ঢাকা ০৩:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘সার্চ কমিটি নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি’

জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সার্চ কমিটি নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি। সার্চ কমিটিতে সরকারের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক, সরকারি সুবিধাপ্রাপ্ত, সরকারি কাজে নিয়োজিত এমন লোকও রয়েছে। যারা নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, তারপরও আমরা মেনে নিয়েছি। নাম চাওয়া হয়েছিল, সার্চ কমিটির কাছে নাম দিয়েছি। একটি মাত্র কারণে। আমরা গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে কোনো রকম সংঘাত, অস্থিতিশীল, অনিশ্চয়তা ছাড়া সুসংগত অবস্থায় দেখতে চাই।
শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দল নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ও সহায়ক সরকারের দাবিতে সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর জাগপা।
ঢাকা মহানগর জাগপার সভাপতি আসাদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণ এটা বলতে শুরু করেছে, যা ঠিক করে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাই হবে। আমরাও সেটাই দেখতে চাই। জনগণের আশা আকাঙ্খাকার প্রতিফলন ঘটাতে পারছেন কি না? যদি না পারেন ইতিহাসের এক কলঙ্কময় অধ্যায়ে তাদের নাম লিখিত হবে। আর যদি পারেন ইতিহাসের স্বর্ণ খচিত জায়গায় তাদের নাম লেখা থাকবে।
রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা আশা করবো আজকে তিনি (রাষ্ট্রপতি) যে জায়গার আছেন সেখান থেকে জাতিকে এই সংকট থেকে মুক্ত করতে পারেন। একটি নির্বাচন কমিশন দেবেন, যে কমিশন অন্তত শক্তিশালী হয়ে দাঁড়াতে পারে।
নির্বাচন কমিশনের জন্য সার্চ কমিটি গঠনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হয়নি- এমন অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন দেশের স্বার্থে, সংঘাত এড়িয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে ১৩ দফা প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি (রাষ্ট্রপতি) সাড়া দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা জন্য ডেকে ছিলেন। কিন্তু অন্যান্য নিবন্ধিত রাজনৈতিকদলগুলোকে ডাকা উচিত ছিল। এবং তাদেরকে না ডেকে আপনি (রাষ্ট্রপতি) গণতন্ত্রের সে বিষয়কে অবজ্ঞা করেছেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে আপনার কাছে এটা আমরা কোন দিন আশা করিনি। কারণ আপনি শপথ নিয়েছেন, সম্পূর্ণভাবে কোনো রাগ অনুরাগের বশবর্তী হয়ে কোনো কাজ করবেন না, আপনি নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করবেন। আপনি এখন কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা নন। সমগ্র বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। আমরা আশা করবো, পরবর্তিতে আপনি এ বিষয়টিকে বিবেচনায় রাখবেন। এবং নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিকদলকে সময় থাকলে আহ্বান জানাবেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, কী আর বললো! এখন তো সরকার আওয়ামী লীগ চালাচ্ছে না। সরকার চালাচ্ছে এখন পোশাকধারী লোকেরা, তারা আজকে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। যার ফলে রাজনৈতিক কোনো চিন্তাভাবনা আসছে না।
তিনি বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক ও সাংবাদিকদেরকে যেভাবে হয়রানি, অপমান, নির্যাতন করা হয়েছে, তা আর কোনো সরকারের আমলে হয়নি।
খালেদা জিয়ার মামলা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, গত পরশু দিন খালেদা জিয়ার মামলার হাজিরা ছিল আলীয়া মাদ্রাসার মাঠে বিশেষ আদালতে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখে মনে হয়, যে যুদ্ধ ক্ষেত্র। র‌্যাব, পুলিশ, আর্ম পুলিশ ব্যাটেলিয়ান, মোটরসাইকেল, বন্দুক, জলকামান, প্রিজন ভ্যান এমন ভাবে রাখা হয়, যেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় টেরোরিষ্টকে (সন্ত্রাসী) নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটা কোন ধরনের রাজনীতি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে এতটাই দেউলিয়া, রাজনীতিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে না পেরে, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে অন্যায় ও মিথ্যা মামলাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন। তারা গ্রাম্য মোড়লের মত আচরণ করছে।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

‘সার্চ কমিটি নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি’

আপডেট সময় ০১:১৭:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সার্চ কমিটি নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি। সার্চ কমিটিতে সরকারের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক, সরকারি সুবিধাপ্রাপ্ত, সরকারি কাজে নিয়োজিত এমন লোকও রয়েছে। যারা নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, তারপরও আমরা মেনে নিয়েছি। নাম চাওয়া হয়েছিল, সার্চ কমিটির কাছে নাম দিয়েছি। একটি মাত্র কারণে। আমরা গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে কোনো রকম সংঘাত, অস্থিতিশীল, অনিশ্চয়তা ছাড়া সুসংগত অবস্থায় দেখতে চাই।
শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দল নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ও সহায়ক সরকারের দাবিতে সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর জাগপা।
ঢাকা মহানগর জাগপার সভাপতি আসাদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণ এটা বলতে শুরু করেছে, যা ঠিক করে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাই হবে। আমরাও সেটাই দেখতে চাই। জনগণের আশা আকাঙ্খাকার প্রতিফলন ঘটাতে পারছেন কি না? যদি না পারেন ইতিহাসের এক কলঙ্কময় অধ্যায়ে তাদের নাম লিখিত হবে। আর যদি পারেন ইতিহাসের স্বর্ণ খচিত জায়গায় তাদের নাম লেখা থাকবে।
রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা আশা করবো আজকে তিনি (রাষ্ট্রপতি) যে জায়গার আছেন সেখান থেকে জাতিকে এই সংকট থেকে মুক্ত করতে পারেন। একটি নির্বাচন কমিশন দেবেন, যে কমিশন অন্তত শক্তিশালী হয়ে দাঁড়াতে পারে।
নির্বাচন কমিশনের জন্য সার্চ কমিটি গঠনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হয়নি- এমন অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন দেশের স্বার্থে, সংঘাত এড়িয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে ১৩ দফা প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি (রাষ্ট্রপতি) সাড়া দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা জন্য ডেকে ছিলেন। কিন্তু অন্যান্য নিবন্ধিত রাজনৈতিকদলগুলোকে ডাকা উচিত ছিল। এবং তাদেরকে না ডেকে আপনি (রাষ্ট্রপতি) গণতন্ত্রের সে বিষয়কে অবজ্ঞা করেছেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে আপনার কাছে এটা আমরা কোন দিন আশা করিনি। কারণ আপনি শপথ নিয়েছেন, সম্পূর্ণভাবে কোনো রাগ অনুরাগের বশবর্তী হয়ে কোনো কাজ করবেন না, আপনি নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করবেন। আপনি এখন কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা নন। সমগ্র বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। আমরা আশা করবো, পরবর্তিতে আপনি এ বিষয়টিকে বিবেচনায় রাখবেন। এবং নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিকদলকে সময় থাকলে আহ্বান জানাবেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, কী আর বললো! এখন তো সরকার আওয়ামী লীগ চালাচ্ছে না। সরকার চালাচ্ছে এখন পোশাকধারী লোকেরা, তারা আজকে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। যার ফলে রাজনৈতিক কোনো চিন্তাভাবনা আসছে না।
তিনি বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক ও সাংবাদিকদেরকে যেভাবে হয়রানি, অপমান, নির্যাতন করা হয়েছে, তা আর কোনো সরকারের আমলে হয়নি।
খালেদা জিয়ার মামলা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, গত পরশু দিন খালেদা জিয়ার মামলার হাজিরা ছিল আলীয়া মাদ্রাসার মাঠে বিশেষ আদালতে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখে মনে হয়, যে যুদ্ধ ক্ষেত্র। র‌্যাব, পুলিশ, আর্ম পুলিশ ব্যাটেলিয়ান, মোটরসাইকেল, বন্দুক, জলকামান, প্রিজন ভ্যান এমন ভাবে রাখা হয়, যেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় টেরোরিষ্টকে (সন্ত্রাসী) নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটা কোন ধরনের রাজনীতি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে এতটাই দেউলিয়া, রাজনীতিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে না পেরে, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে অন্যায় ও মিথ্যা মামলাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন। তারা গ্রাম্য মোড়লের মত আচরণ করছে।