ঢাকা ০২:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেসে-খেলে জিতল ইংল্যান্ড

খেলাধূলা :

সহজ জয় দিয়ে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করলো সফরকারী ইংল্যান্ড। আজ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ইংলিশরা ৭ উইকেটে হারিয়েছে কিউইদের। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ইংল্যান্ড।

ক্রাইস্টচার্চে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ব্যাট হাতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ওপেনার মার্টিন গাপটিলকে ২ রানের বেশি করতে দেননি ইংল্যান্ডের বাঁ-হাতি পেসার স্যাম কারান।

দলীয় ৬ রানে গাপটিলকে হারানোর পর দলের রানের চাকা সচল করেন আরেক ওপেনার কলিন মুনরো ও উইকেটরক্ষক টিম সেইফার্ট। দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করে সফলও হন এই জুটি। তবে পাওয়ার প্লে’র শেষ বলে বিচ্ছিন্ন হতে হয় মুনরো-সেইফার্টকে। ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ২০ বলে ২১ রান করা মুনরোকে নিজের প্রথম শিকার বানান ইংল্যান্ডের পেসার ক্রিস জর্ডান। জুটিতে ১৯ বলে ৩৩ রান যোগ করেন মুনরো-সেফার্ট।

এরপর কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে নিয়ে আবারো বড় জুটির চেষ্টা করেন সেইফার্ট। এখানেও সফল হন তারা। এ জুটিতেও ৩৩ রান আসার পর বিচ্ছিন্ন সেইফার্ট-ডি গ্র্যান্ডহোম। ১৪ বলে ১৯ রান করা গ্র্যান্ডহোমকে বিদায় দেন ইংল্যান্ডের স্পিনার আদিল রশিদ।

উইকেটের সাথে মানিয়ে নেয়া ও দু’টি জুটিতে ভালো অবদান রাখলেও নিজের ইনিংসটি বড় করতে পারেননি সেইফার্ট। ১টি করে চার-ছক্কায় ২৬ বলে ব্যক্তিগত ৩২ ও দলীয় ৯৩ রানে জর্ডানের দ্বিতীয় শিকার হন

১৪তম ওভারে প্রথম বলে চতুর্থ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ফলে শেষ ৪১ বল থেকে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেয়ার দায়িত্ব পান রস টেইলর ও ড্যারিল মিচেল। বড় স্কোর এনে দিতে না পারলেও, লড়াই করার মত পুঁজি এনে দেন টেইলর ও মিচেল। ৩৮ বলে ৫৬ রানের জুটি গড়েন তারা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৩ রানের সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৫ বলে ৪৪ রান করে আউট হন টেইলর। ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৭ বলে ৩০ রানে অপরাজিত মিচেল। ইংল্যান্ডের জর্ডান ২৮ রানে ২ উইকেট নেন।

জবাবে রানের তোলার গতি বেশি না হলেও শুরুটা ভালোই হয় ইংল্যান্ডের। বলের সাথে পাল্লা দিয়ে ৩৪ বলে ৩৭ রানের জুটি গড়েন ইংলিশ দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালান। এরমধ্যে মাত্র ১১ রান অবদান ছিলো মালানের। ১৩ বলে মোকাবেলা করে মাত্র ২টি চার মারেন তিনি।

এরপর জেমস ভিন্সকে নিয়ে রানের চাকা সচল রেখে দলকে লড়াইয়ে রাখেন বেয়ারস্টো। তবে জুটিতে ৩১ রান আসার পরই বিচ্ছিন্ন তারা। ২৮ বলে ৩৫ রান করা বেয়ারস্টোকে আউট করেন ইংল্যান্ডের প্রথম উইকেট শিকারি স্বাগতিকদের বাঁ-হাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনার। আউট হওয়ার আগে বেয়ারস্টো ৫টি চার ও ১টি ছক্কা দিয়ে নিজের ইনিংস সাজান।

বেয়ারস্টোর বিদায়ের পর ক্রিজে ভিন্সের সঙ্গী হন নিয়মিত অধিনায়ক ইয়োইন মরগান। জুটি বেঁধেই নিউজিল্যান্ডের বোলারদের চড়াও হন দু’জন। ফলে ১৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলেই শতরানে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ডের সংগ্রহ। বাউন্ডারি দিয়ে দলের স্কোর তিন অংকে পৌঁছানোর সাথে-সাথে ৯ ম্যাচের টি-২০ ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদও নেন ভিন্স। হাফ-সেঞ্চুরির পর ব্যক্তিগত ৫৯ রানে থেমে যান ভিন্স। স্যান্টনারের তৃতীয় শিকার হওয়া আগে ৩৮ বল মোকাবেলা করে ৭টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন ভিন্স। মরগানের সাথে ৩৩ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন তিনি।

ভিন্স যখন আউট হন তখন জয়ের জন্য ২৮ বলে ৩২ রান দরকার ছিলো ইংল্যান্ডের। দলের বাকী প্রয়োজন মিটিয়েছেন মরগান ও স্যাম বিলিংস। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে চার ও তৃতীয় ছক্কা মেরে ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন মরগান। তখনও ম্যাচের ৯ বল বাকী ছিলো। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ২১ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করেন মরগান। ১১ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন বিলিংস। নিউজিল্যান্ডের স্যান্টনারের ২৩ রানে ৩ উইকেট শিকার শেষ পর্যন্ত বিফলে যায়।

ম্যাচ সেরা হয়েছেন ইংল্যান্ডের ভিন্স। ওয়েলিংটনে আগামী ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেসে-খেলে জিতল ইংল্যান্ড

আপডেট সময় ১২:৫৬:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০১৯

খেলাধূলা :

সহজ জয় দিয়ে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করলো সফরকারী ইংল্যান্ড। আজ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ইংলিশরা ৭ উইকেটে হারিয়েছে কিউইদের। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ইংল্যান্ড।

ক্রাইস্টচার্চে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ব্যাট হাতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ওপেনার মার্টিন গাপটিলকে ২ রানের বেশি করতে দেননি ইংল্যান্ডের বাঁ-হাতি পেসার স্যাম কারান।

দলীয় ৬ রানে গাপটিলকে হারানোর পর দলের রানের চাকা সচল করেন আরেক ওপেনার কলিন মুনরো ও উইকেটরক্ষক টিম সেইফার্ট। দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করে সফলও হন এই জুটি। তবে পাওয়ার প্লে’র শেষ বলে বিচ্ছিন্ন হতে হয় মুনরো-সেইফার্টকে। ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ২০ বলে ২১ রান করা মুনরোকে নিজের প্রথম শিকার বানান ইংল্যান্ডের পেসার ক্রিস জর্ডান। জুটিতে ১৯ বলে ৩৩ রান যোগ করেন মুনরো-সেফার্ট।

এরপর কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে নিয়ে আবারো বড় জুটির চেষ্টা করেন সেইফার্ট। এখানেও সফল হন তারা। এ জুটিতেও ৩৩ রান আসার পর বিচ্ছিন্ন সেইফার্ট-ডি গ্র্যান্ডহোম। ১৪ বলে ১৯ রান করা গ্র্যান্ডহোমকে বিদায় দেন ইংল্যান্ডের স্পিনার আদিল রশিদ।

উইকেটের সাথে মানিয়ে নেয়া ও দু’টি জুটিতে ভালো অবদান রাখলেও নিজের ইনিংসটি বড় করতে পারেননি সেইফার্ট। ১টি করে চার-ছক্কায় ২৬ বলে ব্যক্তিগত ৩২ ও দলীয় ৯৩ রানে জর্ডানের দ্বিতীয় শিকার হন

১৪তম ওভারে প্রথম বলে চতুর্থ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ফলে শেষ ৪১ বল থেকে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেয়ার দায়িত্ব পান রস টেইলর ও ড্যারিল মিচেল। বড় স্কোর এনে দিতে না পারলেও, লড়াই করার মত পুঁজি এনে দেন টেইলর ও মিচেল। ৩৮ বলে ৫৬ রানের জুটি গড়েন তারা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৩ রানের সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৫ বলে ৪৪ রান করে আউট হন টেইলর। ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৭ বলে ৩০ রানে অপরাজিত মিচেল। ইংল্যান্ডের জর্ডান ২৮ রানে ২ উইকেট নেন।

জবাবে রানের তোলার গতি বেশি না হলেও শুরুটা ভালোই হয় ইংল্যান্ডের। বলের সাথে পাল্লা দিয়ে ৩৪ বলে ৩৭ রানের জুটি গড়েন ইংলিশ দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালান। এরমধ্যে মাত্র ১১ রান অবদান ছিলো মালানের। ১৩ বলে মোকাবেলা করে মাত্র ২টি চার মারেন তিনি।

এরপর জেমস ভিন্সকে নিয়ে রানের চাকা সচল রেখে দলকে লড়াইয়ে রাখেন বেয়ারস্টো। তবে জুটিতে ৩১ রান আসার পরই বিচ্ছিন্ন তারা। ২৮ বলে ৩৫ রান করা বেয়ারস্টোকে আউট করেন ইংল্যান্ডের প্রথম উইকেট শিকারি স্বাগতিকদের বাঁ-হাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনার। আউট হওয়ার আগে বেয়ারস্টো ৫টি চার ও ১টি ছক্কা দিয়ে নিজের ইনিংস সাজান।

বেয়ারস্টোর বিদায়ের পর ক্রিজে ভিন্সের সঙ্গী হন নিয়মিত অধিনায়ক ইয়োইন মরগান। জুটি বেঁধেই নিউজিল্যান্ডের বোলারদের চড়াও হন দু’জন। ফলে ১৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলেই শতরানে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ডের সংগ্রহ। বাউন্ডারি দিয়ে দলের স্কোর তিন অংকে পৌঁছানোর সাথে-সাথে ৯ ম্যাচের টি-২০ ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদও নেন ভিন্স। হাফ-সেঞ্চুরির পর ব্যক্তিগত ৫৯ রানে থেমে যান ভিন্স। স্যান্টনারের তৃতীয় শিকার হওয়া আগে ৩৮ বল মোকাবেলা করে ৭টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন ভিন্স। মরগানের সাথে ৩৩ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন তিনি।

ভিন্স যখন আউট হন তখন জয়ের জন্য ২৮ বলে ৩২ রান দরকার ছিলো ইংল্যান্ডের। দলের বাকী প্রয়োজন মিটিয়েছেন মরগান ও স্যাম বিলিংস। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে চার ও তৃতীয় ছক্কা মেরে ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন মরগান। তখনও ম্যাচের ৯ বল বাকী ছিলো। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ২১ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করেন মরগান। ১১ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন বিলিংস। নিউজিল্যান্ডের স্যান্টনারের ২৩ রানে ৩ উইকেট শিকার শেষ পর্যন্ত বিফলে যায়।

ম্যাচ সেরা হয়েছেন ইংল্যান্ডের ভিন্স। ওয়েলিংটনে আগামী ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি।