তপন সরকার, হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার হোমনায় শিক্ষক পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে এক প্রবাসির স্ত্রীর বিরুদ্ধে। শনিবার সকাল ১১ টায় মধ্যকান্দি বাজারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষক ও সাংবাদিক পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. ইসমাইল। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মধ্যকান্দি গ্রামের প্রবাসী কালা মিয়ার স্ত্রী হালিমা বেগম একজন উশৃঙ্খল ও দুশ্চরিত্রা মহিলা। তাঁর স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকজনের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে।
এতে বাধা দিতে গেলে সমাজের লোকজনের সাথে তাঁর বিরোধ বাধে পরবর্তীতে বিভিন্ন কারণে বাধাদানকারী ব্যক্তিদের হয়রানি করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। গত কয়েক মাস পূর্বে তাঁর উশৃঙ্খল কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় আমার ভাই হানিফ মাষ্টার ও তাঁর ছেলে মো. নোমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের পূর্বক হয়রানি করে আসছে।
তিনি আরো বলেন, গত ১৪ জুলাই ডাকাতির নাটক সাজিয়ে আমার এবং আমার ছোট ভাই কাউসার ও ভাতিজা নোমানের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় ১টি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। এতে কাজ না হওয়ায় গত ২১ জুলাই নিজের শরীর কেটে হোমনা হাসপাতালে ভর্তি হয়। জানি না আবার কার নামে মিথ্যা মামলা দেয়ার জন্য নাটক সাজিয়েছে। সে সবাইকে ধর্ষন অগ্নিকান্ড সহ কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে মিথ্যা মামলা ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয়-ভীতি দেখায়। এই মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই পাশাপাশি সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি।
এ সময় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য সহ ইউপি সদস্য আবদুল হাকিম আলী, সাবেক ইউপি সদস্য মহাসিন, বসু মিয়া প্রধান, দাদন মিয়া প্রধান, বাবুল মিয়া, মো. খলিল মিয়া, হায়েত মিয়া, আবুল কাশেম, মাজেদুল ইসলাম, জাকির হোসেন, ফারুক মিয়া ও মোশারফ হোসেন সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে প্রবাসির স্ত্রী হালিমা বেগম জানান, নোমান আমাকে কুপ্রস্তাব ও চাঁদা দাবি করলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করি সেই মামলা প্রত্যাহারের জন্য আমাকে কাউসার ও নোমান ও তাঁর পরিবার আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য রাতে আক্রমন করে পরে চিৎকার শুনলে আশে পাশের লোকজন আসলে তাঁরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকার অনেকের কাছে বিচার চেয়েছি কেহ আমার বিচার করে নাই তাই আমি থানায় অভিযোগ করেছি।