মোঃ মোশাররফ হোসেন মনির:
সৌদি আরববের দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় ১৩ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। একই সাথে আহত হয়েছেন ১৭ জস। এদের মধ্যে নিহত দুইজন ও আহত দুই জনের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায়। নিহতদের মুরাদনগর উপজেলার গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৭ মার্চ) ওমরা হজ¦ পালন করতে মক্কা যাওয়ার সময় সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকায় একটি সেতুতে যাত্রীবাহী একটি বাস ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি উল্টে যায় আবং আগুন ধরে যায়।
নিহতরা হলেন, মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউনিয়নের মোস্তাপুর গ্রামের আউয়াল মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া (২৮) ও একই উপজেলার রাসেল মোল্লা। তবে এই সংবাদ লিখা প্রর্যন্ত নিহত রাসেল মোল্লার বিস্তারিত পাওয়া যায়নি।
আহতরা হলেন, মুরাদনগর উপজেলার হারপাকনা গ্রামের আব্দুল মালেক মিয়ার ছেলে ইয়ার হোসেন (৩১) ও রাজনগর গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে জাহিদুল হাছান (২৩)।
নিহত মামুন মিয়ার বাবা ও মামি তাছলিমা বেগম জানান, ৬ মাস পূর্বে মামুন তার মামা ইয়ার হোসেন তাকে সৌদি আরবে নেন। সেখানে তিনি হোটেল বয় হিসেবে কাজ করতেন। ৫ লক্ষ টাক ঋণকরে বিদেশ পারি দিয়েছিলেন বোক ভরা স্বপ্ন নিয়ে। ৩ভাই ও ২ বোনের মধ্যে ৭ সদস্যের সংসার চালাতে একমাত্র কৃষক বাবার উপার্জন দিয়ে সংসার চালাতে বাবার কষ্ট কমাতে বিদেশ পরিজমায়। সেই স্বপ্ন আজ স্বপ্ন রয়ে গেলো এবং তার মৃত্যুতে ঋণ মধ্যে আটকিয়ে গেছে এই পরিবার। মামুনের অনাকাংখিত এ নিহত হওয়ার খবরে স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের স্বজনরা অবিলম্বে সরকারীভাবে তার লাশ দেশে ফেরৎ আনাসহ সৌদি সরকারের নিকট যথাযথ ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আলাউদ্দিন ভূইয়া জনী বলেন, বুধবার দুপুরে নিহতের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে আমারা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছি এবং লাশ দেশে ফেরত আনাসহ সকল বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে।