জাতীয় ডেস্কঃ
প্যানেলবিহীন নির্বাচনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির (২০১৭-২০১৮) ১৪টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সম্পাদকসহ আটটি পদে জয়লাভ করেছেন বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী প্রার্থীরা। এ ছাড়া ছয়টি পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীরা। নির্বাচনে সভাপতি পদে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ১ হাজার ৯২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থী আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু পেয়েছেন ১ হাজার ৮৯৫ ভোট। ৩৩ ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছেন অ্যাডভোকেট জয়নুল। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এম মাহবুবউদ্দিন খোকন ১ হাজার ৯১৬ ভোট পেয়ে সম্পাদক পদে জয়লাভ করেছেন। একই পদে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদু পেয়েছেন ১ হাজার ৮৪৬ ভোট। ৭০ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বারের বর্তমান সম্পাদক খোকন। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো সম্পাদক পদে নির্বাচিত হলেন বিএনপির এই নেতা।
এ ছাড়া বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী প্রার্থীদের মধ্যে সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম বেগম রেখা, সহ-সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা দীপ্তি এবং সদস্য পদে অ্যাডভোকেট শেখ তাহসিন আলী, অ্যাডভোকেট আয়েশা আক্তার, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ হাসিবুর রহমান ও অ্যাডভোকেট মৌসুমি আক্তার জয়লাভ করেছেন।
অপরদিকে আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবী প্রার্থীদের মধ্যে সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মো. অজিউল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ পদে অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম হিরু, সহ-সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মো. শফিকুল ইসলাম এবং সদস্য পদে অ্যাডভোকেট মো. হাবিবুর রহমান হাবিব, অ্যাডভোকেট এবিএম নূরে আলম উজ্জ্বল ও অ্যাডভোকেট কুমার দেবুল দে জয় পেয়েছেন।
গত বুধ ও বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দুদিনব্যাপী নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৩ হাজার ৯২৮ জন আইনজীবী ভোট প্রদান করেন। ভোট প্রদান শেষে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় গণনা শুরু হয়। গণনা শেষে শুক্রবার সকালে ফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এওয়াই মশিউজ্জামান।
এবারের নির্বাচনে ২০১৭-২০১৮ সালের কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪টি পদের বিপরীতে মোট ৩১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে সভাপতি, ২টি সহ-সভাপতি, সম্পাদক, ২টি সহ-সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ এবং ৭টি সদস্য পদে নেতা নির্বাচনের লক্ষ্যে ভোট দেন আইনজীবীরা। গত এক দশক ধরে আওয়ামী ও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা ‘সাদা’ ও ‘নীল’ প্যানেলে নির্বাচন করতেন। কিন্তু নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা অনুসরণ করার কারণেই এবার সেই সুযোগ হারান তারা। তবে প্যানেল না থাকলেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে আওয়ামী ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের মধ্যে।