ঢাকা ০৭:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হারলেও ফাইনালের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়নি বাংলাদেশের

খেলাধূলা ডেস্কঃ

শ্রীলংকায় নিদাহাস ট্রফি ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করলো ভারত। আজ বুধবার টুর্নামেন্টের পঞ্চম ম্যাচে তারা ১৭ রানে হারিয়েছে মাহমুদুল্লাহ বাহিনীকে।

তবে এই ম্যাচে হারলেও ফাইনালের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়নি টাইগারদের। আগামী শুক্রবার গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলংকাকে হারাতে পারলে ফাইনালে উঠে যাবে বাংলাদেশ।

এ পর্যন্ত সিরিজের নিজেদের ৪ ম্যাচের মধ্যে ৩টিতে জিতেছে ভারত। ফলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা এখন পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানীয় দল। আর বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ৩ ম্যাচে সমান একটি করে জয় ও ২টি করে হার; উভয় দলের পয়েন্ট ২। তবে নিট রানরেটে এগিয়ে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। ফলে পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান দ্বিতীয় আর বাংলাদেশ তৃতীয়। তাই আগামী শুক্রবার শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের শেষ ম্যাচটা হয়ে গেল দুদুলের জন্যই অলিখিত সেমিফাইনাল। ওই ম্যাচে জয়ী দলই আগামী ১৮ মার্চ রোববার কলম্বোতে ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে।

এর আগে আজ সন্ধ্যায় ফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচে কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ভারত। শুরুটা দেখেশুনেই করেছিলো টিম ইন্ডিয়া। তবে রান তোলার কাজেও পারদর্শী ছিলেন ভারতের ২ ওপেনার অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৪৯ রান যোগ করেন এ জুটি। এরপর ভারত ব্যাটসম্যানদের রানের লাগাম টেনে ধরেন বাংলাদেশের বোলাররা। এক পর্যায়ে ৯ দশমিক ৫ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭০। ভারতের পতন হওয়া প্রথম উইকেটটি নেন বাংলাদেশের ডান-হাতি পেসার রুবেল হোসেন। ২৭ বলে ৩৫ রান করা ধাওয়ানের উইকেট উপড়ে ফেলেন রুবেল। তার ইনিংসে ৫টি চার ও ১টি ছক্কা ছিলো।
ধাওয়ানের বিদায়ে উইকেটে রোহিতের সঙ্গী হবার সুযোগ পান সুরেশ রায়না। বাংলাদেশের বোলারদের দেখেশুনে খেলতে থাকেন এই জুটিও। এরমাঝে টি-২০ ক্যারিয়ারের ১৩তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন রোহিত। তবে রান তোলা থেকে ভারতের দুই ব্যাটসম্যানকে বেশিক্ষণ দমিয়ে রাখতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। জুটিতে মাত্র ৫৬ বলে ১০২ রান যোগ করেন রোহিত ও রায়না। তাদের জুটির কল্যানে স্কোর গড়ার পথ পেয়ে যায় ভারত। ১৯ ওভার শেষে এই জুটির কল্যাণে ১৭২ রানে পৌঁছে যায় ভারত। শেষ ওভারের প্রথম বলে রায়নার পথ চলা থেমে যায় রুবেলের ডেলিভারিতে। ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩০ বলে ৪৭ রান করেন রায়না।

রায়না ফিরলেও সেঞ্চুরির অপেক্ষায় ছিলেন রোহিত। শেষ ৫ বলে তার প্রয়োজন ছিলো ১২ রান। কিন্তু রুবেল সেঞ্চুরি পেতে দেননি রোহিতকে। ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হবার আগে ৮৯ রান করেন রোহিত। ৬১ বল মোকাবেলায় ৫টি করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি মারেন রোহিত। অপরপ্রান্তে ২ রানে অপরাজিত ছিলেন দিনেশ কার্তিক। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান সংগ্রহ করে ভারত। রুবেল ৪ ওভারে ২৭ রানে ২ উইকেট নেন।

আগের ম্যাচেই শ্রীলংকার ছুড়ে দেয়া ২১৫ রান দাপট দেখিয়ে স্পর্শ করেছিলো বাংলাদেশ। তাই এ ম্যাচে পাওয়া ১৭৭ রানের টার্গেট বাংলাদেশকে আত্মবিশ^াস যুগিয়েছে, এতে সন্দেহ থাকার কথা নয়। তবে ক্রিজে গিয়ে আত্মবিশ^াসী হয়ে উঠতে পারেননি বাংলাদেশের টপ-অর্ডার। দলীয় ১২ রানেই ভারতের অফ-স্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দরকে অহেতুক উইকেট ছেড়ে মারতে গিয়ে আউট হন আগের ম্যাচেই ১৯ বলে ৪৩ রান করা লিটন। তার বিদায়ের পর ৮ বলে ২১ রান যোগ করেন তামিম। কিন্তু লিটনের আউট দেখেও শিখতে পারেননি সৌম্য। শিখতে পারেননি অন্যপ্রান্তে রানের চাকা সচল রাখা তামিম ইকবালের ব্যাটিং দেখেও। ভারতের স্পিনার সুন্দরকে জায়গায় দাঁড়িয়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হন সৌম্য। ৩ বলে ১ রান করেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান।

সৌম্যর বিদায়ের কিছুক্ষণ পর থামতে হয় তামিমকেও। ওই সুন্দরের বলে বোল্ড হন তিনি। ৪টি ৪ ও ১টি ছক্কায় ১৯ বলে ২৭ রান কওে তামিম আউট হলে ফলে ৪০ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।  শুরুর ধাক্কা আমলে না নিয়ে ক্রিজে গিয়েই ভারতীয় বোলারদের পাল্টা আক্রমণ করেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ২টি বাউন্ডারিতে নিজের ইনিংস শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু বেশি দূর যেতে পারেননি মাহমুদুল্লাহ। ৮ বলে ১১ রান করেন তিনি। তার বিদায়ে ১০ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৬৪ রান করতে পারে বাংলাদেশ। এমন অবস্থায় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ভারত।

তবে হাল ছাড়েননি বাংলাদেশের ২ ব্যাটসম্যান আগের ম্যাচের হিরো মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির রহমান। নিজেদের ব্যাটিং সামর্থ্য দিয়ে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরানোর চেষ্টা করেন তারা। ভারতীয় বোলারদের উপর চড়াও হন মুশফিক ও সাব্বির। আস্কিং রেটের সাথে পাল্লা দিয়ে খেলার চেষ্টা করেন তারা। তাতে ১৫ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১১৬ রানে পৌছে যায় বাংলাদেশ। শেষ ৩০ বলে ৬১ রান দরকার পড়ে টাইগারদের। এমন অবস্থায় উইকেট পতনের তালিকায় নিজের নাম তুলেন সাব্বির। ২৩ বলে ২৭ রান করে ফিরেন তিনি। এতে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। জুটিতে ৪৮ বলে ৬৫ রান যোগ করেন মুশি ও সাব্বির।

এরপর শেষদিকে বাংলাদেশকে আর জয়ের স্বাদ দিতে পারেননি মুশফিক। টি-২০ ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৫৫ বলে ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ইনিংসে ৮টি ৪ ও ১টি ছক্কা মারেন তিনি। আগের ম্যাচের মতোই তিনি লড়েছেন। কিন্তু জেতাতে পারেননি দলকে। পক্ষান্তরে ভারতের সুন্দর ২২ রানে তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশের ৩ উইকেট। ফলে ১৭ রানের জয় নিয়ে তারা নিশ্চিত করে ফেলেছে টুর্ণামেন্টের ফাইনাল।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

হারলেও ফাইনালের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়নি বাংলাদেশের

আপডেট সময় ০১:৫৬:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ ২০১৮
খেলাধূলা ডেস্কঃ

শ্রীলংকায় নিদাহাস ট্রফি ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করলো ভারত। আজ বুধবার টুর্নামেন্টের পঞ্চম ম্যাচে তারা ১৭ রানে হারিয়েছে মাহমুদুল্লাহ বাহিনীকে।

তবে এই ম্যাচে হারলেও ফাইনালের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়নি টাইগারদের। আগামী শুক্রবার গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলংকাকে হারাতে পারলে ফাইনালে উঠে যাবে বাংলাদেশ।

এ পর্যন্ত সিরিজের নিজেদের ৪ ম্যাচের মধ্যে ৩টিতে জিতেছে ভারত। ফলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা এখন পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানীয় দল। আর বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ৩ ম্যাচে সমান একটি করে জয় ও ২টি করে হার; উভয় দলের পয়েন্ট ২। তবে নিট রানরেটে এগিয়ে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। ফলে পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান দ্বিতীয় আর বাংলাদেশ তৃতীয়। তাই আগামী শুক্রবার শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের শেষ ম্যাচটা হয়ে গেল দুদুলের জন্যই অলিখিত সেমিফাইনাল। ওই ম্যাচে জয়ী দলই আগামী ১৮ মার্চ রোববার কলম্বোতে ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে।

এর আগে আজ সন্ধ্যায় ফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচে কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ভারত। শুরুটা দেখেশুনেই করেছিলো টিম ইন্ডিয়া। তবে রান তোলার কাজেও পারদর্শী ছিলেন ভারতের ২ ওপেনার অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৪৯ রান যোগ করেন এ জুটি। এরপর ভারত ব্যাটসম্যানদের রানের লাগাম টেনে ধরেন বাংলাদেশের বোলাররা। এক পর্যায়ে ৯ দশমিক ৫ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭০। ভারতের পতন হওয়া প্রথম উইকেটটি নেন বাংলাদেশের ডান-হাতি পেসার রুবেল হোসেন। ২৭ বলে ৩৫ রান করা ধাওয়ানের উইকেট উপড়ে ফেলেন রুবেল। তার ইনিংসে ৫টি চার ও ১টি ছক্কা ছিলো।
ধাওয়ানের বিদায়ে উইকেটে রোহিতের সঙ্গী হবার সুযোগ পান সুরেশ রায়না। বাংলাদেশের বোলারদের দেখেশুনে খেলতে থাকেন এই জুটিও। এরমাঝে টি-২০ ক্যারিয়ারের ১৩তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন রোহিত। তবে রান তোলা থেকে ভারতের দুই ব্যাটসম্যানকে বেশিক্ষণ দমিয়ে রাখতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। জুটিতে মাত্র ৫৬ বলে ১০২ রান যোগ করেন রোহিত ও রায়না। তাদের জুটির কল্যানে স্কোর গড়ার পথ পেয়ে যায় ভারত। ১৯ ওভার শেষে এই জুটির কল্যাণে ১৭২ রানে পৌঁছে যায় ভারত। শেষ ওভারের প্রথম বলে রায়নার পথ চলা থেমে যায় রুবেলের ডেলিভারিতে। ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩০ বলে ৪৭ রান করেন রায়না।

রায়না ফিরলেও সেঞ্চুরির অপেক্ষায় ছিলেন রোহিত। শেষ ৫ বলে তার প্রয়োজন ছিলো ১২ রান। কিন্তু রুবেল সেঞ্চুরি পেতে দেননি রোহিতকে। ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হবার আগে ৮৯ রান করেন রোহিত। ৬১ বল মোকাবেলায় ৫টি করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি মারেন রোহিত। অপরপ্রান্তে ২ রানে অপরাজিত ছিলেন দিনেশ কার্তিক। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান সংগ্রহ করে ভারত। রুবেল ৪ ওভারে ২৭ রানে ২ উইকেট নেন।

আগের ম্যাচেই শ্রীলংকার ছুড়ে দেয়া ২১৫ রান দাপট দেখিয়ে স্পর্শ করেছিলো বাংলাদেশ। তাই এ ম্যাচে পাওয়া ১৭৭ রানের টার্গেট বাংলাদেশকে আত্মবিশ^াস যুগিয়েছে, এতে সন্দেহ থাকার কথা নয়। তবে ক্রিজে গিয়ে আত্মবিশ^াসী হয়ে উঠতে পারেননি বাংলাদেশের টপ-অর্ডার। দলীয় ১২ রানেই ভারতের অফ-স্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দরকে অহেতুক উইকেট ছেড়ে মারতে গিয়ে আউট হন আগের ম্যাচেই ১৯ বলে ৪৩ রান করা লিটন। তার বিদায়ের পর ৮ বলে ২১ রান যোগ করেন তামিম। কিন্তু লিটনের আউট দেখেও শিখতে পারেননি সৌম্য। শিখতে পারেননি অন্যপ্রান্তে রানের চাকা সচল রাখা তামিম ইকবালের ব্যাটিং দেখেও। ভারতের স্পিনার সুন্দরকে জায়গায় দাঁড়িয়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হন সৌম্য। ৩ বলে ১ রান করেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান।

সৌম্যর বিদায়ের কিছুক্ষণ পর থামতে হয় তামিমকেও। ওই সুন্দরের বলে বোল্ড হন তিনি। ৪টি ৪ ও ১টি ছক্কায় ১৯ বলে ২৭ রান কওে তামিম আউট হলে ফলে ৪০ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।  শুরুর ধাক্কা আমলে না নিয়ে ক্রিজে গিয়েই ভারতীয় বোলারদের পাল্টা আক্রমণ করেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ২টি বাউন্ডারিতে নিজের ইনিংস শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু বেশি দূর যেতে পারেননি মাহমুদুল্লাহ। ৮ বলে ১১ রান করেন তিনি। তার বিদায়ে ১০ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৬৪ রান করতে পারে বাংলাদেশ। এমন অবস্থায় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ভারত।

তবে হাল ছাড়েননি বাংলাদেশের ২ ব্যাটসম্যান আগের ম্যাচের হিরো মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির রহমান। নিজেদের ব্যাটিং সামর্থ্য দিয়ে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরানোর চেষ্টা করেন তারা। ভারতীয় বোলারদের উপর চড়াও হন মুশফিক ও সাব্বির। আস্কিং রেটের সাথে পাল্লা দিয়ে খেলার চেষ্টা করেন তারা। তাতে ১৫ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১১৬ রানে পৌছে যায় বাংলাদেশ। শেষ ৩০ বলে ৬১ রান দরকার পড়ে টাইগারদের। এমন অবস্থায় উইকেট পতনের তালিকায় নিজের নাম তুলেন সাব্বির। ২৩ বলে ২৭ রান করে ফিরেন তিনি। এতে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। জুটিতে ৪৮ বলে ৬৫ রান যোগ করেন মুশি ও সাব্বির।

এরপর শেষদিকে বাংলাদেশকে আর জয়ের স্বাদ দিতে পারেননি মুশফিক। টি-২০ ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৫৫ বলে ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ইনিংসে ৮টি ৪ ও ১টি ছক্কা মারেন তিনি। আগের ম্যাচের মতোই তিনি লড়েছেন। কিন্তু জেতাতে পারেননি দলকে। পক্ষান্তরে ভারতের সুন্দর ২২ রানে তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশের ৩ উইকেট। ফলে ১৭ রানের জয় নিয়ে তারা নিশ্চিত করে ফেলেছে টুর্ণামেন্টের ফাইনাল।