লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
আপনাদের জন্য এখন দেওয়া হচ্ছে একটি রেসিপিগুচ্ছ। এটি রেসিপিগুচ্ছটি সাজানো হয়েছে হরেক রকমের হালুয়ার রেসিপি দিয়ে। তাহলে দেরি না করে দেখে নিন এক সাথে ১৫টি হালুয়া রেসিপি।
গাজরের পাঞ্জাবি হালুয়া
উপকরণঃ
গাজর গ্রেট করা ২ কাপ, ছানা ১ কাপ, ফেটানো ডিম ২টা, ঘন দুধ ১ কাপ, চিনি ২ কাপ, ঘি আধা কাপ, পেস্তাকুচি ২ টেবিল চামচ, কাঠবাদাম কুচি ২ টেবিল চামচ, কাজুবাদাম কুচি ২ টেবিল চামচ, কিশমিশ ২ টেবিল চামচ, মাওয়া ৩ টেবিল চামচ, কেশর সিকি চা চামচ (দুধে ভেজানো), এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ, গোলাপ জল ৩ চা চামচ।
প্রণালীঃ
গাজর হালকা ভাপ দিয়ে নিন। এবার প্যানে ঘি দিয়ে গাজর ভুনে নিন। চিনি দিন। এরপর ছানা ও ঘন দুধ দিয়ে নাড়ুন। ডিম দিয়ে দ্রুত নাড়ুন। কিছু বাদাম কুচি রেখে বাকি সব বাদাম কুচি, কিশমিশ, এলাচ গুঁড়া, মাওয়া গুঁড়া, কেশর ও গোলাপ জল দিয়ে নাড়ুন। হালুয়া প্যানে গা ছেড়ে এলে ঘি মাখানো ডিশে ঢেলে সমান করে বাদাম কুচি ছিটিয়ে দিন। ঠাণ্ডা হলে ইচ্ছামতো টুকরা করে নিন।
পাউরুটি বাদামের হালুয়া
উপকরণঃ
পাউরুটি – ৮ থেকে ৯ টুকরা, তরল দুধ – ৪ কাপ (১ লিটার), ছোট এলাচ – ৬ টি, চিনি – ৬ টেবল চামচ বা স্বাদমতো, ঘি – ৫ টেবল চামচ এবং পাউরুটি ভাজার জন্য পরিমাণমতো, ডিম – ১ টি, মাওয়া – ২৫০ গ্রাম, সেদ্ধ করা কাঠবাদাম – ১০ টি,সেদ্ধ করা পেস্তা – ১৫ টি, হলুদ রং – প্রয়োজনমতো, তবক – প্রয়োজনমতো
প্রণালীঃ
পাউরুটির ধার কেটে বাদ দিয়ে পাউরুটিগুলি কিউব করে কেটে নিন ।ফ্রাইপ্যানে ঘি গরম করে রুটিগুলো বাদামী করে ভাজুন।অল্প দুধে রুটিগুলো ভিজিয়ে রাখুন। এবার আরেকটি পাত্রে পেস্তা, বাদাম ও মাওয়া বাদে সব উপকরণ একসাথে দিয়ে হালকা আঁচে জ্বাল দিন। একটু ঘন হয়ে এলে মাওয়া দিয়ে আবারও নাড়তে থাকুন।হালুয়া কড়াইয়ের গা ছেড়ে আসলে ঘি মাখানো পাত্রে ঢেলে ওপর থেকে পেস্তা, বাদাম ছিটিয়ে ও তবক বিছিয়ে দিন. ঠান্ডা হলে কেটে পরিবেশন করুন পাউরুটি বাদামের হালুয়া।
আলুর চকলেট হালুয়া
উপকরণ:
গোল আলু (সেদ্ধ করে চটকে নেওয়া) ২ কাপ, চিনি ২ থেকে ৩ কাপ, এলাচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, মাখন ২ টেবিল চামচ, ঘি ৩ টেবিল চামচ, চকলেট আধা কাপ, ডিম তিনটা, বাদাম ও কিশমিশ পছন্দমতো, কোকো পাউডার ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি:
আলুর সঙ্গে চিনি, এলাচ গুঁড়া ও ডিম দিয়ে মেখে নিতে হবে। চুলায় ঘি গরম করে ১ টেবিল চামচ মাখন দিয়ে আলুর মিশ্রণ দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে, বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে নামাতে হবে। এটি তিন ভাগ করে নিতে হবে। এক ভাগ আলুর হালুয়ার সঙ্গে গলানো চকলেট, কোকো পাউডার ও মাখন মিশিয়ে নিতে হবে। সাদা রঙের হালুয়ার ওপর চকলেট হালুয়া স্তর করে বসাতে হবে। এর ওপর আবার সাদা হালুয়া দিয়ে ওপরে বাদাম, কিশমিশ, চকলেট দিয়ে পছন্দমতো সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
ডিমের হালুয়া
উপকরণঃ
ডিম ৪টি, চিনি ৩-৪ কাপ, ঘন দুধ ৩-৪ কাপ, ঘি ১-২ কাপ, এলাচ ২টি, দারচিনি ২ সেমি. ২ টুকরা, গোলাপজল ২ টেবিল চামচ, জাফরান সামান্য
প্রণালী :
গোলাপজলে জাফরান ভিজিয়ে রাখুন। ডিম ভালো করে ফাটিয়ে সব উপকরণ একসঙ্গে ভালো করে মেশাতে হবে। এবার হাল্কা আচে কড়াইয়ে মিশ্রণটি ঢেলে নাড়তে থাকুন। সাবধানে নাড়তে হবে যেন তলায় লেগে না যায়। ডিম জমাট বেঁধে মিহিদানার মতো হলে হালুয়া থেকে ঘি বের হবে। এবার চুলা থেকে নামিয়ে পরিবেশন পাত্রে ঢেলে মাওয়া বা পেস্তা কুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজার স্বাদের ডিমের হালুয়া।
শাহী নকশী হালুয়া
উপকরণ:
বুটের ডাল – ৩ কাপ, দুধ – ১ লিটার, গুড়া দুধ – ১/২ কাপের বেশি, চিনা বাদাম পেস্ট – ১/২ কাপ (কাঁচা ), ঘি – ৩/৪ কাপ, লবন – পরিমান মত, চিনি – স্বাদ অনুযায়ী, এলাচ , দারুচিনি , তেজপাতা – ১ টি করে নিতে হবে, অরেঞ্জ ফুড কালার / জাফরান – কয়েক ফোটা (ঐচ্ছিক ), প্লাস্টিক / মাটি / সিমেন্টের সাঁচ – পছন্দমতো ডিজাইনের,
প্রনালি:
– ডাল ধুয়ে ১-২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন । কম সময় ভিজিয়ে রাখলেই ভাল । ধোয়ার পরে সাথে সাথে ও সিদ্ধতে বসিয়ে দিতে পারেন ।
– প্রেশার কুকারে ডাল , দুধ , এলাচ , দারুচিনি , তেজপাতা ও লবন দিয়ে ঢেকে দিন ।
– সিদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে পাটায় কিংবা বেলেন্ডারে ভাল করে মিহি পেস্ট তৈরি করে নিন ।
– ননস্টীক ফ্রাই প্যানে ঘি দিয়ে বাদাম পেস্ট দিয়ে হালকা ভাজুন । ৪-৫ মিনিট ।
– এবার ডাল বাটা দিয়ে আবারো ভাল করে নাড়াচাড়া করুন ।
-ঘন ঘন নাড়তে হবে তানাহলে নিচে পোড়া লেগে যাবে ।
– লবন লাগলে লবন দিন । চিনি দিয়ে দিন ।
– শেষের দিকে কালার দিয়ে দিন ।
– শুকনা শুকনা হয়ে আসলে নামিয়ে নিন ।
– আটার খামির মত হবে অনেকটা ।
– হাতে নিয়ে যদি দেখেন বল তৈরি করা যাচ্ছে তাহলে নামিয়ে নিবেন ।
– ঠাণ্ডা হওয়ার পরে আরো টেনে যাবে ।
– আমি ডাল বাটা ২ বারে অল্প অল্প করে ভেজে শুকিয়ে নিয়েছি । অল্প অল্প করে করলে ভাল হয় এবং সুবিধাও হয় ।
– যদি দেখেন ডাল প্যানের সাথে লেগে যাচ্ছে তাহলে আরো ঘি দিয়ে দিন ।
– আমি মাঝামাঝি পর্যায় ও ঘি দিয়েছি ।
মাসকাট হালুয়া
উপকরণ :
ময়দা পৌনে এক কাপ, কর্নফ্লাওার আধা কাপ, চিনি ১ কাপ, চায়না গ্রাস ৮ গ্রাম, (ভিজান) ঘি আধা কাপ, পানি ১ কাপ (সিরার জন্য), লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, সবুজ ফুড কালার ১ ফোঁটা কাঠবাদাম স্লাইস- সাজানোর জন্য।
প্রণালী :
ময়দা ও কর্নফ্লাওয়ার ৩ কাপ পানি দিয়ে ৪-৫ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। ওপরের পানি ফেলে দিয়ে একটি পাত্রে সিরা তৈরি করে (১ কাপ পানি ও ১ কাপ চিনি) এতে ভেজানো চায়না গ্রাস দিয়ে ময়দা এবং কর্নফ্লাওয়ার মিশ্রণ, লেবুর রস ও সবুজ ফুড কাল দিয়ে নাড়তে হবে। ঘন হলে ট্রেতে ঢেলে ওপরে কাঠাবাদামের স্লাইস দিয়ে চারকোনা করে কেটে নিতে হবে।
চকলেট হালুয়া
উপকরণ :
সুজি আধা কাপ, বেসন আধা কাপ, চিনি এক কাপ, ঘি আধা কাপ, কোকো পাউডার ২ টেবিল চামচ, চকলেট সিরাপ ১ টেবিল চামচ, জয়ফল, দারুচিনি গুঁড়ো সামান্য, ডিম ৩টা, পানি ২ কাপ।
প্রণালী :
ডিম, কোকো পাউডার, চকলেট সিরাপ, চিনি ও পানি এক সঙ্গে ব্লেন্ড করুন। কড়াইয়ে ঘি ঢেলে গরম করে সুজি, ঢালুন। সুজি ভাজা হয়ে গেলে বেসন দিয়ে নাড়তে থাকুন। এরপর ব্লেন্ড করা মিশ্রণ ঢেলে দিন। পানি শুকিয়ে তেল ওপরে ভেসে উঠলে জয়ফল-দারুচিনি গুড়া মিশিয়ে চুলা থেকে নামান। ঠান্ডা হলে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
সুমসুম হালুয়া রেসিপি
উপকরনঃ
সুজি ২০০ গ্রাম, চিনি ২ কাপ, দুধ ঘন ১ কাপ, ডিম ১ টা, নারিকেল হাফ কাপ ( ইচছা), ঘি ও তেল, এলাচ, দারুচিনি, কিসমিস, পেসতা বাদাম, চিনাবাদাম।
প্রনালী :
সুজি ভালকরে ভেজে ঘি চিনি দিয়ে নেড়ে এক এক করে ডিম বাদে সব উপকরণ দিয়ে নাড়তে থাকুন এবারে ডিম ফেটে সুজিতে দিয়ে দিন। ঘন ঘন নাড়তে থাকুন। অল্প বাদাম আধা ভাঙা করে দিয়ে দিন, স্বাদ হবে। যদি বেশী শুকনা হয়ে অাসে তবে একটু দুধ দিন। সুজির দানা যেন থাকে। নাড়তে নাড়তে সুজি কড়াই থেকে ছেড়ে অাসবে। মিষ্টি স্বাদ মত দেখে পাত্রে ঢেলে হাতে ঘি মাখিয়ে সমান করে কিসমিস বাদাম ট্রুটি ফ্রুটি দিয়ে সাজিয়ে নিন। আপনার পছন্দ মত পরিবেশন করুন মজাদার সুমসুম হালুয়া ।
পেঁপের হালুয়া- ১
উপকরণ :
কাঁচা পেঁপে ২ কেজি, চিনি ৩ কাপ, ঘি ১ কাপ, দুধ দিলে ভালো না দিলেও হবে।
পদ্ধতি :
পেঁপে ভালো করে ধুয়ে খোসা ছিলে নিয়ে একটি পাত্রে ৪ কাপ পানিতে সিদ্ধ করুন। খেয়াল রাখুন ঢাকনা যেন পাত্রের সঙ্গে এঁটে থাকে। পানি টেনে আসলে পেঁপে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে ভালো করে বাটতে হবে। যে পাত্রে রান্না করবেন সেটাতে আগে ঘি গরম করে তাতে সিদ্ধ পেঁপেবাটা দিয়ে দিন। এখন বেশ ভালো আঁচে নাড়তে হবে। পানি টেনে আসলে গুঁড়া দুধ (যদি মেশান) বারবার ছিটিয়ে নাড়তে হবে। দুধ মিশে গেলে চিনি দিন। নাড়তে নাড়তে যখন হালুয়া পাত্র থেকে সহজে উঠে যাচ্ছে ঠিক তখন নামিয়ে আনুন। ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন।
পেঁপের হালুয়া- ২
উপকরণ :
মাওয়া ১ কাপ, কাঁচা পেঁপে সেদ্ধ করে বাটা ১ কাপ, চিনি ২ কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ, গোলাপ জল, প্রয়োজনমতো সবুজ রং, কিসমিস সাজানোর জন্য।
প্রণালী :
পাত্রে (প্যান) পেঁপে, ছানা, মাওয়া, চিনি ও ঘি দিয়ে সাথে সবুজ রং দিয়ে কম আঁচে ভুনতে হবে। প্যানের গা ছেড়ে এলে নামান। নামানোর আগে গোলাপজল ছড়িয়ে দিতে হবে। ছাঁচে দিয়ে সন্দেশ তৈরি করে কিসমিস দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
বাদামের হালুয়া
উপকরণ :
কাজু বাদাম ২ কাপ, ছানা ২ কাপ, চিনি ২ কাপ, এলাচ গুঁড়া সিকি চা চামচ, ঘি আধা কাপ, ময়দা ১ টেবিল চামচ, কিসমিস ১ টেবিল চামচ, কাজু ও পেস্তা বাদাম সাজানোর জন্য।
প্রণালী :
কাজু বাদাম হালকা ভেজে তিন-চার ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পানি থেকে তুলে কাজু বাদাম ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। চুলায় পাত্রে ঘি দিয়ে কাজু বাদাম ও ছানা দিয়ে ভাজতে থাকুন এবং চিনি দিন। দ্রুত নাড়তে থাকুন। ময়দা, এলাচ গুঁড়া দিন। হালুয়া হয়ে এলে প্লেটে সাজিয়ে কিসমিস, কাজু ও পেস্তা বাদাম দিয়ে পরিবেশন করুন।
ছোলার হালুয়া
উপকরণ :
ছোলার ডাল ৫০০ গ্রাম, দুধ ১ লিটার, চিনি ৭৫০ গ্রাম, ঘি চারভাগের এক কাপ, এলাচ গুঁড়ো , দারচিনি গোলাপজল ১ টেবিল চামচ। কিসমিস ৩ টেবিল চামচ, পেস্তা বাদাম কুচি ৩ টেবিল চামচ।
প্রণালী :
ছোলার ডাল, দুধ দিয়ে সেদ্ধ করে শুকিয়ে গেলে গরম অবস্থায় বেটে নিতে হবে। কড়াইতে ঘি দিয়ে ডাল বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে চিনি দিয়ে আরো নাড়তে হবে। এলাচ, দারচিনি গুঁড়ো দিতে হবে। হালুয়া তাল বেঁধে উঠলে কিসমিস, গোলাপজল দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে-চেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে বরফি করা চাইলে বড় খাঞ্জায় ঘি লাগিয়ে পেস্তা বাদাম কুচি ছিটিয়ে গরম হালুয়া ঢেলে সমান করতে হবে। ঠাণ্ডা হলে ছাঁচে বসিয়ে বিভিন্ন নকশা করে পরিবেশন করুন।
বম্বে আইস হালুয়া
উপকরণ:
তরল দুধ ২ কাপ, সুজি সিকি কাপ, ঘি সিকি কাপ, চিনি আধা কাপ (বা স্বাদমতো), এলাচি গুঁড়া আধা চা-চামচ, দারুচিনি গুঁড়া ১ চা-চামচ, পেস্তা ও কাঠবাদাম কুচি সিকি কাপ, সিএমসি ১ টেবিল চামচ, হলুদ ফুড কালার ১ ফোঁটা।
প্রণালি:
দুধ ও সুজি মিশিয়ে চুলায় দিন। এতে চিনি ও এলাচি গুঁড়া দিয়ে নাড়তে থাকুন। মিশ্রণটি ঘন হলে ঘি দিয়ে ভুনতে থাকুন এবং আরও ঘন হয়ে এলে সিএমসি দিন। সিএমসি ভালোমতো মিশে হালুয়া খামিরের মতো ঘন হলে নামিয়ে নিন। দুই ভাগ করে এক অংশে হলুদ ফুড কালার মিশিয়ে নিন। এবার একটি বড় লম্বা ফয়েল পেপারে এক ভাগ খামির নিয়ে ওপরে প্লাস্টিক র্যাপার দিয়ে পাতলা চারকোনা রুটি বেলে নিন। কিছুটা বেলার পর ওপরে বাদাম কুচি ও দারুচিনি গুঁড়া ছিটিয়ে আবারও একটু বেলে নিন। এখন এটি ২৪ ঘণ্টা রেখে দিন। একইভাবে অন্য খামিরও হালুয়া বানিয়ে রাখুন। হালুয়া শুকিয়ে গেলে চারকোনা করে কেটে কেটে সমমাপের পার্চমেন্ট পেপারে সাজিয়ে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।
ডালের হালুয়া
উপকরণ :
ছোলার ডাল আধা কেজি। ঘি আধা কাপ। কনডেন্সড মিল্ক পুরো এক কৌটা।
চিনি দেড় কাপ।
পদ্ধতিঃ
ডাল ধুয়ে চার কাপ পানি দিয়ে সিদ্ধ বসান। নাড়া লাগবে না, আগুনের আঁচ মোটামুটি হলেই চলবে। নাড়া দিলে ডালগুলো ভেঙে লেগে যেতে পারে। পানি ফুটলে জ্বাল কমিয়ে ঢেকে দিন। ডাল সিদ্ধ হয়ে এলে নামিয়ে শিল-পাটায় মিহি করে বাটতে হবে। এবার মিহি করা ডাল একটি পাত্রে নিয়ে সব উপকরণ একসঙ্গে দিয়ে বারবার নাড়তে থাকুন। এ সময় জ্বাল বাড়িয়ে দিতে হবে। নইলে রং সুন্দর হবে না। নাড়তে নাড়তে যখন দেখবেন হালুয়ার পাত্র থেকে সহজে উঠে যাচ্ছে, ঠিক তখনই নামিয়ে ফেলতে হবে। গরম গরম অবস্থাতেই হালুয়া একটা স্টিলের প্লেটে নিয়ে সমান করে বিছিয়ে দিন। তারপর চাকু দিয়ে বরফি আকারে কাটুন বা আপনার ইচ্ছামতো আকারেও কাটতে পারেন। ঠান্ডা হয়ে গেলে একটা একটা করে উঠিয়ে বাদাম ও কিশমিশ লাগিয়ে পরিবেশন করুন।
সুজির হালুয়া
উপকরনঃ
– সুজিঃ হাফ কাপ (শুধু একজনের জন্য)
– তেলঃ এক কাপের চার ভাগের চেয়ে কিছু বেশী
– ঘিঃ এক চা চামচ (এটা শুধু ঘ্রান এবং স্বাদ বাড়িয়ে দেয়ার জন্য, পছন্দ না করলে নাও দিতে পারেন)
– দুধঃ দুই কাপ (পাউডারের দুধে বানিয়ে নিতে পারেন, আর খাঁটি গরুর দুধ হলে কথাই নাই)
– চিনিঃ স্বাদ বুঝে, পরিমান মত (আমি চিনি কমে বিশ্বাসী)– এলাচিঃ দুই/তিনটা– দারুচিনিঃ দুইটা (এক ইঞ্চি)– কিসমিসঃ ৭/৮ টা(আমি এই গুলো ব্যবহার করি নাই, তবে আপনি চাইলে ব্যবহার করতে পারেন)
প্রণালীঃ
কড়াইতে তেল এবং ঘি (অপশন্যাল) গরম করে তাতে সুজি ভাঁজুন। (এই পর্যায়ে এলাচ ও দারুচিনি দিয়ে দিতে পারেন)। হলদে ভাব এসে চমৎকার একটা ঘ্রান রান্নাঘর ভরিয়ে তুলবে। এবার দুধ এবং চিনি দিয়ে দিন।
হালকা আঁচে নাড়াতে থাকুন। (এই পর্যায়ে কিসমিস দিয়ে দিতে পারেন)। নিদিষ্ট দুরুত্ব বজায় রাখুন, বুঁদ বুঁদ উঠে গায়ে পড়তে পারে! হালুয়া রান্না করতে হাতে জোর থাকা চাই, খুন্তি দিয়ে বার বার নাড়াতে হয়!
সুজি ঘন হয়ে যেতে সময় লাগবে না। চিনি দেখুন, লাগলে দিন, না লাগলে ওকে বলুন। দেখবেন কড়াইতে যেন লেগে না যায়! ব্যস হয়ে গেল সাধারন সুজির হালুয়া।