খেলাধূলা:
টেস্টে হার। ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দেখাতেও তাই। তবে কি ঘরের মাটিতে আফগানিস্তানই অজেয় হয়ে গেল বাংলাদেশের জন্য? অধিনায়ক সাকিব অন্তত সেকথাটা যেন মানতে নারাজ। তাই ব্যাট হাতে নিজেই হারিয়ে দিলেন আফগানদের। ১৩৯ রানের লক্ষ্য এক ওভার বাকি থাকতেই চার উইকেট হাতে রেখে পূরণ করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। তাই দু’দলের মধ্যে ফাইনালের আগেই বাংলাদেশ ফিরে পেল তার আত্মবিশ্বাস।
লিগ পর্বের চার ম্যাচের তিনটিতে জিতে বাংলাদেশ পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থেকেই গেল ফাইনালে। ফাইনাল আফগানদেরও নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। এই দুই দলের মধ্যেই আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল ম্যাচ।
শনিবার চট্টগ্রামে টস হেরে ব্যাট করতে নামা আফগানদের শুরুটা অবশ্যই বেশ দাপুটেই হয়েছিল। হজরতুল্লাহ জাজাই ও রহমতউল্লাহ গুরবাজ ৭৫ রানের ওপেনিং জুটি গড়েছিলেন। তাতে অনায়াসেই বড় স্কোর গড়া সম্ভব ছিল আফগানদের জন্য। তবে চিত্রনাট্য পাল্টে দেন আফিফ হোসেন। দশম ওভারে বল করতে এসে কোনো রান না দিয়েই তুলে নেন দুই উইকেট।
আফিফের পথ ধরে পরে একে একে আফগান শিবিরে আঘাত হানেন মুস্তাফিজ, সাকিব, সাইফুদ্দিন ও শফিউল। যে কারণে আর সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতেই পারেনি রশিদ বাহিনী। সাত উইকেটে ১৩৮ রানে থামতে হয় আফগানদের।
হজরতউল্লাহর ৩৫ বল থেকে ৪৭ রানের ইনিংসটাই তাদের জন্য ছিল সেরা। এছাড়া রহমতউল্লাহ ২৯ ও শেষ দিকে শফিকউল্লাহ অপরাজিত ২৩ রান করেন। তিন ওভার বল করে ৯ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন আফিফ।
জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটাও ভালো হয়নি। মাত্র ৯ রানের মধ্যে লিটন দাস ও নাজমুল হাসান শান্ত ফিরে যান সাজঘরে। এরপর সাকিব-মুশফিকের ৫৮ রানের জুটিই বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরায়। তবে দলীয় ৭০ রানে মুশফিক (২৬) বিদায় নিলে ফের চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তাকে অনুসরণ করে মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির ও আফিফ আউট হয়ে যান দ্রুতই।
তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে রানের চাকা ঘুরাতে থাকেন সাকিব। বিশেষ করে ১৮তম ওভারে রশিদ খানের বলকেই বেছে নেন এগিয়ে যাওয়ার পাথেয় হিসেবে মোসাদ্দেককে সঙ্গে নিয়ে তুলে নেন ১৮ রান। সাকিবের সঙ্গী মোসাদ্দেকও ১২ বলে ১৯ রান করে জয়ে ভালো একটা অবদান রাখেন। যে কারণে শেষ পর্যন্ত এক ওভার বাকি থাকতেই চার উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ।
সাকিব ৪৫ বল থেকে ৮টি চার ও একটি ছক্কার মারে ৭০ রান করে হয়েছেন জয়ের নায়ক। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।