মো.তপন সরকার, হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার হোমনা উপজেলার ঘারমোরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিএনপি সাংগঠনিক সস্পাদক শাহজাহান মোল্লার বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যদের বকেয়া বেতন চাওয়ায় হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী দুই ইউপি সদস্য প্রতিকার ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার ঘারমোরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আশিক সরকার ও ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান গত ১ সেপ্টেম্বর তাদের বকেয়া সম্মানি ভাতার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান মোল্লার কাছে যায়।
গত ৪ বছরের বকেয়া ১ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা করে প্রতি ইউপি সদস্য পাওনা রয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের কাছ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান এই টাকা দিতে নানা ভাবে তালবাহানা করে আসছেন।
শাহজাহান মোল্লার কাছে বকেয়া টাকা চাইলে টাকা দেওয়া যাবে না বলে জানান। ইউপি সদস্যরা যে পরিমাণ টাকা পরিষদের ফান্ডে রয়েছে সেই পরিমাণ টাকা দিতে বলেন। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। ২ ইউপি সদস্য তাদের আর্থিক সমস্যার কথা বিবেচনা করে তাদের বকেয়া সম্মানি ভাতা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
এতে চেয়ারম্যান শাহজাহান মোল্লা ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান কে মারতে জান এবং পিটিয়ে ১৫ দিন হাসপাতালে রাখবে বলে হুমকি প্রদান করেন। এসময় ইউপি সদস্য আশিক সরকার কে ও হুমকি প্রদান করেন।
এই ঘটনায় ২ ইউপি সদস্য গত ৮ সেপ্টেম্বর তাদের পাওনা বকেয়া, সম্মানী ভাতা পেতে ও চেয়ারম্যানের অনিয়ম ও নির্যাতনের বিচার চেয়ে লিখিত আবেদন দায়ের করেন।
ঘারমোরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আশিক সরকার বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব আমাদের অনেকদিন যাবত বকেয়া সম্মানী ভাতা দিতে গড়িমসি করে আসেছেন। তিনি আমাদের এই মাসে টাকা দেওয়ার বিয়টি গত ২ মাস আগে বলেছিলেন। কিন্ত আমরা ওনার কাছে বকেয়া টাকার জন্য গেছে তিনি রহমান মেম্বারকে পিটিয়ে ১৫ দিন হাসপাতালে রাখার কথা বলেন এবং তাকে মারতে তেড়ে যান। আমাকেও হুমকি দেন তিনি।
৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, গত ৪ বছরের মেম্বারদের সম্মানি ভাতা দিচ্ছেন না চেয়ারম্যান সাহেব টাকা চাইলে তিনি নানা রকম কথা বলেন। গত সোমবার চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে আমার বকেয়া ১ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা সম্মানি ভাতার বিষয়ে কথা বলতে গেলে তিনি আমাকে গালাগালি করে এবং পিটিয়ে ১৫ দিন হাসপাতালে রাখবে বলে হুমকি দেয়।
তিনি পরিষদের টাকা থাকার পরেও ইচ্ছা করে মেম্বারদের বকেয়া সম্মানী ভাতা দিচ্ছেন না। অনেক সময় তিনি ইচ্ছে করে ইউনিয়ন পরিষদে ট্যাক্স আদায় করতে গড়িমসি করেন।
তার অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি।
ঘারমোরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান মোল্লা বলেন , পরিষদের কাছে ইউপি সদস্যদের সম্মানী ভাতা বকেয়া রয়েছে। রহমান ও আশিক মেম্বার বকেয়া টাকা চাইতে এসে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। তখন আমিও তাকে একটু বকাজকা দেই। আমি তাকে কোনও মারধর করিনি। ইউএনও স্যারের কাছে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন দুই মেম্বার। ইউএনও স্যার আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমন দে বলেন, ঘারমোরা ইউনিয়নের ২ ইউপি সদস্য আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমি বিষয়টি তদন্ত করে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের ডেকে শুনানি করব।