ঢাকা ০১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ

মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতিদের মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ষোলতম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এ রায় ঘোষণার ফলে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে থাকছে না।

বৃহস্পতিবার (৫ মে) মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। কেন ষোলতম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে জারিকৃত রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।

আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ‘এ ধরনের ঘটনা ইতিহাসের জন্য দুর্ঘটনাজনক’। এসময় ভারত, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের বিচারপতিদের অভিসংশনের বিষয়টিও তুলে ধরেন আদালত।

আদালতে রিটকারীর আইনজীবী ছিলেন মনজিল মোর্শেদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এ সংশোধনীতে বাহাত্তরের সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ পুনঃস্থাপনের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিল।

পাস হওয়া ষোড়শ সংশোধনে ৯৬ অনুচ্ছেদের দফা-২ এ ছিল, প্রমাণিত অসদাচরণ বা অসামর্থ্যের কারণে সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার দুইতৃতীয়াংশ সদস্যের প্রস্তাবক্রমে রাষ্ট্রপতির আদেশে সুপ্রিমকোর্টের বিচারকদের অপসারণ করা যাবে।

দফা-৩ অনুযায়ী, সংসদ সদস্যদের প্রস্তাব সম্পর্কিত এবং বিচারকের অসদাচারণ ও অসামর্থ্য সম্পর্কে তদন্ত ও প্রমাণের পদ্ধতি সংসদ আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

দফা-৪ এ বলা হয়েছিল, কোনো বিচারক রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ করে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদত্যাগ করতে পারবেন।

এর আগে যা ছিল: ১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণ ক্ষমতা সংসদের কাছ থেকে রাষ্ট্রপতির হাতে দেয়া হয়েছিল। পঞ্চম সংশোধনীতে বিচারকদের অপসারণ ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে দেয়া হয়। প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ দুই বিচারপতির সমন্বয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ গঠন করার বিধান রাখা হয়।

বাংলামেইল২৪ডটকম

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ

আপডেট সময় ০৩:৪৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মে ২০১৬

মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতিদের মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ষোলতম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এ রায় ঘোষণার ফলে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে থাকছে না।

বৃহস্পতিবার (৫ মে) মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। কেন ষোলতম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে জারিকৃত রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।

আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ‘এ ধরনের ঘটনা ইতিহাসের জন্য দুর্ঘটনাজনক’। এসময় ভারত, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের বিচারপতিদের অভিসংশনের বিষয়টিও তুলে ধরেন আদালত।

আদালতে রিটকারীর আইনজীবী ছিলেন মনজিল মোর্শেদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এ সংশোধনীতে বাহাত্তরের সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ পুনঃস্থাপনের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিল।

পাস হওয়া ষোড়শ সংশোধনে ৯৬ অনুচ্ছেদের দফা-২ এ ছিল, প্রমাণিত অসদাচরণ বা অসামর্থ্যের কারণে সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার দুইতৃতীয়াংশ সদস্যের প্রস্তাবক্রমে রাষ্ট্রপতির আদেশে সুপ্রিমকোর্টের বিচারকদের অপসারণ করা যাবে।

দফা-৩ অনুযায়ী, সংসদ সদস্যদের প্রস্তাব সম্পর্কিত এবং বিচারকের অসদাচারণ ও অসামর্থ্য সম্পর্কে তদন্ত ও প্রমাণের পদ্ধতি সংসদ আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

দফা-৪ এ বলা হয়েছিল, কোনো বিচারক রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ করে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদত্যাগ করতে পারবেন।

এর আগে যা ছিল: ১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণ ক্ষমতা সংসদের কাছ থেকে রাষ্ট্রপতির হাতে দেয়া হয়েছিল। পঞ্চম সংশোধনীতে বিচারকদের অপসারণ ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে দেয়া হয়। প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ দুই বিচারপতির সমন্বয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ গঠন করার বিধান রাখা হয়।

বাংলামেইল২৪ডটকম