জাতীয় ডেস্কঃ
চিকিৎসার জন্য হাঙ্গেরিতে নেওয়া হচ্ছে জোড়া মাথা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশু রাবেয়া-রোকাইয়াকে। সেখানে চিকিৎসা শেষে দেশে এনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের অধীনে তাদের অস্ত্রোপচার করা হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, সাংসদ হাবিবে মিল্লাত, ফর বাংলাদেশের হাসনাত মিয়াসহ বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকেরা।
পাবনায় জন্ম নেওয়া এ শিশু দুটির চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাঙ্গেরিতে চিকিৎসার জন্য তাঁর দেওয়া অনুদান আজ শিশুদের মা-বাবার হাতে তুলে দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাস্তব অর্থেই মানবতার নেত্রী। তিনি চিকিৎসক ও রাবেয়া-রোকাইয়ার বাবা-মাকেও ধন্যবাদ জানিয়ে ওদের চিকিৎসার সাফল্য কামনা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন জানান, বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরির যৌথ উদ্যোগে রাবেয়া-রোকাইয়ার চিকিৎসা হবে। সেখানে হাঙ্গেরি, জার্মানি ও বাংলাদেশের পাঁচটি দলের ২০ সদস্য কাজ করবেন।
স্থানীয় সাংসদের মাধ্যমে শিশু দুটির অবস্থা প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছানো হয়। তিনি শিশু দুটির চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
২০১৭ সালের নভেম্বরে ওদের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। দুই বছর সাত মাস বয়সী এ শিশু দুটির বাংলাদেশে এর আগে মস্তিষ্কের রক্তনালিতে দুবার অস্ত্রোপচার করা হয়। হাঙ্গেরি থেকে ফেরার পর দেশে শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ওদের মূল অস্ত্রোপচার হবে।
হাঙ্গেরিতে রাবেয়া-রোকাইয়াকে তিন থেকে চার মাস থাকতে হতে পারে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। সেখানে ‘ফর বাংলাদেশ’ নামে হাঙ্গেরিভিত্তিক একটি বাংলাদেশি সংগঠন শিশু দুটির দেখাশোনার দায়িত্বে থাকবে।