জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পরিকল্পিতভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে কারান্তরীণ করে রাখা হয়েছে। তাকে দীর্ঘদিন কারারুদ্ধ করে রাখতে চায় সরকার। তাকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চায়। এই উদ্দেশ্য নিয়েই ক্ষমতাসীনরা মামলাগুলো সাজাচ্ছে।
বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল দাবি করেন, সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৭৮ হাজার মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ১৮ লাখের ওপর আসামি। খালেদা জিয়ার রায়ে বিএনপি শুধু হতাশ নয়, ক্ষুব্ধও হয়েছি। এ ধরনের একটি মিথ্যা মামলায় তাকে সাজা দেয়া হয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আইন বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনের কাছে আইনি পরামর্শ নেয়ার জন্য গিয়েছিলাম। মামলার সাজার সময় ড. কামাল হোসেন দেশে ছিলেন না। তিনি সবকিছু জানতে চেয়েছেন আমাদের কাছে। খালেদা জিয়ার আইনজীবী রেজাক খান তাকে ব্রিফ করেছেন। রায়ের কপিও তাকে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন, এটা তো অনেক বড়, পড়ে আমরা মন্তব্য জানাবো এবং পরামর্শ দেবো। সেটা তিনি কয়েকটি পত্রিকার রিপোর্টারদের বলেছেন। কিন্তু একটি জাতীয় দৈনিক লিখেছেন তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। আমার অনুরোধ থাকবে- সাংবাদিকরা যখন এসব বিষয় নিয়ে লিখবেন তখন আমাদের সঙ্গে কথা বলে লিখবেন। তাহলে আর ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয় না। কামাল হোসেন অনুরোধ ফিরিয়ে দিয়েছেন এ তথ্য সত্য নয়। এ ধরনের মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়া তিনি পছন্দ করেননি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে বিএনপির ইসির কাছে দেয়া চিঠির বিষয়ে দলটির মহাসচিব বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে যুক্তিসঙ্গত কারণে এই চিঠি দিয়েছি। যখন নির্বাচনের কোনও তফসিল ঘোষণা করা হয়নি,খালেদা জিয়া কারাগারে। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় খরচে বিভিন্ন জায়গায় জনসভা করে একতরফা নৌকার পক্ষে ভোট চাচ্ছেন।এতে সব দলের জন্য সমান মাঠ তৈরি হচ্ছে না। তাই আমরা যৌক্তিক দাবি জানিয়েছি অবিলম্বে এটি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে। আশা করছি নির্বাচন কমিশন পদক্ষেপ নেবে। আর যদি তারা সেটা না করে তাহলে আমরা আগে যে অভিযোগ করেছি নির্বাচন কমিশন সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে, সেটাই প্রমাণ হবে।