অন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চলমান সাংবিধানিক সংকটের আশু সমাধান না হওয়ায় শ্রীলংকায় বিনিয়োগ ও সহায়তা স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান। বরখাস্ত হওয়া প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে জানিয়েছেন, স্থগিত হওয়া বিনিয়োগের পরিমাণ শত কোটি ডলারের বেশি।
রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিক্রমাসিংহে বলেন, এ সিদ্ধান্তের কারণে অনেক প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে। একই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, দ্রুত রাজনৈতিক সংকট সমাধান না হলে শ্রীলংকার শুল্কমুক্ত বাণিজ্যিক সুবিধা প্রত্যাহার করা হবে। এতে অর্থনৈতিক সংকট আরো ঘনিভূত হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিক্রমাসিংহে।
গেল ২৬ অক্টোবর রনিল বিক্রমসিংহকে বরখাস্ত করে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসেকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপল সিরিসেনা। বিরোধীরা প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছে। এ নিয়ে সাংবিধানিক সংকটে পড়েছে ভারত মহাসাগরীয় দেশটি।
গত কয়েক মাস ধরে শ্রীলংকার বর্তমান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রনিল বিক্রমসিংহের সম্পর্ক ভাল যাচ্ছিলো না। তাদের দুইজনের দ্বন্দ্বে রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি হয়। এর জেরে বর্তমান জোট সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেয় প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ফ্রিডম অ্যালায়েন্স। এরপরই ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি হতে আসা প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহকে বহিষ্কার করেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা।
২০১৫ সালের নির্বাচনে রাজাপাকসেকে পরাজিত করেছিলেন সিরিসেনা। পরাজিতরা একে ‘ভারত সমর্থিত অভ্যুত্থান’ বলে আখ্যায়িত করেন।