ঢাকা ১২:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হারলে কেউই ফল মানতে চায় না: কাদের

জাতীয় :

নির্বাচনে হেরে গেলে কেউই ফলাফল মেনে নিতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে কোনো কারচুপি হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।

বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।

এর আগে মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তর প্রধান এবং প্রকল্প পরিচালকদের নিয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি পর্যালাচনা ও নাগরিক সেবা প্রদান বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপির ফলাফল প্রত্যাখ্যানসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হেরে গেলে হার কি কেউ মেনে নেন? বিএনপিও মানছে না। নির্বাচনে হেরে গেলে ফলাফল কেউই মানতে চায় না। ইভিএমএ কারচুপির কোনো সুযোগ নেই।’

কারচুপির অভিযোগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দুই সিটির নির্বাচনের ফল বাতিল করে নতুন নির্বাচন দেয়ার দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব হিসেবে নিজে কোনো সাফল্য দেখাতে পারেননি বলেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারচুপির অভিযোগে দুই সিটির নির্বাচনের ফল বাতিল করে নতুন নির্বাচন দেয়ার দাবি করছেন।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ইভিএমের মাধ্যমে এই নির্বাচনে কারচুপির বা ফলাফল বদলে দেয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। হেরে যাওয়ার কারণেই বিএনপি প্রার্থীরা ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাদের সব আহ্বান জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে কোনো কারচুপির প্রমাণ পর্যবেক্ষকরা দিতে পারেননি, এমনকি বলেনওনি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে বড় দাগের সংঘাত হয়, এবার বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের কোনো সংঘাত হয়নি। নির্বাচন ছিল কারচুপি ও জালিয়াতিমুক্ত।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ফখরুল সাহেব কেন ফলাফল প্রত্যাখান করলেন জানি না। তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল? কেন্দ্র দখল করে জালিয়াতি করে জেতার। এটা সম্ভব না, এই মেশিনে কারচুপি জালিয়াতির সুযোগ নেই। ইভিএমে ভোট করাই হয়েছে কারচুপি জালিয়াতি যেন না হয় সেজন্য। নির্বাচনে তাদের লোক দেখলাম না। মিছিলে তাদের অনেক লোক ছিল, নির্বাচনের দিন গেল কোথায়।’

ফলাফল পাল্টে দেয়ার বিষয়ে কাউন্সিলর প্রার্থীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে যেভাবে আশঙ্কা করা হয়েছিল, সেভাবে বিদ্রোহী প্রার্থীদের জয়জয়কার কিন্তু হয়নি। ১৩ জন বিদ্রোহী জিতেছে। তারা যে সুবিধা করতে পেরেছে তা নয়। বেশিভাগই কাউন্সিলর হয়েছে।’

‘দুই মাসের মধ্যে চীনের অচলাবস্থা কাটলে সমস্যা হবে না’

করোনাভাইরাসের কারণে চীনে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা আগামী দুই মাসের মধ্যে কেটে গেলে পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। বলেন, ‘বর্তমানে চীনের নববর্ষ উপলক্ষে পদ্মা সেতু প্রকল্পে কর্মরত ৩৩২ জন কর্মী ছুটিতে গেছেন। সেটা প্রলম্বিত না হলে আগামী দুই মাসের মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজের অগ্রগতিতে কোনো সংকট হবে না।’

মন্ত্রী ‘পদ্মা সেতুতে মোট চীনা নাগরিক কাজ করেন ৯৮০ জন। এরমধ্যে নববর্ষ উপলক্ষে চীনে গেছেন ৩৩২ জন। তাদের মধ্যে ফিরে এসেছেন ৩৩ জন। এরমধ্যে আট জন কোয়ারেন্টাইন মুক্ত। অন্যরা কোয়ারেন্টাইনে আছেন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তরপ্রধান এবং প্রকল্প পরিচালকদের নিয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা হয়েছে। আপডেট জেনেছি কোথায় কী অগ্রগতি হয়েছে। যেখানে যেখানে প্রয়োজন সেখানে সেখানে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

কাদের বলেন, ‘পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে সার্বিক অগ্রগতির হার ৭৭ শতাংশ। প্রধান সেতুর অগ্রগতি ৮৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত ২৩টি স্প্যান বসেছে। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ২৪তম স্প্যান বসবে ‘

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর কাজ চলছে। কোনো ধরনের অসুবিধা না হলে জুলাইয়ের মধ্যে সব কয়টি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মেগা প্রকল্পের মধ্যে আমার মনে হয় সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে পদ্মা সেতুতে।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে তিনজনকে কুপিয়ে জখম বাড়ি ভাঙচুর

হারলে কেউই ফল মানতে চায় না: কাদের

আপডেট সময় ০৪:০৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০

জাতীয় :

নির্বাচনে হেরে গেলে কেউই ফলাফল মেনে নিতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে কোনো কারচুপি হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।

বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।

এর আগে মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তর প্রধান এবং প্রকল্প পরিচালকদের নিয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি পর্যালাচনা ও নাগরিক সেবা প্রদান বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপির ফলাফল প্রত্যাখ্যানসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হেরে গেলে হার কি কেউ মেনে নেন? বিএনপিও মানছে না। নির্বাচনে হেরে গেলে ফলাফল কেউই মানতে চায় না। ইভিএমএ কারচুপির কোনো সুযোগ নেই।’

কারচুপির অভিযোগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দুই সিটির নির্বাচনের ফল বাতিল করে নতুন নির্বাচন দেয়ার দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব হিসেবে নিজে কোনো সাফল্য দেখাতে পারেননি বলেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারচুপির অভিযোগে দুই সিটির নির্বাচনের ফল বাতিল করে নতুন নির্বাচন দেয়ার দাবি করছেন।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ইভিএমের মাধ্যমে এই নির্বাচনে কারচুপির বা ফলাফল বদলে দেয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। হেরে যাওয়ার কারণেই বিএনপি প্রার্থীরা ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাদের সব আহ্বান জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে কোনো কারচুপির প্রমাণ পর্যবেক্ষকরা দিতে পারেননি, এমনকি বলেনওনি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে বড় দাগের সংঘাত হয়, এবার বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের কোনো সংঘাত হয়নি। নির্বাচন ছিল কারচুপি ও জালিয়াতিমুক্ত।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ফখরুল সাহেব কেন ফলাফল প্রত্যাখান করলেন জানি না। তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল? কেন্দ্র দখল করে জালিয়াতি করে জেতার। এটা সম্ভব না, এই মেশিনে কারচুপি জালিয়াতির সুযোগ নেই। ইভিএমে ভোট করাই হয়েছে কারচুপি জালিয়াতি যেন না হয় সেজন্য। নির্বাচনে তাদের লোক দেখলাম না। মিছিলে তাদের অনেক লোক ছিল, নির্বাচনের দিন গেল কোথায়।’

ফলাফল পাল্টে দেয়ার বিষয়ে কাউন্সিলর প্রার্থীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে যেভাবে আশঙ্কা করা হয়েছিল, সেভাবে বিদ্রোহী প্রার্থীদের জয়জয়কার কিন্তু হয়নি। ১৩ জন বিদ্রোহী জিতেছে। তারা যে সুবিধা করতে পেরেছে তা নয়। বেশিভাগই কাউন্সিলর হয়েছে।’

‘দুই মাসের মধ্যে চীনের অচলাবস্থা কাটলে সমস্যা হবে না’

করোনাভাইরাসের কারণে চীনে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা আগামী দুই মাসের মধ্যে কেটে গেলে পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। বলেন, ‘বর্তমানে চীনের নববর্ষ উপলক্ষে পদ্মা সেতু প্রকল্পে কর্মরত ৩৩২ জন কর্মী ছুটিতে গেছেন। সেটা প্রলম্বিত না হলে আগামী দুই মাসের মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজের অগ্রগতিতে কোনো সংকট হবে না।’

মন্ত্রী ‘পদ্মা সেতুতে মোট চীনা নাগরিক কাজ করেন ৯৮০ জন। এরমধ্যে নববর্ষ উপলক্ষে চীনে গেছেন ৩৩২ জন। তাদের মধ্যে ফিরে এসেছেন ৩৩ জন। এরমধ্যে আট জন কোয়ারেন্টাইন মুক্ত। অন্যরা কোয়ারেন্টাইনে আছেন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তরপ্রধান এবং প্রকল্প পরিচালকদের নিয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা হয়েছে। আপডেট জেনেছি কোথায় কী অগ্রগতি হয়েছে। যেখানে যেখানে প্রয়োজন সেখানে সেখানে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

কাদের বলেন, ‘পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে সার্বিক অগ্রগতির হার ৭৭ শতাংশ। প্রধান সেতুর অগ্রগতি ৮৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত ২৩টি স্প্যান বসেছে। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ২৪তম স্প্যান বসবে ‘

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর কাজ চলছে। কোনো ধরনের অসুবিধা না হলে জুলাইয়ের মধ্যে সব কয়টি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মেগা প্রকল্পের মধ্যে আমার মনে হয় সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে পদ্মা সেতুতে।’