বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার হোমনায় সোনিয়া (২৫) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা এবং ফ্ল্যাট বাসায় সফিকুল ইসলাম (৪৫) নামে এক প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অপরদিকে তিতাসে বিল্লাল হোসেন (৩০) নামে এক অটোরিকশাচালকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
গতকাল বুধবার দুপুরে হোমনা ও তিতাসের পৃথক স্থান থেকে দু’টি লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে হোমনা সদরের একটি ফ্ল্যাট বাসায় প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করেনি বলে এলাকাবাসী জানায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হোমনা উপজেলার চান্দেরচর ইউনিয়নের শোভারামপুর গ্রামে আব্দুল মতিনের ছেলে শরিফুল ইসলামের সঙ্গে কয়েক বছর আগে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী মুরাদনগর উপজেলার মীর্জানগর গ্রামের অহিদ মেম্বারের মেয়ে সোনিয়া আক্তারের। সংসার জীবনে তাদের এক বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। এরই মধ্যে শরিফ পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি টের পেয়ে সোনিয়া তার স্বামীকে বাধা দেন। সর্বশেষ ঈদের দিন মধ্যরাতে খাদিজার ঘরে উভয়কে আটক করেন সোনিয়া। এ ঘটনার জের ধরে সোনিয়াকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য তা মর্গে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, তিতাস উপজেলার কালাইগুবিন্দপুর গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে দরিদ্র অটোচালক বিল্লাল হোসেন (৩০) ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর গত বুধবার দুপুরে উপজেলার গাজীপুর উত্তর পাড়ার একটি ডোবায় লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করে। খবর পেয়ে স্বজনরা বিল্লালকে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শোকন বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হোমনা থানার ওসি রসুল আহমদ নিজামী বলেন, “প্রবাসীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছি। পরিবার থেকে কেউ অভিযোগ না করায় ময়নাতদন্ত করিনি। তবে নিহত সোনিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে এবং নিহতের বাবা বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।”