জাতীয় ডেস্কঃ
জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণে ভোটার সংখ্যার পাশাপাশি এলাকার আয়তন বিবেচনায় আনতে আগ্রহী নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে কমিশনের বক্তব্য, ‘সীমানা নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় শুধু জনসংখ্যার উপর ভিত্তি না করে ভোটার সংখ্যা এবং সংসদীয় এলাকার আয়তন বিবেচনায় নেওয়ার জন্য আইনি কাঠামোতে সংস্কার আনা প্রয়োজন।’ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে একটি অনানুষ্ঠানিক সভায় সংলাপের দিনক্ষণ ও নির্বাচন কেন্দ্রিক খসড়া কর্মপরিকল্পনার সর্বশেষ সংশোধনীতে বিষয়টি সম্পর্কে কমিশনের ওই বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে।
সর্বশেষ সংশোধনীতে সংলাপের প্রস্তাবিত সময়সূচিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ প্রস্তাবনা অনুসারে ৩০ জুলাই সুশীল সমাজের সঙ্গে সংলাপের পর গণমাধ্যমের সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপ হবে ৭ আগস্ট। নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সাথে সংলাপ হবে ১২ আগস্ট। নির্বাচন পরিচালনা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা হবে ২০ আগস্ট। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ হবে ২৪ আগস্ট থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত। সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবরের মধ্যে সংলাপ হবে। ১৮ নভেম্বর পাওয়া সুপারিশমালার প্রাথমিক খসড়া প্রস্তুত হবে। সুপারিশমালা চূড়ান্ত হবে ১৮ ডিসেম্বর।
এদিকে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ও প্রক্রিয়াতে যেসব বিদেশি শব্দ আছে তা বাংলায় রূপান্তর করতে আগ্রহী বর্তমান নির্বাচন কমিশন। কমিশনের ভাষায়, কতকগুলো বিদেশি শব্দ নির্বাচন প্রক্রিয়ার ঘাড়ে চেপে বসে আছে। যেমন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের মেয়র ইত্যাদি। যুত্সই বাংলা শব্দ প্রয়োজন। যেমন: ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শব্দগুলো পল্লী পরিষদ প্রধান/ অধিকর্তা/ আধিকারিক শব্দগুলো দিয়ে প্রতিস্থাপিত হতে পারে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর শব্দ দুটি ‘মহল্লা প্রধান’-এ প্রতিস্থাপিত হতে পারে। মেয়র শব্দটি পাল্টে নগর অধিকারী করা যেতে পারে। ‘রিটার্নিং অফিসার’ প্রতিস্থাপিত হতে পারে ‘নির্বাচন পরিচালক’ নামে। একইভাবে প্রিজাইডিং অফিসারকে ‘কেন্দ্র পরিচালক’, পোলিং অফিসারকে ‘গোপন কক্ষ সংরক্ষক’, বুথকে ‘গোপন কক্ষ’, পোলিং এজেন্টকে ‘নির্বাচন সহায়ক’ ব্যালট বাক্সকে ‘ভোট বাক্স’, ব্যালট পেপারকে ‘ভোট পত্র’ -এসব নামে প্রতিস্থাপিত করা যেতে পারে।
এছাড়া সংসদ নির্বাচনের আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এবং সীমানা নির্ধারণ আইনকে ইংরেজি থেকে বাংলায় রূপান্তরে আগ্রহী নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সংশোধিত খসড়াতে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশন ৭ দফা কর্মপরিকল্পনার সাথে সাথে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর উপর ধারাবাহিকভাবে কাজ করার প্রস্তুতি নিতে চায়। এগুলো হচ্ছে- ক. নির্বাচনে প্রতীকের ব্যবহার বাতিল; খ. নির্বাচনী আইন ও বিধি বিধানে বিদেশি শব্দের বদলে বাংলা শব্দের ব্যবহার; গ. নির্বাচন কমিশন নিয়োগ বিষয়ে আইন প্রণয়ন।