অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানকে ইহুদিবাদী ইসরাইল সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে জেরুজালেম আল-কুদসকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রতিবাদে যখন বিশ্বব্যাপী তীব্র বিক্ষোভ চলছে তখন এই আমন্ত্রণ জানানো হলো।
ইসরাইলের গোয়েন্দামন্ত্রী সৌদি দৈনিক ‘ইলাফ’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি সৌদি যুবরাজকে তেল আবিব সফরের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। একইসঙ্গে মোহাম্মাদ বিন সালমানকে ইহুদিবাদীদের সঙ্গে মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের আপোষ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করারও আহ্বান জানিয়েছেন ইসরাইলের গোয়েন্দামন্ত্রী। এর আগে খবর বেরিয়েছিল, মোহাম্মাদ বিন সালমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেরুজালেম সংক্রান্ত ঘোষণার প্রতি সমর্থন জানিয়ে মাহমুদ আব্বাসকে ওই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেছেন।
তবে মাহমুদ আব্বাস বুধবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ওআইসির জরুরি শীর্ষ সম্মেলনে দেয়া ভাষণে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ওই সম্মেলন থেকে জেরুজালেম আল-কুদসকে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী ঘোষণা করা হয়েছে।
সম্মেলনে সৌদি রাজা সালমান বা তার পুত্র মোহাম্মাদ বিন সালমান অংশগ্রহণ করেননি। সম্মেলনে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে নীচু পর্যায়ের একজন সরকারি কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়।
মাহমুদ আব্বাস তার ভাষণে আরো বলেন, ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কথিত শান্তি প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করার যোগ্যতা হারিয়েছে আমেরিকা। সম্প্রতি আরবি দৈনিক আল-আরাবি আল-জাদিদ খবর দিয়েছিল, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান কয়েক মাস আগে গোপনে ইসরাইল সফর করেছেন বলে ইহুদিবাদী কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন।
পর্যবেক্ষকরা সৌদি যুবরাজের তেল আবিব সফরের খবরে অবাক হননি। তারা বলছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার যে জোর প্রচেষ্টা সৌদি আরব চালাচ্ছে তাতে এ ধরনের সফরে অবাক হওয়ার কিছু নেই।