ঢাকা ০৭:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকার আর ফিরতে পারবে না: মির্জা ফখরুল

জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার এমন জায়গায় গেছে, যেখান থেকে ফিরতে পারবে না। আপনারা যেখানে গেছেন, সেখানে জনগণের কোনও স্থান নেই। সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন। আপনারা আজকে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বন্দুক-পিস্তলের ওপর নির্ভর করে হুকুমের বলে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। একটা দিনের জন্য ক্ষমতা ছেড়ে দেন না। ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে দেখুন কী অবস্থা হয় দেশের। আজকে আপনারা যে অবস্থায় দেশটাকে নিয়ে গেছেন, এটাতে কোনোভাবেই আধুনিক রাষ্ট্র নির্মাণের জায়গা নাই। আপনারা একে একে সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করছেন।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের নেতাদের আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, একটি সুদূর প্রসারী নীলনকশার মধ্য দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র চলছে। বর্তমান সরকারের একটিই টার্গেট-বেগম জিয়াকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়াকে বেশি দিন জেলে রাখতে পারবেন না। ইতিহাস তা বলে না। ইতিহাস বলে এদেশের মানুষ সবসময় নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের পক্ষে। ইতিহাস বলে এদেশে সব সময় যাকে কারারুদ্ধ করে নির্যাতন করা হয়, তার পক্ষে দাঁড়াচ্ছে মানুষ। আপনারা নিশ্চিত দেখবেন, খালেদা জিয়াকে এদেশের মানুষ কারাগার থেকে মুক্ত করে আনবে, কারগার ভেঙেই তাকে নিয়ে আসবে। মানুষকে একত্রিত করতে হবে। সময় এবং সুযোগের অপেক্ষা করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই কমিশনকে কিছু জিজ্ঞেস করলে (তারা) বলে উল্টো কথা। একজন সচিবকে দিয়ে আপনারা নির্বাচন কমিশন চালান। তিনি হলেন হেলালউদ্দিন সাহেব। আমরা শুনেছি যে, তিনি বিকাল চারটা পর্যন্ত অফিস করেন। এরপর তিনি চলে যান একটি বিশেষ দলের বিশেষ কার্যালয়ে। সেখানে সেই দলের নির্বাচনের পরিকল্পনা তৈরি হয়, যার প্রধান হলেন এইচ টি ইমাম সাহেব। তিনি যেকোনও নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে যান। সেখানে গিয়ে কথা বলেন। তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন যে, ২০১৪ সালের নির্বাচন তিনি নিজেই করিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তাদের দিয়ে। এখানে আপনি কী গণতন্ত্র আশা করেন। নির্বাচনের ফলাফল কী আশা করবেন?
সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, জাগপা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফুর রহমাম ও যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে মাদ্রাসায় যান না পাঁচ বছর নিয়মিত বেতন তোলেন শিক্ষক

সরকার আর ফিরতে পারবে না: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ০৪:৫২:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুলাই ২০১৮
জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার এমন জায়গায় গেছে, যেখান থেকে ফিরতে পারবে না। আপনারা যেখানে গেছেন, সেখানে জনগণের কোনও স্থান নেই। সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন। আপনারা আজকে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বন্দুক-পিস্তলের ওপর নির্ভর করে হুকুমের বলে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। একটা দিনের জন্য ক্ষমতা ছেড়ে দেন না। ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে দেখুন কী অবস্থা হয় দেশের। আজকে আপনারা যে অবস্থায় দেশটাকে নিয়ে গেছেন, এটাতে কোনোভাবেই আধুনিক রাষ্ট্র নির্মাণের জায়গা নাই। আপনারা একে একে সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করছেন।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের নেতাদের আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, একটি সুদূর প্রসারী নীলনকশার মধ্য দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র চলছে। বর্তমান সরকারের একটিই টার্গেট-বেগম জিয়াকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়াকে বেশি দিন জেলে রাখতে পারবেন না। ইতিহাস তা বলে না। ইতিহাস বলে এদেশের মানুষ সবসময় নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের পক্ষে। ইতিহাস বলে এদেশে সব সময় যাকে কারারুদ্ধ করে নির্যাতন করা হয়, তার পক্ষে দাঁড়াচ্ছে মানুষ। আপনারা নিশ্চিত দেখবেন, খালেদা জিয়াকে এদেশের মানুষ কারাগার থেকে মুক্ত করে আনবে, কারগার ভেঙেই তাকে নিয়ে আসবে। মানুষকে একত্রিত করতে হবে। সময় এবং সুযোগের অপেক্ষা করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই কমিশনকে কিছু জিজ্ঞেস করলে (তারা) বলে উল্টো কথা। একজন সচিবকে দিয়ে আপনারা নির্বাচন কমিশন চালান। তিনি হলেন হেলালউদ্দিন সাহেব। আমরা শুনেছি যে, তিনি বিকাল চারটা পর্যন্ত অফিস করেন। এরপর তিনি চলে যান একটি বিশেষ দলের বিশেষ কার্যালয়ে। সেখানে সেই দলের নির্বাচনের পরিকল্পনা তৈরি হয়, যার প্রধান হলেন এইচ টি ইমাম সাহেব। তিনি যেকোনও নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে যান। সেখানে গিয়ে কথা বলেন। তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন যে, ২০১৪ সালের নির্বাচন তিনি নিজেই করিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তাদের দিয়ে। এখানে আপনি কী গণতন্ত্র আশা করেন। নির্বাচনের ফলাফল কী আশা করবেন?
সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, জাগপা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফুর রহমাম ও যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।