ঢাকা ১১:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে শিল্প-কারখানার অনুমোদনে নিষেধাজ্ঞা

জাতীয় ডেস্কঃ
বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের আশপাশে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে নতুন শিল্প-কারখানার অনুমোদন দেয়ার উপর বৃহস্পতিবার নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারিসহ আদেশ দেয়। একই সঙ্গে ওই ১০ কিলোমিটারের মধ্যে বর্তমানে কতগুলো শিল্প-কারখানা রয়েছে তার তালিকা ছয় মাসের মধ্যে দাখিলে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
সুন্দরবনের আশেপাশে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা শিল্প-কারখানার অন্যত্র সরিয়ে নিতে সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ ফরিদুল ইসলাম হাইকোর্টে ৪ এপ্রিল রিটটি দায়ের করেন। রিটে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও বরগুনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং পুলিশ সুপার (এসপি) রেসপনডেন্ট (প্রতিপক্ষ) করা হয়।
ব্যারিস্টার জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সুন্দরবনের আশপাশে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে নতুন কোনো শিল্প-কারখানার অনুমোদন দেয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কতগুলো শিল্প-কারখানা রয়েছে তার হিসেব ছয় মাসের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শিল্প কারখানা স্থাপনের অনুমোদন কেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ১৯৯৯ সালের ৩০ আগস্টের প্রজ্ঞাপনের লংঘন হবে না এবং নতুন শিল্প কারখানা কেন অপসারণ করা হবে না- তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
রিট আবেদনটিতে বলা হয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ১৯৯৯ সালের ৩০ আগস্ট এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সুন্দরবনকে সংরক্ষিত বন এবং এর চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকাকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে। এ প্রজ্ঞাপন অনুসারে সুন্দরবনের চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকায় ভূমি, পানি, বায়ু ও শব্দ দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যাবে না। পরিবেশ অধিদফতর ইতোমধ্যে প্রায় ১৫০টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে প্রকল্প করার জন্য অবস্থানগত ছাড়পত্র দিয়েছে। যার মধ্যে জাহাজ ভাঙা শিল্পসহ পরিবেশ দূষণকারী প্রকল্প রয়েছে বলেও গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়। এসব শিল্পকারখানা স্থাপনের অনুমোদন দেয়া সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদ ও পরিবেশ আইন ১৯৯৫-এর সুস্পষ্ট লংঘন। তাছাড়া এসব শিল্প কারাখানা সুন্দরবনের জন্য হুমকিস্বরূপ বলে রিটে দাবি করা হয়।
রিটটির ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট উল্লেখিত আদেশ দেয়।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি ছাত্রদলের

সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে শিল্প-কারখানার অনুমোদনে নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় ০৭:১০:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের আশপাশে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে নতুন শিল্প-কারখানার অনুমোদন দেয়ার উপর বৃহস্পতিবার নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারিসহ আদেশ দেয়। একই সঙ্গে ওই ১০ কিলোমিটারের মধ্যে বর্তমানে কতগুলো শিল্প-কারখানা রয়েছে তার তালিকা ছয় মাসের মধ্যে দাখিলে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
সুন্দরবনের আশেপাশে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা শিল্প-কারখানার অন্যত্র সরিয়ে নিতে সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ ফরিদুল ইসলাম হাইকোর্টে ৪ এপ্রিল রিটটি দায়ের করেন। রিটে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও বরগুনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং পুলিশ সুপার (এসপি) রেসপনডেন্ট (প্রতিপক্ষ) করা হয়।
ব্যারিস্টার জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সুন্দরবনের আশপাশে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে নতুন কোনো শিল্প-কারখানার অনুমোদন দেয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কতগুলো শিল্প-কারখানা রয়েছে তার হিসেব ছয় মাসের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শিল্প কারখানা স্থাপনের অনুমোদন কেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ১৯৯৯ সালের ৩০ আগস্টের প্রজ্ঞাপনের লংঘন হবে না এবং নতুন শিল্প কারখানা কেন অপসারণ করা হবে না- তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
রিট আবেদনটিতে বলা হয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ১৯৯৯ সালের ৩০ আগস্ট এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সুন্দরবনকে সংরক্ষিত বন এবং এর চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকাকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে। এ প্রজ্ঞাপন অনুসারে সুন্দরবনের চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকায় ভূমি, পানি, বায়ু ও শব্দ দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যাবে না। পরিবেশ অধিদফতর ইতোমধ্যে প্রায় ১৫০টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে প্রকল্প করার জন্য অবস্থানগত ছাড়পত্র দিয়েছে। যার মধ্যে জাহাজ ভাঙা শিল্পসহ পরিবেশ দূষণকারী প্রকল্প রয়েছে বলেও গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়। এসব শিল্পকারখানা স্থাপনের অনুমোদন দেয়া সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদ ও পরিবেশ আইন ১৯৯৫-এর সুস্পষ্ট লংঘন। তাছাড়া এসব শিল্প কারাখানা সুন্দরবনের জন্য হুমকিস্বরূপ বলে রিটে দাবি করা হয়।
রিটটির ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট উল্লেখিত আদেশ দেয়।