জাতীয় ডেস্কঃ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলেই এখন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হওয়ার আগে এখন ইনকোয়ারির জন্য তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সেলে যাচ্ছে। যদি অভিযোগ মামলা করার মতো হয় তাহলে মামলা আদালতে যাবে। এর আগে যেন কোনো সাংবাদিককে মামলায় জড়ানো না হয়।’
বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায়-২০২১ তিনি এ কথা বলেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা খর্বের জন্য করা হয়নি জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এখন কিন্তু কোনো সাংবাদিককে মামলা হবার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। আগে যাচাই-বাছাই হয়।
ক্র্যাব সভাপতি মিজান মালিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনিসুল হক বলেন, ১৯৬৪ সাল থেকে আমি খবরের কাগজ পড়ি। তখন আমার বয়স আট। তখন ক্রাইম রিপোর্টিং আলাদাভাবে ছিল না। আগে আইনজীবীদের মধ্যেও এমনটি ছিল। কিন্তু এখন আলাদা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠছে সাংবাদিক ও আইনজীবীরা।
অপরাধের তথ্য এখন অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানার আগেই দিচ্ছে সাংবাদিকরা। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সবার। সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে যে সুসম্পর্ক তা খুবই গভীর হয়েছে। আমাদের দেশে যতো টকশো হয়, এতো টক শো অন্য দেশের গণমাধ্যমে হয় না। বাক-স্বাধীনতা নাই তা বলা যাবে না। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাও হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে। কিন্তু এও জানি এর দুর্ব্যবহার হয়েছে। এটা যাতে বন্ধ হয় সেজন্য পদক্ষেপ নিয়েছি।
গত বছরই ইউনাইটেড ন্যাশনসে ডায়ালগ শুরু করেছি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার বন্ধে করনীয় কি হতে পারে সেটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বেস্ট প্রাকটিস যাতে হয়, আইনের ক্ষমতাবলে বিধিতে সেসব রাখা যাবে যাতে আইনের অপব্যবহার না হয়।
জাতির পিতা স্বাধিকার অধিকার পেশাজীবীদের যে স্বাধীনতা সেটার জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।