাম হোসেন, খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল, গোলাম সারোয়ার ওরফে মামুন, ফ্রিডম সোহেল, সৈয়দ নাজমুল মাকসুদ মুরাদ, হুমায়ুন কবির, জর্জ মিয়া। এর মধ্যে কর্নেল রশীদ, জাফর আহমেদ ও হুমায়ুন কবির পলাতক।
১৯৮৯ সালের ১০ আগাস্ট মধ্যরাতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে গুলি ও বোমা ছোড়া হয়। ওই ঘটনায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম একটি মামলা করেন। তদন্ত অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নেতৃত্বে গঠিত দল ফ্রিডম পার্টির নেতাকর্মীদের সংশ্লিষ্টতা বেরিয়ে আসে। ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনার তদন্ত শেষ করে হত্যা চেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। আসামি করা হয় মোট ১২ জনকে।
পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় মোট ১৯ বার চেষ্টা চালানো হয়েছে। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে হামলার মামলাটিতে এই বছরই রায় হয়।