বিনোদন ডেস্কঃ
আবু জাহেদ চৌধুরী। থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়।
মাঝে মাঝে দেশে আসেন। নির্মাতা তপু খানের সাথে বেশ সখ্য। একদিন তপু খানকে একটা গল্প শোনালেন। গল্পটা এমন-
ধরা যাক ছেলেটার নাম রাহাত। সে একটা মাল্টিন্যাশনাল কম্পানিতে কাজ করে। বয়স খুব বেশি না, এই ত্রিশ। মা তার জন্য কনে দেখছে। রাহাত বলে দিয়েছে সে তাকেই বিয়ে করবে মার যাকে পছন্দ।
মা কনে দেখে দেখে ক্লান্ত।
বিয়ের বিষয়ে রাহাতের সাথে মার মাঝে-মাঝে কথা হয়। মা রাহাতের কোথাও পছন্দ আছে কিনা জানতে চায়। রাহাত জানায় -তার কোনো পছন্দ নেই। মা জানতে পারে রাহাতের অফিসে অনেক মেয়ে কলিগ আছে এবং তাদের কেউ রাহাত কে পছন্দ করলেও করতে পারে।
মা রাহাত কে বলে তার পছন্দের তিনজন কলিগকে আলাদা আলাদা ভাবে বাসায় নিমন্ত্রণ জানাতে। তারা একে একে রাহাতের বাসায় নিমন্ত্রণে আসে কিছুই না জেনে। মা তাদের সাথে সময় কাটায়। মা কথার ছলেই তাঁদের কাছ থেকে নানাভাবে এটা ওটা জেনে নেয়।
তিনজনের নিমন্ত্রণ পর্ব শেষ হয়ে যায়। দিন পেরিয়ে যায়। একদিন রাহাত-মা বসে তাদের নিয়ে আলোচনা করতে। মা বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দেয় কোন মেয়েটা তার সবচেয়ে পছন্দ। মামুন মায়ের যুক্তি মেনে নেয়। পরদিন রাহাত মায়ের পরীক্ষায় নির্বাচিতাকে জানায় তার মনের কথা।
জাহেদ অবশ্য পুরো গল্পটা শেষ করেছিলেন, কিছু ক্লাইমেক্স তো বাকি থাকেই। তপু খান গল্প পছন্দ করলেন। নাম- ‘কোন আলো লাগলো চোখে। ‘ পাঠিয়ে দিলেন রুম্মন রশীদ খানের কাছে। তিনি চিত্রনাট্য লিখে ফেললেন। শুরু হলো শুটিং- সম্পন্নও হয়ে গেল সম্প্রতি।
রাহাতের স্থলে অভিনয় করেছেন অপূর্ব। এছাড়াও বাকি অভিনয় করেছেন,সালহা নাদিয়া, ডলি জহুর,জারা মিতু,কাজল সুবর্ণা,আযাদ ও ফিরোজ বাদশাহ, নাজমুল ও আরো অনেকে। প্রযোজনা করেছেন আবু জাহেদ চৌধুরী, আলো চৌধুরী ও সাব্বির চৌধুরী।