ঢাকা ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংশোধনী ছাড়া শিক্ষানীতি ও শিক্ষাআইন চূড়ান্ত সর্বত্র আন্দোলন —পীর সাহেব চরমোনাই

জাতীয ডেস্কঃ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল কারীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, তৌহিদী জনতার সেন্টিমেন্টকে পাশ কাটিয়ে একতরফাভাবে শিক্ষানীতি ও শিক্ষাআইন চূড়ান্ত করলে সর্বত্র আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে। তিনি বলেন, হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদ প্রতিষ্ঠার বিতর্কিত সিলেবাস সংশোধন করা ছাড়া নতুন বছরের বই বিতরণের চেষ্টা করলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
রোববার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া ও শোকরিয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

আন্দোলনের আমীর পীর সাহেব চরমোনাই সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে হজে গিয়ে আল্লাহ তায়ালার মেহেরবানিতে সুষ্ঠ সুন্দরভাবে হজ করে দেশে ফিরে আসায় পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ঢাকা উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।

অনুষ্ঠানে অনান্যদের বক্তব্য রাখেন যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, যুবনেতা কেএম আতিকুর রহমান, ছাত্রনেতা নুরুল ইসলাম আলআমিন, উত্তরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, শ্রমিকনেতা হারুনুর রশিদ, মুফতি জহির ইবনে মুসলিম, নগরনেতা মাওলানা এইচ এম সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারি মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন।

পীর সাহেব চরমোনাই যথাযথ ভাবে হজ পালন করে দেশে ফিরে আসতে পেরে মহান আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপন করেন এবং সৌদি সরকারের প্রসংশা করে বলেন, সৌদি সরকার আমাদেরকে রাজকীয় মেহমান হিসেবে পবিত্র হজ পালনে আমন্ত্রণ করে এবং সৌদিতে অবস্থানকালীন যে আতিথিয়তা ও মর্যাদা প্রদর্শন করেছেন তাতে আমরা আন্তরিকভাবে মুগ্ধ । আমরা মনে করি আমাদের প্রতি সৌদি সরকার সম্মান প্রদর্শন করে বাংলাদেশের আপামর মানুষের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেছেন। আমরা দোয়া করি তারা যেন ইসলাম ও মুসলমানের আরও বেশি খেদমত করতে পারেন।

পীর সাহেব চরমোনাই দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিশেষ করে কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে ট্যানারি মালিকদের কারসাজির ব্যাপারে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মানুষের যদি প্রকৃত আদর্শ শিক্ষা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ না থাকে তাহলে মানুষ কোনো অন্যায়কে অন্যায় বলে মনে করে না। ট্যানারি মালিকরা যোগসাজশের মাধ্যমে দেশীয় চামড়া শিল্প ধ্বংসের হীন পাঁয়তারা করছে ও অসহায় গরিবদের হক নষ্টে মেতে উঠেছে। কোরবানির পশুর চামড়ার আর্থিক মুল্যে এতিম, গরিব, অসহায় মানুষের হক রয়েছে। বিশ্ববাজার পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে এবার প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া থেকে ৫৫ টাকা গরিবের হক কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে কওমি মাদ্রাসাগুলো। কারণ এ মাদ্রাসাগুলো কোরবানির চামড়ার মাধ্যমে অর্জিত অর্থে হাজার হাজার এতিম অসহায় দুস্থদের পড়ালেখা, লালনপালন ও ভরণ পোষণের ব্যবস্থা করে থাকে। সরকার যদি এর প্রতি গুরুত্ব দিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা না গ্রহণ না করে তাহলে পরিণামে একদিন চরম মুল্য দিতে হবে। তাই দেশের স্বার্থে এসব দুষ্ঠ চক্রকে ধ্বংস করা সরকারের একান্ত দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি।

চরমোনাই পীর সাহেব দেশ ও জনগণের সার্বিক কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করেন এবং হজের কার্যক্রমে তাকে যারা বিভিন্ন ভাবে সহযোগিত করেছেন তাদের সকলকে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

সংশোধনী ছাড়া শিক্ষানীতি ও শিক্ষাআইন চূড়ান্ত সর্বত্র আন্দোলন —পীর সাহেব চরমোনাই

আপডেট সময় ০২:২০:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
জাতীয ডেস্কঃ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল কারীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, তৌহিদী জনতার সেন্টিমেন্টকে পাশ কাটিয়ে একতরফাভাবে শিক্ষানীতি ও শিক্ষাআইন চূড়ান্ত করলে সর্বত্র আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে। তিনি বলেন, হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদ প্রতিষ্ঠার বিতর্কিত সিলেবাস সংশোধন করা ছাড়া নতুন বছরের বই বিতরণের চেষ্টা করলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
রোববার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া ও শোকরিয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

আন্দোলনের আমীর পীর সাহেব চরমোনাই সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে হজে গিয়ে আল্লাহ তায়ালার মেহেরবানিতে সুষ্ঠ সুন্দরভাবে হজ করে দেশে ফিরে আসায় পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ঢাকা উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।

অনুষ্ঠানে অনান্যদের বক্তব্য রাখেন যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, যুবনেতা কেএম আতিকুর রহমান, ছাত্রনেতা নুরুল ইসলাম আলআমিন, উত্তরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, শ্রমিকনেতা হারুনুর রশিদ, মুফতি জহির ইবনে মুসলিম, নগরনেতা মাওলানা এইচ এম সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারি মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন।

পীর সাহেব চরমোনাই যথাযথ ভাবে হজ পালন করে দেশে ফিরে আসতে পেরে মহান আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপন করেন এবং সৌদি সরকারের প্রসংশা করে বলেন, সৌদি সরকার আমাদেরকে রাজকীয় মেহমান হিসেবে পবিত্র হজ পালনে আমন্ত্রণ করে এবং সৌদিতে অবস্থানকালীন যে আতিথিয়তা ও মর্যাদা প্রদর্শন করেছেন তাতে আমরা আন্তরিকভাবে মুগ্ধ । আমরা মনে করি আমাদের প্রতি সৌদি সরকার সম্মান প্রদর্শন করে বাংলাদেশের আপামর মানুষের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেছেন। আমরা দোয়া করি তারা যেন ইসলাম ও মুসলমানের আরও বেশি খেদমত করতে পারেন।

পীর সাহেব চরমোনাই দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিশেষ করে কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে ট্যানারি মালিকদের কারসাজির ব্যাপারে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মানুষের যদি প্রকৃত আদর্শ শিক্ষা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ না থাকে তাহলে মানুষ কোনো অন্যায়কে অন্যায় বলে মনে করে না। ট্যানারি মালিকরা যোগসাজশের মাধ্যমে দেশীয় চামড়া শিল্প ধ্বংসের হীন পাঁয়তারা করছে ও অসহায় গরিবদের হক নষ্টে মেতে উঠেছে। কোরবানির পশুর চামড়ার আর্থিক মুল্যে এতিম, গরিব, অসহায় মানুষের হক রয়েছে। বিশ্ববাজার পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে এবার প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া থেকে ৫৫ টাকা গরিবের হক কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে কওমি মাদ্রাসাগুলো। কারণ এ মাদ্রাসাগুলো কোরবানির চামড়ার মাধ্যমে অর্জিত অর্থে হাজার হাজার এতিম অসহায় দুস্থদের পড়ালেখা, লালনপালন ও ভরণ পোষণের ব্যবস্থা করে থাকে। সরকার যদি এর প্রতি গুরুত্ব দিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা না গ্রহণ না করে তাহলে পরিণামে একদিন চরম মুল্য দিতে হবে। তাই দেশের স্বার্থে এসব দুষ্ঠ চক্রকে ধ্বংস করা সরকারের একান্ত দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি।

চরমোনাই পীর সাহেব দেশ ও জনগণের সার্বিক কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করেন এবং হজের কার্যক্রমে তাকে যারা বিভিন্ন ভাবে সহযোগিত করেছেন তাদের সকলকে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান ।