ঢাকা ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্কুলে কোরআন শিক্ষার পক্ষে ভারতের নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রী

ধর্ম ও জীবন ডেস্কঃ

ধর্মীয় কারণে ভারতে উত্তেজনা বাড়ছে। একে অন্যের ধর্ম সম্পর্কে না জানাই এর প্রধান কারণ। এ জন্য স্কুলে শিক্ষার্থীদের অন্য ধর্ম সম্পর্কে শিক্ষার ব্যবস্থা করার পক্ষে ভারতের কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী মানেকা গান্ধী। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

মন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় কারণেই এখন উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে। এর অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে শিশুরা অন্য ধর্ম সম্পর্কে কিছু জানে না। ফলে অন্য ধর্মের প্রতি তারা ঘৃণা পোষণ করে। হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ ও ইসলাম ধর্মের মূল্যবান গ্রন্থ থেকে শিক্ষালাভ করলে শিশুরা ছোট বয়সেই অন্য ধর্মের প্রতি সম্মান করতে শিখবে।

গত সপ্তাহে ভারতের সেন্ট্রাল অ্যাডভাইজরি বোর্ড অব এডুকেশনে তিনি নতুন এই পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছেন। ছয় ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ থেকে সপ্তাহে অন্তত দুবার ক্লাস নেয়ার ব্যাপারে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের কাছে আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, আমাদের মধ্যে কতজন নিজ নিজ ধর্মীয় গ্রন্থ পড়েছেন? আমি কোরআন পড়েছি। আপনারা কতজন জানেন যে মুহাম্মদ (সা.) যুদ্ধবিরোধী? আমাদের নৈতিকতার শিক্ষা দেয়া হতো, কিন্তু এখন আর এটি নেই। সারা দেশে প্লে-স্কুলে এ ধরনের গাইডলাইন তৈরির ব্যাপারেও প্রস্তাব দিয়েছেন মানেকা।

তিনি বলেন, প্লে-স্কুলের গাইডলাইন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় তৈরি করে। তাই আমি মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়েছি। যাতে দুই মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করতে পারে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

স্কুলে কোরআন শিক্ষার পক্ষে ভারতের নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রী

আপডেট সময় ০২:০২:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জানুয়ারী ২০১৮
ধর্ম ও জীবন ডেস্কঃ

ধর্মীয় কারণে ভারতে উত্তেজনা বাড়ছে। একে অন্যের ধর্ম সম্পর্কে না জানাই এর প্রধান কারণ। এ জন্য স্কুলে শিক্ষার্থীদের অন্য ধর্ম সম্পর্কে শিক্ষার ব্যবস্থা করার পক্ষে ভারতের কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী মানেকা গান্ধী। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

মন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় কারণেই এখন উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে। এর অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে শিশুরা অন্য ধর্ম সম্পর্কে কিছু জানে না। ফলে অন্য ধর্মের প্রতি তারা ঘৃণা পোষণ করে। হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ ও ইসলাম ধর্মের মূল্যবান গ্রন্থ থেকে শিক্ষালাভ করলে শিশুরা ছোট বয়সেই অন্য ধর্মের প্রতি সম্মান করতে শিখবে।

গত সপ্তাহে ভারতের সেন্ট্রাল অ্যাডভাইজরি বোর্ড অব এডুকেশনে তিনি নতুন এই পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছেন। ছয় ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ থেকে সপ্তাহে অন্তত দুবার ক্লাস নেয়ার ব্যাপারে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের কাছে আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, আমাদের মধ্যে কতজন নিজ নিজ ধর্মীয় গ্রন্থ পড়েছেন? আমি কোরআন পড়েছি। আপনারা কতজন জানেন যে মুহাম্মদ (সা.) যুদ্ধবিরোধী? আমাদের নৈতিকতার শিক্ষা দেয়া হতো, কিন্তু এখন আর এটি নেই। সারা দেশে প্লে-স্কুলে এ ধরনের গাইডলাইন তৈরির ব্যাপারেও প্রস্তাব দিয়েছেন মানেকা।

তিনি বলেন, প্লে-স্কুলের গাইডলাইন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় তৈরি করে। তাই আমি মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়েছি। যাতে দুই মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করতে পারে।