ঢাকা ১০:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্কুল রক্ষার বরাদ্দ এলো পানিতে বিলীনের পর

জাতীয়:

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ধুলশুরা ইউনিয়নের সৈয়দনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পদ্মা নদীতে বিলীন হওয়ার পর শনিবার (৩১ আগস্ট) ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রায় ৫০ বছরের পুরনো স্কুলটি রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে পাউবকে উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা অধিদফতর থেকে তাগাদা দেওয়া হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকালে নান্দনিক স্কুলটি মাত্র ৯ সেকেন্ডে পদ্মার ছোবলে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, বিদ্যালয়টি পদ্মায় হারিয়ে যাওয়ার পর ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বিলীন হওয়া স্কুলের পাশেই আরেকটি স্কুল রয়েছে। এটি রক্ষার জন্য বরাদ্দের এই টাকা ব্যয় করা হবে।

স্কুলটি নদীতে বিলীন হওয়ার পরদিন শনিবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবে মওলা মো. মেহেদী হাসান, হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইলিয়াস মেহেদী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার প্রমুখ।

স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মো. রিয়াসালাদ আলী বলেন, পাউবকে ভাঙনের বিষয়টি অনেক আগেই জানানো হয়েছিল, তবে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় স্কুলটির শেষ রক্ষা হলো না।

সূত্র মতে, গত এক সপ্তাহে পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়েছে ধুলশুরা ইউনিয়নের দুই শতাধিক বাড়িঘর। এর মধ্যে সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বহু প্রাচীন একটি মসজিদও রয়েছে।

এলাকাবাসীরা জানান, এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে কয়েকটি গ্রামের আরও কয়েকশ ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে যাবে।

ধুলশুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জায়েদ খান বলেন, জিওব্যাগ ফেলার জন্য অফিসিয়ালি বলা হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে মানুষ শেষ সম্বলটুকু হারাবে। হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইলিয়াস মেহেদী জানান, বিষয়টি অনেক আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছিল। ব্যয়বহুল প্রকল্প হওয়ায় তাদের প্রিপারেশন নিতে দেরি হয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরের ৭ শহীদ পরিবারের মাঝে রমজানের উপহার পাঠালেন সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদ

স্কুল রক্ষার বরাদ্দ এলো পানিতে বিলীনের পর

আপডেট সময় ০৪:৩৩:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
জাতীয়:

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ধুলশুরা ইউনিয়নের সৈয়দনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পদ্মা নদীতে বিলীন হওয়ার পর শনিবার (৩১ আগস্ট) ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রায় ৫০ বছরের পুরনো স্কুলটি রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে পাউবকে উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা অধিদফতর থেকে তাগাদা দেওয়া হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকালে নান্দনিক স্কুলটি মাত্র ৯ সেকেন্ডে পদ্মার ছোবলে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, বিদ্যালয়টি পদ্মায় হারিয়ে যাওয়ার পর ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বিলীন হওয়া স্কুলের পাশেই আরেকটি স্কুল রয়েছে। এটি রক্ষার জন্য বরাদ্দের এই টাকা ব্যয় করা হবে।

স্কুলটি নদীতে বিলীন হওয়ার পরদিন শনিবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবে মওলা মো. মেহেদী হাসান, হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইলিয়াস মেহেদী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার প্রমুখ।

স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মো. রিয়াসালাদ আলী বলেন, পাউবকে ভাঙনের বিষয়টি অনেক আগেই জানানো হয়েছিল, তবে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় স্কুলটির শেষ রক্ষা হলো না।

সূত্র মতে, গত এক সপ্তাহে পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়েছে ধুলশুরা ইউনিয়নের দুই শতাধিক বাড়িঘর। এর মধ্যে সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বহু প্রাচীন একটি মসজিদও রয়েছে।

এলাকাবাসীরা জানান, এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে কয়েকটি গ্রামের আরও কয়েকশ ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে যাবে।

ধুলশুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জায়েদ খান বলেন, জিওব্যাগ ফেলার জন্য অফিসিয়ালি বলা হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে মানুষ শেষ সম্বলটুকু হারাবে। হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইলিয়াস মেহেদী জানান, বিষয়টি অনেক আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছিল। ব্যয়বহুল প্রকল্প হওয়ায় তাদের প্রিপারেশন নিতে দেরি হয়েছে।