জাতীয় ডেস্কঃ
সার্চ কমিটিতে আসা প্রত্যেকের নাম মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার পর সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে ৩য় ও শেষ বৈঠক তিনি এ তথ্য জানান।
এদিন বিকেলে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে মতামত নিতে বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সার্চ কমিটি। বৈঠকের শুরুতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার মধ্যে নামের তালিকা জমা দিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সার্চ কমিটির প্রধান আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন এবং কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
বৈঠকে বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে রয়েছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিমকোর্ট বার-এর সাবেক সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরী, সিনিয়র আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল, সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. বোরহান উদ্দিন খান, ব্রতীর শারমিন মুরশীদ, ফেমার মুনিরা খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল।
ইসি যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ে ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ মোট ২৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল সার্চ কমিটির কাছে নাম প্রস্তাব করেছে। পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী গতকাল শুক্রবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে নাম দেয়ার অনুরোধ করেছিল ইসি গঠন সংক্রান্ত সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটি।
‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ অনুসারে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে গত ৫ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আইন অনুযায়ী কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পেশ করতে হবে। কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।