জাতীয় ডেস্ক:
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল আজহার ১৯২তম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তারা সকলেই জানান, প্রাচীন এই ঈদগাহের ঐতিহ্যের কথা শুনে বাড়িতে কোরবানির আনুষ্ঠানিকতা সত্ত্বেও তারা এই মাঠে হাজারো মুসল্লির সঙ্গে এক কাতারে সামিল হওয়ার জন্য ছুটে এসেছেন। বহিরাগতদের অনেকেই আগের দিন এখানে এসে পৌঁছান। ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি বহিরাগতদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করেন। বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঈদের দিন সকালে মুসল্লিদের জন্য ‘শোলাকিয়া স্পেশাল’ নামে দুটি ট্রেন ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে ছেড়ে আসা ও নামাজ শেষে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। শহর ও মাঠের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে র্যাব, পুলিশ ও বিজেবির সহস্রাধিক সদস্য সতর্ক প্রহরায় নিয়োজিত ছিল। শহরের বিভিন্ন স্থানে ৩২টি স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়। আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে মূল গেট অতিক্রম করে মুসল্লিদের মাঠে প্রবেশ করতে হয়। মাঠে ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়।
সকাল সাড়ে ৮টায় নামাজ শুরু হয়। প্রথা অনুযায়ী মুসল্লিদের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য নামাজ শুরুর ১৫ মিনিট আগে তিনবার, ১০ মিনিট আগে দুইবার ও পাঁচ মিনিট আগে একবার বন্দুকের ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয়। নামাজ শুরুর আগে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. সারওয়র মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ। নামাজে খুতবা পাঠ, ইমামতি ও মোনাজাত পরিচালনা করেন শহরের মারকাস মসজিদের খতিব মাওলানা হিফজুর রহমান খান।