তপন সরকার, হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :
প্রকৃতির চিরাচরিত নিয়মে হেমন্তে সোনালী ধানের মিষ্টি গন্ধে মেতে উঠেছে বাংলার জনপদ। মাঠে মাঠে এখন রোপা আমন ধান কাটা ও মাড়াই পুরোদমে শুরু হয়েছে। কুমিল্লার হোমনা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষান-কৃষানীরা। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় নির্বিঘে ধান কাটা- মাড়াই কাজ করছে কৃষক। কৃষি বিভাগের দাবি, ধান উৎপাদনের এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওযার সম্বাবনা রয়েছে।
হোমনায় এবার অনেক জমিতেই রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে। মাঠে মাঠে পাকা ধান কাটার ধুম পড়েছে। ধান কাটাতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। ইতোমধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। কৃষকের আঙিনা ভরে উঠছে সোনালি ধানে, মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক। ফসলের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠছে সারা বাড়ি। উঠানে ছড়ানো সোনালি ধান। সাথে আনন্দের বন্যা। কয়েক দিন পরে ঘরে ঘরে হবে নবান্ন উৎসব। কন্যা-জায়া-জননীর ব্যস্ততা এখন দিনরাত।
হোমনা সদর উপজেলার আছাদপুর ইউনিয়ন খোদদাউদপুর গ্রামের কৃষক মো. ফুল মিয়া বলেন, আমি চার বিঘা জমিতে চাষ করেছেন আমন ধানের। ধান কাটা শুরু হয়েছে। আগামী ৯ দিনের মধ্যে সব ধান ঘরে চলে আসবে। পাথালিয়াকান্দি গ্রামের মো. বাশা মিয়া বলেন, প্রতি বছর ধান উঠার সময় দাম পড়ে যায়। কিন্তু এবার দাম পড়েনি। এ জন্য কৃষকদের খুব বেশি লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষিকর্মকর্তা জুলফিকার আলী বলেন, হোমনা বিভিন্ন ইউনিয়নে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষকরা আগামী এক দুই সপ্তাহের মধ্যে সব ধান ঘরে তুলতে পারবে। অকালে ভারি বর্ষণে ফসলের কিছুটা ক্ষতি হলেও এ বছর ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।