১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৫ ইং (মুরাদনগর মার্তা ডটকম):
মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের ভূবনঘর গ্রামের মোসলেম মিয়ার ছেলে মো: বিল্লাল হোসেনের (৩২) গত ৯ ফেব্রুয়ারী সৌদি আরব রিয়াদের আল-বালাকা কোম্পানীতে পাইপ ফিল্টার কাজে কর্মরত অবস্থায় গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। মৃত্যুর ৯দিন পার হলেও তার মরদেহ না পেয়ে থামছে না স্বজনদের আহাজারি। পরিবারের লোকজনের বুক ফাঁটা কান্নায় ভারি হয়ে ওঠেছে পরিবেশ।
শোকে মূহ্যমান এ ভাগ্যাহত শ্রমিকের মা-বাবা ও স্বজনদের প্রতিটি মুহুর্ত এখন শুধুই কাটছে লাশের অপেক্ষায়। থামছে না তাদের আহাজারি। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সকল মহলের লোকজন শান্তনা দিতে যাচ্ছেন শোকার্ত এই বাড়িতে। তাদের শান্তনা দেয়ার ভাষা যেন হারিয়ে ফেলেছেন এলাকার লোকজন। এদিকে তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে কবে নাগাদ পৌঁছাবে তা সঠিকভাবে জানাতে পারছেন না স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে, মারা যাওয়া বিল্লাল হোসেনের বাবা মোসলেম মিয়া ও মা সাহারা খাতুন ছেলের শোকে চোখের জলে বুক ভাসান। তারা তাদের বুকের ধন পুত্রের এক টুকরো হাঁড় হলেও দেখতে চান। মরদেহে হাত বুলাতে চান। পুত্রশোকে তারা এখন পাগল প্রায়। স্বচ্ছলভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন নিয়ে সৌদি আরবে যাওয়া বিল্লাল হোসেনের মা-বাবা শোকে পাথরের মতো কেবলই কাঁদছেন। এদিকে মারা যাওয়া শ্রমিক এখনো বিদেশে যাওয়ার ঋণ পরিশোধ করতে পারেনি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য সরকারের নিকট দাবি জানিয়েছে।
মুরাদনগর থানা অফিসার ইনচার্জ মো: মিজানুর রহমান জানান, শ্রমিকের মরদেহ দেশে পাঠানোর ব্যাপারে ওই দেশের বিধি অনুযায়ী কিছু আনুষ্ঠানিকতা আছে। তা শেষ করার পর যথাসম্ভব কম সময়ে মরদেহ দেশে আনার ব্যাপারে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারি ভাবে চেষ্টা চলছে। এ দুর্ঘটনায় মারা যাওয়াদের ক্ষতিপূরণের ব্যাপারেও সরকারি বিধি অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।