জাতীয় ডেস্কঃ
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ীর অদূরে গুটাটিকর এলাকায় একটি মাদ্রাসার সামনে জনতার ভিড়ে শনিবার সন্ধ্যায় বোমা বিস্ফোরণে ৭ জন আহত হয়েছে। তাদেরকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় যখন শিববাড়িতে অপারেশন ‘টোয়াইলাইট’ সম্পর্কে সেনাবাহিনীর প্রেস ব্রিফিং চলছিল। একদিকে শিববাড়ীতে আতিয়া মহলের নিচ তালায় অবস্থানরত সন্দেহভাজন জঙ্গিদের আটকের জন্য অভিযান চলছে, অন্যদিকে এর কাছাকাছি গোটাটিকর এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা সিলেটের আইনশৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তার বিষয়ে নতুন মোড় নিয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতি সিলেটবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। সিলেটের বিশিষ্টজনরা মনে করেন, সিলেটে আরো ভয়ঙ্কর জঙ্গি গোষ্ঠীর অবস্থান থাকতে পারে। এদের খোঁজ পাওয়া দরকার। অনেকেই বলেছেন বিষয়টিকে কোনভাবেই খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। এদিকে ঘটনার পর পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে পৌঁছেছে। স্থানীয় সূত্র জানায় , অবিস্ফোরিত একটি বোমা ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিং: আতিয়া মহলে অপারেশন অব্যাহত
দুদিন থেকে বহুল আলোচিত সিলেটের শিববাড়িতে অপারেশন অব্যাহত রয়েছে বলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় অভিযানে অংশ নেয়া সেনা সদস্যদের পক্ষ থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল হাসান সাংবাদিকদের ব্রিফিং কালে এ তথ্য জানান। এসময় জানানো হয়,জঙ্গি আস্তানা ‘আতিয়া মহল’র ভেতরে বেশ কয়েকজন জঙ্গি রয়েছে। ঐ ভবনের ৭৮ জন জিম্মি ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সেনা কর্তৃপক্ষ জানান জঙ্গিরা ৮-১০ টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল হাসান জানান কত জন জঙ্গি সেখানে আছে তার সঠিক হিসাব এখনি বলা যাচ্ছেনা। শনিবার সকাল ৮ টার দিকে সেনা কমান্ডোরা সেখানকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ‘টোয়াইলাইট’ (গোধূলি) নামের ওই অভিযান শুরু করেন। সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের লে. কর্নেল ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার পাঠানপাড়া সড়কের পাশে অবস্থিত পাঁচতলা ও চারতলাবিশিষ্ট দুটি ভবনের নাম আতিয়া মহল। সিলেট নগরীর আতিয়া ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির বান্দরঘাটের (বন্দরঘাট) বাসিন্দা উস্তার মিয়া।
পাঁচতলা ভবনটিতে ৩০টি ফ্ল্যাটে মোট ২৮টি পরিবার ভাড়া থাকেন। ভবনের নিচ তলার একটি ফ্ল্যাট গত জানুয়ারি মাসে প্রাণ কোম্পানির অডিট অফিসার পরিচয়ে ভাড়া নেন কাওসার আহমদ ও মর্জিনা বেগম দম্পত্তি।