জাতীয় ডেস্কঃ
দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর দায় সরকারকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ সরকারকে বিদায় করা হবে। যা শুরু হয়ে গেছে।’
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বলেন, সরকার প্রতিনিয়ত জনগণের সঙ্গে মিথ্যা কথা বলছেন। তারা বলছেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো বিষয়টি আইনে নেই। কেন তারা এসব মিথ্যে কথা বলছেন? ৪০১ ধারায় পরিষ্কার বলা আছে, সরকার চাইলেই বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারে।
সমাবেশে ঢাকাসহ আশপাশের আটটি জেলা থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা যোগ দেন। বেলা একটায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এদিন সকাল থেকেই দলটির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশে হাজির হন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নয়াপল্টন এলাকায় জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এসময় নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুপুর বারোটার পর থেকেই নয়াপল্টন এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সমাবেশকে ঘিরে সতর্ক অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকের এই জনসমুদ্রই প্রমাণ করছে যদি অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা না হয় এদেশের মানুষ আর চুপ করে বসে থাকবেনা। এদেশের কোটি কোটি মানুষের আহাজারি অবশ্যই আল্লাহর কাছে পৌঁছাচ্ছে।
ফখরুল বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা অবস্থা যদি না করা হয়, যদি তার কোন ক্ষতি হয় তাহলে দেশের মানুষ এ সরকারকে রেহাই দেবে না। একই দাবিতে আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, এই সরকার কখনোই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিবেনা। আমাদেরকে রাজপথে সংগ্রামের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করতে হবে।
ফখরুল বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে বিএনপি যা বলতে বলেছে, ডাক্তাররাও সেই কথা বলছেন। আমি ধিক্কার জানাই সেসব লোককে যারা দেশের নামীদামী চিকিৎসকদের নিয়ে বিদ্রূপ করেছেন।