ঢাকা ১২:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৌদির কর প্রস্তাবে প্রবাসীদের মাথায় হাত

প্রবাস ডেস্কঃ

অভিবাসী শ্রমিকদের আয়ের ওপর ৬ শতাংশ করারোপে সৌদি সরকারের প্রস্তাবে রীতিমতো মাথায় হাত দেয়ার মতো অবস্থা হয়েছে বাংলাদেশিসহ বিদেশি শ্রমিকদের।

উদ্বিগ্ন শ্রমিকরা তাদের কঠোর শ্রমে অর্জিত আয়ের ওপর করারোপ না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বিভিন্ন দেশের শ্রমিকরা এ বিষয়ে একমত যে, শ্রমে-ঘামে অর্জিত এই আয়ের ওপর করারোপ করা সঠিক হবে না।

জেদ্দায় আইটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত পাকিস্তানি গাফ্ফার খান বলেন, ‘মোটের ওপর আমাদের আয় থেকে এখানেই (সৌদিতে) ব্যয় থাকে বেশী। চাকরি থেকে অবসরের দিনগুলো এবং ছেলেমেয়ের উচ্চশিক্ষার জন্য সঞ্চয় হিসেবে সামান্য পরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়ে থাকি। এর ওপর ৬ শতাংশ করারোপ মানে আমাদের কঠোর শ্রমের ওপর করারোপ করা।’

ফিলিপিনো নাগরিক ননি সাগাদাল বলেন, ‘এ প্রস্তাব আমাদের জন্য দুঃখজনক। ফিলিপাইন সরকারও আমাদের ওপর করারোপ করে না। আমরা আশা করি, শ্রমিক গ্রহণকারী দেশও এটা করবে না, সৌদি সরকার এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করবে।’

বাংলাদেশি শ্রমিক মহিদ জানান, আমাদের আয়ের ওপর যদি কর বসানো হয় তাহলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে বাংলাদেশের সরকার।

বলা হচ্ছে, বেতন বাড়ার কারণেই করারোপের বিষয়টি আসছে। তবে ২০১৫ সালে স্বল্পসংখ্যক অভিবাসী শ্রমিকের বেতন বেড়ছে, অধিকাংশ শ্রমিকেরই বেতন বাড়েনি।

প্রসঙ্গত, সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক সৌদি আরবে কর্মরত। সম্প্রতি দেশটিতে বাংলাদেশি শ্রমিক প্রেরণ কমেছে। এছাড়া প্রবাসী আয়ের ধারাও নিম্নমুখী। ফলে করারোপের বিষয়টি চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

আল্লাহ্ ও রাসূলকে কটুক্তিকারীর বিচারের দাবিতে মুরাদনগরে বিক্ষোভ মিছিল

সৌদির কর প্রস্তাবে প্রবাসীদের মাথায় হাত

আপডেট সময় ০৪:১২:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০১৬

প্রবাস ডেস্কঃ

অভিবাসী শ্রমিকদের আয়ের ওপর ৬ শতাংশ করারোপে সৌদি সরকারের প্রস্তাবে রীতিমতো মাথায় হাত দেয়ার মতো অবস্থা হয়েছে বাংলাদেশিসহ বিদেশি শ্রমিকদের।

উদ্বিগ্ন শ্রমিকরা তাদের কঠোর শ্রমে অর্জিত আয়ের ওপর করারোপ না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বিভিন্ন দেশের শ্রমিকরা এ বিষয়ে একমত যে, শ্রমে-ঘামে অর্জিত এই আয়ের ওপর করারোপ করা সঠিক হবে না।

জেদ্দায় আইটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত পাকিস্তানি গাফ্ফার খান বলেন, ‘মোটের ওপর আমাদের আয় থেকে এখানেই (সৌদিতে) ব্যয় থাকে বেশী। চাকরি থেকে অবসরের দিনগুলো এবং ছেলেমেয়ের উচ্চশিক্ষার জন্য সঞ্চয় হিসেবে সামান্য পরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়ে থাকি। এর ওপর ৬ শতাংশ করারোপ মানে আমাদের কঠোর শ্রমের ওপর করারোপ করা।’

ফিলিপিনো নাগরিক ননি সাগাদাল বলেন, ‘এ প্রস্তাব আমাদের জন্য দুঃখজনক। ফিলিপাইন সরকারও আমাদের ওপর করারোপ করে না। আমরা আশা করি, শ্রমিক গ্রহণকারী দেশও এটা করবে না, সৌদি সরকার এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করবে।’

বাংলাদেশি শ্রমিক মহিদ জানান, আমাদের আয়ের ওপর যদি কর বসানো হয় তাহলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে বাংলাদেশের সরকার।

বলা হচ্ছে, বেতন বাড়ার কারণেই করারোপের বিষয়টি আসছে। তবে ২০১৫ সালে স্বল্পসংখ্যক অভিবাসী শ্রমিকের বেতন বেড়ছে, অধিকাংশ শ্রমিকেরই বেতন বাড়েনি।

প্রসঙ্গত, সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক সৌদি আরবে কর্মরত। সম্প্রতি দেশটিতে বাংলাদেশি শ্রমিক প্রেরণ কমেছে। এছাড়া প্রবাসী আয়ের ধারাও নিম্নমুখী। ফলে করারোপের বিষয়টি চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।