ঢাকা ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেষ ম্যাচেও পাকিস্তানকে হারালো ইংল্যান্ড

খেলাধূলা ডেস্কঃ

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতেও পাকিস্তানকে হারালো স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ডান-হাতি পেসার ক্রিস ওয়েকসের বোলিং নৈপুণ্যে পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে ৫৪ রানে জিতে নেয় ইংল্যান্ড। ৫৪ রানে ৫ উইকেট নেন ওয়েকস। ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-০ ব্যবধানে জিতলো আসন্ন বিশ্বকাপের সবচেয়ে হট ফেভারিট ইংল্যান্ড।

 

এরপর ১১৭ রানের জুটি গড়েন জো রুট ও অধিনায়ক ইয়োইন মরগান। দু’জনই হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। রুট ৭৩ বলে ৯টি চারে ৮৪ ও মরগান ৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৬৪ বলে ৭৬ রান করেন।

৩৬তম ওভারে দলীয় ২৫৭ রানের মধ্যে রুট-মরগানের বিদায়ের পর পরবর্তী ব্যাটসম্যানরা ছোট-ছোট ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডকে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৫১ রানের সংগ্রহ এনে দেন। জশ বাটলার ৩৪, টম কারান ১৫ বলে অপরাজিত ২৯ ও বেন স্টোকস ২১ রান করেন। পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি ৪টি ও ইমাদ ওয়াসিম ৩টি উইকেট নেন।

জয়ের জন্য ৩৫২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট হাতে নেমেই মহাবিপদে পড়ে পাকিস্তান। ৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। তিনটি উইকেটই নেন ওয়েকস।

শুরুর ধাক্কাটা ভালোভাবে সামাল দিয়ে পাকিস্তানকে লড়াইয়ে ফেরান বাবর আজম ও অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। তৃতীয় উইকেটে ১৪৬ রানের জুটি গড়েন তারা।

রান আউটের ফাঁদে পড়ে ৮০ রানে থেমে যান বাবর। তার ৮৩ বলের ইনিংসে ৭টি চার ও ২টি ছক্কা ছিলো। বাবর বিদায় নিলেও সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সরফরাজ। কিন্তু দুর্ভাগ্য সরফরাজেরও। রান আউটের শিকার হয়ে সেঞ্চুরি থেকে ৩ রান দূরে থাকতে আউট হন তিনি। তার ৮০ বলের ইনিংসে ৭টি চার ও ২টি ছক্কা ছিলো।

সরফরাজের আউটের পর পাকিস্তানের হয়ে শক্ত হাতে কেউই হাল ধরতে পারেননি। ফলে ২৯৭ রানেই অলআউট হয় পাকিস্তান। ম্যাচ সেরা হয়েছেন ওকস। সিরিজ সেরা হয়েছেন ইংল্যান্ডের ওপেনার জেসন রয়।

টি-টোয়েন্টি দিয়ে এই সিরিজ শুরু করেছিলো ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান। একমাত্র টি-টোয়েন্টি ৭ উইকেটে জিতেছিলো ইংল্যান্ড।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

১৩ বছর পর দেশে ফিরলেন বিএনপি নেতা কায়কোবাদ, বিমানবন্দরে লাখো মানুষের ঢল

শেষ ম্যাচেও পাকিস্তানকে হারালো ইংল্যান্ড

আপডেট সময় ০৮:২২:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০১৯
খেলাধূলা ডেস্কঃ

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতেও পাকিস্তানকে হারালো স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ডান-হাতি পেসার ক্রিস ওয়েকসের বোলিং নৈপুণ্যে পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে ৫৪ রানে জিতে নেয় ইংল্যান্ড। ৫৪ রানে ৫ উইকেট নেন ওয়েকস। ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-০ ব্যবধানে জিতলো আসন্ন বিশ্বকাপের সবচেয়ে হট ফেভারিট ইংল্যান্ড।

 

এরপর ১১৭ রানের জুটি গড়েন জো রুট ও অধিনায়ক ইয়োইন মরগান। দু’জনই হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। রুট ৭৩ বলে ৯টি চারে ৮৪ ও মরগান ৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৬৪ বলে ৭৬ রান করেন।

৩৬তম ওভারে দলীয় ২৫৭ রানের মধ্যে রুট-মরগানের বিদায়ের পর পরবর্তী ব্যাটসম্যানরা ছোট-ছোট ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডকে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৫১ রানের সংগ্রহ এনে দেন। জশ বাটলার ৩৪, টম কারান ১৫ বলে অপরাজিত ২৯ ও বেন স্টোকস ২১ রান করেন। পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি ৪টি ও ইমাদ ওয়াসিম ৩টি উইকেট নেন।

জয়ের জন্য ৩৫২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট হাতে নেমেই মহাবিপদে পড়ে পাকিস্তান। ৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। তিনটি উইকেটই নেন ওয়েকস।

শুরুর ধাক্কাটা ভালোভাবে সামাল দিয়ে পাকিস্তানকে লড়াইয়ে ফেরান বাবর আজম ও অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। তৃতীয় উইকেটে ১৪৬ রানের জুটি গড়েন তারা।

রান আউটের ফাঁদে পড়ে ৮০ রানে থেমে যান বাবর। তার ৮৩ বলের ইনিংসে ৭টি চার ও ২টি ছক্কা ছিলো। বাবর বিদায় নিলেও সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সরফরাজ। কিন্তু দুর্ভাগ্য সরফরাজেরও। রান আউটের শিকার হয়ে সেঞ্চুরি থেকে ৩ রান দূরে থাকতে আউট হন তিনি। তার ৮০ বলের ইনিংসে ৭টি চার ও ২টি ছক্কা ছিলো।

সরফরাজের আউটের পর পাকিস্তানের হয়ে শক্ত হাতে কেউই হাল ধরতে পারেননি। ফলে ২৯৭ রানেই অলআউট হয় পাকিস্তান। ম্যাচ সেরা হয়েছেন ওকস। সিরিজ সেরা হয়েছেন ইংল্যান্ডের ওপেনার জেসন রয়।

টি-টোয়েন্টি দিয়ে এই সিরিজ শুরু করেছিলো ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান। একমাত্র টি-টোয়েন্টি ৭ উইকেটে জিতেছিলো ইংল্যান্ড।