ঢাকা ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৌদি যুবরাজকে কী সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে?

LONDON, ENGLAND - MARCH 07: Saudi Crown Prince Mohammed bin Salman arrives for a meeting with British Prime Minister Theresa May (not pictured) in number 10 Downing Street on March 7, 2018 in London, England. Saudi Crown Prince Mohammed bin Salman has made wide-ranging changes at home supporting a more liberal Islam. Whilst visiting the UK he will meet with several members of the Royal family and the Prime Minister. (Photo by Leon Neal/Getty Images)

 অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে সরিয়ে দেওয়ার গুঞ্জন উঠেছে। খবর পাওয়া গেছে,  যুবরাজের ভাই প্রিন্স আহমেদ বিন আবদেল আজিজ ব্রিটেনে স্বেচ্ছা নির্বাসন কাটিয়ে স্বদেশে ফিরেছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, তার প্রত্যাবর্তন গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তিনি যুবরাজ মোহাম্মদের জায়গায় বসতে পারেন। খবর বিবিসি’র
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস নামে পরিচিত) এখন ইস্তাম্বুলে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের কারণে চাপের মুখে। প্রিন্স আহমেদ বিন আবদেল আজিজ এতদিন স্বেচ্ছা নির্বাসনে লন্ডনে অবস্থান করছিলেন। পশ্চিমা বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন সৌদি রাজপরিবারে তিনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদের জায়গা নিতে পারেন। রিয়াদে তার প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে সৌদি কর্তৃপক্ষ সরকারিভাবে কিছু নিশ্চিত করেনি। এরকম কোনো নিশ্চয়তা নাও আসতে পারে। কী শর্তে তিনি ফিরেছেন তাও স্পষ্ট নয়, তবে মনে করা হচ্ছে, নিরাপত্তার ব্যাপারে নিশ্চয়তা পেয়েই তিনি ফিরেছেন।
কিন্তু বিবিসির সংবাদদাতা ফ্রাংক গার্ডনার বলছেন, এই খবরটি সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে সৌদি রাজপরিবারের সূত্র থেকেই এবং এ থেকে আভাস পাওয়া যায় যে ওই অঞ্চলে এখন প্রিন্স মোহাম্মদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যক্তিগত স্তরে ব্যাপক বিতর্ক চলছে। কারণ সম্প্রতি ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে খাশোগি খুন হবার ঘটনা ঘটে। খাশোগি সৌদি রাজপরিবারের কঠোর সমালোচক ছিলেন।
সৌদি আরব বলেছে, নিয়ম ভঙ্গকারী একদল এজেন্ট খাশোগিকে হত্যা করেছে এবং সৌদি যুবরাজের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। এরপর সৌদি আরবে কিছু লোককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। কিন্তু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, সৌদি আরবের প্রধান কৌঁসুলিকে বের করতে হবে যে খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ কে দিয়েছিলেন এবং হত্যার জন্য ১৫ জনের একটি দলকে কে ইস্তাম্বুল পাঠিয়েছিলেন।
খাশোগির হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের যোগ দিতে অনুমতি দেওয়ার জন্যে সৌদি আরবের প্রতি আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিশেল ব্যাশেলেট বলেছেন, খাশোগির মৃতদেহ কোথায় আছে সৌদি কর্তৃপক্ষকে সেটা খোলাসা করতে হবে। খাশোগির মৃতদেহে ফরেনসিক পরীক্ষা করা হলে বহু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে বলে তিনি মনে করেন।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ: স্বাগত জানাতে মুরাদনগরে ব্যাপক প্রস্ততি

সৌদি যুবরাজকে কী সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে?

আপডেট সময় ০৫:৫০:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৮
 অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে সরিয়ে দেওয়ার গুঞ্জন উঠেছে। খবর পাওয়া গেছে,  যুবরাজের ভাই প্রিন্স আহমেদ বিন আবদেল আজিজ ব্রিটেনে স্বেচ্ছা নির্বাসন কাটিয়ে স্বদেশে ফিরেছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, তার প্রত্যাবর্তন গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তিনি যুবরাজ মোহাম্মদের জায়গায় বসতে পারেন। খবর বিবিসি’র
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস নামে পরিচিত) এখন ইস্তাম্বুলে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের কারণে চাপের মুখে। প্রিন্স আহমেদ বিন আবদেল আজিজ এতদিন স্বেচ্ছা নির্বাসনে লন্ডনে অবস্থান করছিলেন। পশ্চিমা বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন সৌদি রাজপরিবারে তিনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদের জায়গা নিতে পারেন। রিয়াদে তার প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে সৌদি কর্তৃপক্ষ সরকারিভাবে কিছু নিশ্চিত করেনি। এরকম কোনো নিশ্চয়তা নাও আসতে পারে। কী শর্তে তিনি ফিরেছেন তাও স্পষ্ট নয়, তবে মনে করা হচ্ছে, নিরাপত্তার ব্যাপারে নিশ্চয়তা পেয়েই তিনি ফিরেছেন।
কিন্তু বিবিসির সংবাদদাতা ফ্রাংক গার্ডনার বলছেন, এই খবরটি সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে সৌদি রাজপরিবারের সূত্র থেকেই এবং এ থেকে আভাস পাওয়া যায় যে ওই অঞ্চলে এখন প্রিন্স মোহাম্মদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যক্তিগত স্তরে ব্যাপক বিতর্ক চলছে। কারণ সম্প্রতি ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে খাশোগি খুন হবার ঘটনা ঘটে। খাশোগি সৌদি রাজপরিবারের কঠোর সমালোচক ছিলেন।
সৌদি আরব বলেছে, নিয়ম ভঙ্গকারী একদল এজেন্ট খাশোগিকে হত্যা করেছে এবং সৌদি যুবরাজের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। এরপর সৌদি আরবে কিছু লোককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। কিন্তু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, সৌদি আরবের প্রধান কৌঁসুলিকে বের করতে হবে যে খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ কে দিয়েছিলেন এবং হত্যার জন্য ১৫ জনের একটি দলকে কে ইস্তাম্বুল পাঠিয়েছিলেন।
খাশোগির হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের যোগ দিতে অনুমতি দেওয়ার জন্যে সৌদি আরবের প্রতি আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিশেল ব্যাশেলেট বলেছেন, খাশোগির মৃতদেহ কোথায় আছে সৌদি কর্তৃপক্ষকে সেটা খোলাসা করতে হবে। খাশোগির মৃতদেহে ফরেনসিক পরীক্ষা করা হলে বহু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে বলে তিনি মনে করেন।