ধর্ম ও জীবন ডেস্কঃ
দেশের বৃহত্তম ঈদগাহ হিসেবে পরিচিত কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহে ঈদুল আজহার ১৯০তম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯টায় ঈদের জামাত শুরু হয়।এই জামাতে ঈদুল ফিতরের তুলনায় মুসল্লির সংখ্যা কম হলেও জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে এবং নিকটবর্তী জেলা থেকেও নামাজ আদায় করতে এসেছিলেন মুসল্লিরা।
প্রাচীন এই ঈদগাহের ঐতিহ্যের কথা শুনে বাড়িতে কোরবানির আনুষ্ঠানিকতা সত্ত্বেও তারা এই মাঠে হাজারো মুসল্লির সঙ্গে এক কাতারে সামিল হওয়ার জন্য ছুটে আসেন। বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঈদের দিন সকালে মুসল্লিদের জন্য ‘শোলাকিয়া স্পেশাল’ নামে দুটি ট্রেন ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে ছেড়ে আসে এবং নামাজ শেষে গন্তব্যে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে সারা মাঠ ও শহর জুড়ে চার স্তরের নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছিল। পোশাকে এবং সাদা পোশাকে সহস্রাধিক পুলিশ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। তাছাড়াও নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে দায়িত্ব পালন করে র্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন ও তিন প্লাটুন বিজিবি।
প্রতিটি মুসল্লিকেই দেহ তল্লাশি করে মাঠে ঢুকানো হয় এবং গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য বসানো হয় ওয়াচ টাওয়ার ও পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা। তাছাড়াও বিভিন্ন চেকপোস্টে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল টীম দায়িত্ব পালন করেন। নামাজ শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস। এবার এই ঈদগাহে নামাজ আদায় করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ প্রমুখ। নামাজে খুতবা পাঠ, ইমামতি ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জেলা শহরের মারকাস মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা হিফজুর রহমান।