জাতীয় ডেস্ক:
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বেসামরিক প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ত্রাণকাজে সমন্বয় ফিরে এসেছে।
আজ সোমবার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী রেজিস্ট্রেশন ক্যাম্পে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণকালে তিনি একথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শরণার্থীদের জন্য প্রচুর পরিমাণ ত্রাণ আসছে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ জমা আছে। গত এক মাসে ত্রাণ বিতরণে কোনো প্রকার বিশৃংখলা হয়নি। এমনকি একজন মানুষও অনাহারে মারা যায়নি। জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক কর্মী, সামাজিক সংগঠন এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ত্রাণকাজে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করছে। শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে চলাচলের রাস্তা, শেড এবং পর্যাপ্ত স্যানিটেশনের ব্যবস্থা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ শিং, সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগসহ স্থানীয় প্রশাসন এবং দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সোমবার সকালে মন্ত্রী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের দুর্গম তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ত্রাণ বিতরণ করেন। এ সময়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিশ্ব জনমত প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত পাঁচ দফা প্রস্তাবের পক্ষে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে।
তিনি বলেন, ত্রাণ বিতরণ, পরিবহণ এবং শরণার্থী ক্যাম্পসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার নিরাপত্তার বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সাথে দেখছে। ইতোমধ্যে চালু হওয়া বারোটি ত্রাণ বিতরণ ক্যাম্প এবং আটটি নোঙরখানার কার্যক্রম সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী। বারোটি ক্যাম্পে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট এবং নলকূল স্থাপন করা হচ্ছে। বাসস।