জাতীয় ডেস্কঃ
বাগেরহাটে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে প্রধান রানা ওরফে পান্না বাহিনীর প্রধানসহ ৩ সদস্য নিহত হয়েছে। পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের পশুর নদীর চরপুটিয়া এলাকার খোন্তা-কোদালিয়া খালে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার সকাল ৭টা থেকে প্রায় ১ ঘন্টা ধরে চলা এই বন্দুকযুদ্ধে দুইজন র্যাব সদস্য আহত হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে এক মাত্র বাহিনীর প্রধান রানা ওরফে পান্নার বাড়ি বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নে। র্যাবের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
র্যাব-৬ এর স্পেশাল কোম্পানী কমান্ডার মেজর মো. শামীম সরকার জানান, বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের পশুর নদীর চরপুটিয়া এলাকার খুন্তা-কোদালিয়া খালে বনদস্যুরা অবস্থান নিয়েছে এমন গোপন খবর পেয়ে সকাল ৭টায় ওই এলাকায় র্যাব অভিযান শুরু করে। এ সময়ে সুন্দরবনের ভিতরে লুকিয়ে থাকা বনদস্যুরা র্যাবের ওপর গুলি বর্ষণ করে। এক পর্যায়ে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়।
বন্দুকযুদ্ধের সময়ে ২ র্যাব সদস্যও আহত হয়। বন্দুকযুদ্ধ প্রায় ১ ঘন্টা পর শেষ হলে র্যাব সদস্যরা ওই এলাকায় তাল্লাশি করে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিন বনদস্যু, ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি নৌকা ও বিপুল সংখ্যাক গোলাবারুদ উদ্ধার করে। এ সময়ে সুন্দরবনের জেলে, মৌয়ালসহ বনজীবীরা আহত তিনজনের মধ্যে বনদস্যু রানা ওরফে পান্না বাহিনীর প্রধান রানা ওরফে পান্না, জুলহাস ও কামরুজ্জামান বলে শনাক্ত করে।
দ্রুত আহত দুই র্যাবসহ গুলিবিদ্ধ ৩ বনদস্যু সদস্যদের মোংলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাফিউল হাসান তাদের তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহত তিন বনদস্যুর লাশসহ উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র-গোলাবারুদ ও বনদস্যুদের ব্যবহৃত নৌকাটি মোংলা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাব।