এর আগে ১২৪ কেজি সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার বিমানবন্দর থানায় ১০ বিমান কর্মীসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কাস্টমস গোয়েন্দা বিভাগ। তবে এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত কোনো আসামিকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- বাংলাদেশ বিমানের সুইপিং সুপারভাইজার আবু জাফর, এয়ারক্রাফট মেকানিক মাসুদ, সিকিউরিটি অফিসার কামারুল হাসান, ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসার সালেহ আহমেদ, মজিবর রহমান, এসিসট্যান্ট এয়ারক্রাফট মেকানিক আনিস উদ্দিন ভুঁইয়া, প্রকৌশল হ্যাংগারের মেকানিক ওসমান গণি, জুনিয়র ইন্সপেকশন অফিসার শাহাজাহান সিরাজ, রায়হান আলী ও মাকসুদ।
এ ব্যাপারে বিমানবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ আলম গণমাধ্যমকে জানান, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বিমানের কর্মকর্তাদের আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেকোনো সময় গ্রেফতার করা হবে।
তবে বাকি চারজন কবে নাগাদ গ্রেফতার হবেন তা জানাতে অসম্মতি প্রকাশ করেন ওসি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৪ জুলাই বিমানের কার্গো থেকে ১২৪ কেজির সোনার একটি বড় চালান আটক করে কাস্টমস গোয়েন্দা বিভাগ। ওই ঘটনার পর কাস্টমসের ছয় সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। এতে ১৪ জনের সংশ্লিষ্টতা পায় তদন্ত দল। এদের মধ্যে ১০ জন বিমান কর্মকর্তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।