ঢাকা ০৮:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হোমনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কুমিল্লার হোমনা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ্ আমান এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে, সে দীর্ঘ দিন যাবৎ বিভিন্ন মাধ্যমে এলাকায় চাঁদাবাজি,সন্ত্রাসী,চোরদের মদত দিয়ে আসছে। সর্বশেষ সে গত ১৮/০৫/২০১৭ইং তারিখে তার নিজ গ্রামে মুজিবুর মিয়া নামের এক ব্যক্তির কাছে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ১লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করে। সে ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তখন তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এলোপাথারি ভাবে পিটিয়ে আহত করে ও হুমকি প্রদর্শন করনে।

ঘটনাটি ঘটেছে হোমনা উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের নালাদক্ষিণ গ্রামের মরহুম নুরুল ইসলামের ছেলে মুজিবুর রহমান এর সাথে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,গত বৃহস্পতিবার বিকাল আনুমানিক ৪ ঘটিকা সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ্ আমান এর নেতৃত্বে আবুল কালাম,পিতা.মৃত.আব্দুল লতিফ, মনিরুজ্জামান মানিক, পিতা- মৃত. মফিজুল ইসলাম গং সহ আরো ৪/৫ জনের একটি সংঙ্ঘদ্ধ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ বাহিনী দেশিয় অস্ত্র রাম দা, হকিষ্টিক, লাঠি-শোঠা ইত্যাদি নিয়ে মুজিবুর মিয়ার বাড়িতে গিয়ে তারা তার বসত ঘরে প্রবেশ করে তার কাছে ১লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করে। অন্যথায় চাঁদা না দিলে মুজিবুর মিয়াকে প্রানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি প্রদর্শন করে। সে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তখন সন্ত্রাসী বাহিনী তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাথারি ভাবে পিটিয়ে আহত করে। এসময় তার আর্তচিৎকার শুনে আশে পাশের লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা গেছে,আমান উল্লাহ্র সহযোগি রফিকুল মুজিবুরের মেয়ের জামাই সে আমাদের গ্রামের ওয়ালী উল্লাহ্ ফকিরের বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে জেল হাজতে আছে, তাকে জেল হাজত থেকে ছুটানোর জন্য মরিয়া হয়ে পড়ে আমান উল্লাহ্ আমান, তার পড় থেকে মুজিবুরের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে চাঁদাদাবী করে আসছিলো সে। মুজিবুর চাঁদা দিতে অসম্মতি জানালে তাকে নানা প্রকার হুমকি প্রদর্শন করতো। তা এসে গ্রামবাসীকে জানায় মুজিবুর গ্রামবাসী তাকে একটি টাকাও যেন চাঁদা না দেয় সে জন্য নিষেধ করলে তা মানতে বাধ্য হয় সে। ঘটনার দিন আমান উল্লাহ্ ও তার সহকর্মীরা মুজিবুরের বসত বাড়িতে এসে তার উপর হামলা চালায়। তার আর্তচিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসী বাহিনীটি পালিয়ে যায়।

এব্যাপারে মুজিবুর রহমান কান্না জরিত কণ্ঠে এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি দিন আনি দিন খাই স্যার আমার উপর ১লক্ষ চাঁদাদাবী করলে আমি কোথা থেকে দিবো। এর চেয়ে বরং আমাকে মেরে ফেলাই ভাল ছিলো। আর সে আমার মেয়ের জামাই হউক আর যাই হউক সে তো একটা অপরাধী, আর আমি গরীব হতে পারি কিন্তু অপরাধীকে পছন্দ করি না। সে জন্য আমি আমান উল্লাহকে চাঁদা দিতে অস্বীকার করি। কিন্তু সে আমার উপর জোর প্রয়োগ করে চাঁদা নিতে চায়। তা না দিলে নাকি আমাকে জানে মেরে ফেলবো। এখন আমি কি করি স্যার আপনারাই বলেন। আমি প্রান ভয়ে কোথাও বেড় হতে পারি না। সে আমাকে দেখলেই চাঁদাদাবী করে। আমি বাংলাদেশ সরকারের কাছে এর সঠিক বিচার চাই।  ১৯৭১ সালে আমার জন্ম তাই মা আমার নাম রাখছিলো শেখ মুজিব কিন্তু সে নামের অর্থ কি এই যে আজ আমি বাড়ি থেকে বেড় হতে পারি না। মাইনষে বলে আমার নামের সাথে নাকি বঙ্গবন্ধুর নামের মিল আছে। তাই আমি সে নামের দাবিতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে আমার জীবনের নিরাপত্তা চাই।

এব্যাপারে আমান উল্লাহ্’র সাথে তার মোঠ ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তা সম্ভব হয়নি। এব্যাপারে মুজিবুর মিয়া বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে । মাললার স্মারক নং- ৩৫৩/২২-০৫-১৭ ইং, ধারা- ৩২৩/৪৪৮/৩৮৫/৩৪ দঃ বিঃ, তারিখ- ১৮/০৫/২০১৭ ইং।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

হোমনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

আপডেট সময় ০২:৫৯:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুন ২০১৭
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কুমিল্লার হোমনা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ্ আমান এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে, সে দীর্ঘ দিন যাবৎ বিভিন্ন মাধ্যমে এলাকায় চাঁদাবাজি,সন্ত্রাসী,চোরদের মদত দিয়ে আসছে। সর্বশেষ সে গত ১৮/০৫/২০১৭ইং তারিখে তার নিজ গ্রামে মুজিবুর মিয়া নামের এক ব্যক্তির কাছে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ১লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করে। সে ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তখন তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এলোপাথারি ভাবে পিটিয়ে আহত করে ও হুমকি প্রদর্শন করনে।

ঘটনাটি ঘটেছে হোমনা উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের নালাদক্ষিণ গ্রামের মরহুম নুরুল ইসলামের ছেলে মুজিবুর রহমান এর সাথে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,গত বৃহস্পতিবার বিকাল আনুমানিক ৪ ঘটিকা সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ্ আমান এর নেতৃত্বে আবুল কালাম,পিতা.মৃত.আব্দুল লতিফ, মনিরুজ্জামান মানিক, পিতা- মৃত. মফিজুল ইসলাম গং সহ আরো ৪/৫ জনের একটি সংঙ্ঘদ্ধ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ বাহিনী দেশিয় অস্ত্র রাম দা, হকিষ্টিক, লাঠি-শোঠা ইত্যাদি নিয়ে মুজিবুর মিয়ার বাড়িতে গিয়ে তারা তার বসত ঘরে প্রবেশ করে তার কাছে ১লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করে। অন্যথায় চাঁদা না দিলে মুজিবুর মিয়াকে প্রানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি প্রদর্শন করে। সে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তখন সন্ত্রাসী বাহিনী তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাথারি ভাবে পিটিয়ে আহত করে। এসময় তার আর্তচিৎকার শুনে আশে পাশের লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা গেছে,আমান উল্লাহ্র সহযোগি রফিকুল মুজিবুরের মেয়ের জামাই সে আমাদের গ্রামের ওয়ালী উল্লাহ্ ফকিরের বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে জেল হাজতে আছে, তাকে জেল হাজত থেকে ছুটানোর জন্য মরিয়া হয়ে পড়ে আমান উল্লাহ্ আমান, তার পড় থেকে মুজিবুরের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে চাঁদাদাবী করে আসছিলো সে। মুজিবুর চাঁদা দিতে অসম্মতি জানালে তাকে নানা প্রকার হুমকি প্রদর্শন করতো। তা এসে গ্রামবাসীকে জানায় মুজিবুর গ্রামবাসী তাকে একটি টাকাও যেন চাঁদা না দেয় সে জন্য নিষেধ করলে তা মানতে বাধ্য হয় সে। ঘটনার দিন আমান উল্লাহ্ ও তার সহকর্মীরা মুজিবুরের বসত বাড়িতে এসে তার উপর হামলা চালায়। তার আর্তচিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসী বাহিনীটি পালিয়ে যায়।

এব্যাপারে মুজিবুর রহমান কান্না জরিত কণ্ঠে এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি দিন আনি দিন খাই স্যার আমার উপর ১লক্ষ চাঁদাদাবী করলে আমি কোথা থেকে দিবো। এর চেয়ে বরং আমাকে মেরে ফেলাই ভাল ছিলো। আর সে আমার মেয়ের জামাই হউক আর যাই হউক সে তো একটা অপরাধী, আর আমি গরীব হতে পারি কিন্তু অপরাধীকে পছন্দ করি না। সে জন্য আমি আমান উল্লাহকে চাঁদা দিতে অস্বীকার করি। কিন্তু সে আমার উপর জোর প্রয়োগ করে চাঁদা নিতে চায়। তা না দিলে নাকি আমাকে জানে মেরে ফেলবো। এখন আমি কি করি স্যার আপনারাই বলেন। আমি প্রান ভয়ে কোথাও বেড় হতে পারি না। সে আমাকে দেখলেই চাঁদাদাবী করে। আমি বাংলাদেশ সরকারের কাছে এর সঠিক বিচার চাই।  ১৯৭১ সালে আমার জন্ম তাই মা আমার নাম রাখছিলো শেখ মুজিব কিন্তু সে নামের অর্থ কি এই যে আজ আমি বাড়ি থেকে বেড় হতে পারি না। মাইনষে বলে আমার নামের সাথে নাকি বঙ্গবন্ধুর নামের মিল আছে। তাই আমি সে নামের দাবিতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে আমার জীবনের নিরাপত্তা চাই।

এব্যাপারে আমান উল্লাহ্’র সাথে তার মোঠ ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তা সম্ভব হয়নি। এব্যাপারে মুজিবুর মিয়া বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে । মাললার স্মারক নং- ৩৫৩/২২-০৫-১৭ ইং, ধারা- ৩২৩/৪৪৮/৩৮৫/৩৪ দঃ বিঃ, তারিখ- ১৮/০৫/২০১৭ ইং।