তপন সরকার, হোমনা(কুমিল্লা)প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় ঘনিয়ারচর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুক ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় প্রশাসন এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করাহয়েছে ।
গত ২ আগস্ট উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদিউল আলম সুফলকে সরজমিনে তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী শহিদুল ইসলাম।
গত ২ আগস্ট উপজেলা প্রশাসেন ফেইজবুকে নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত একটি চিঠি আপলোড করে তদন্তপূর্ব প্রতিবেদ দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী শহিদুল ইসলাম বলেন, সামাজিক মাধ্যম ফেইজ বুকে এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ঘনিয়ারচর উচ্চ বিদ্যালয়ে উপবৃত্তির টাকা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠায় বিষয়টি তাৎক্ষনিক ভাবে আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে । তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।
জানাগেছে,শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্য শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীনে সেকায়েপ প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলার ঘনিয়ার চর উচ্চ বিদ্যালয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থীদদের মাঝে উপবৃত্তি প্রদান কর হয়। কিন্তু উপবৃত্তির টাকা থেকে কর্মকর্তাকে খাবারের কথা বলে ৬ষ্টশ্রেণির শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫০ টাকা এবং নবমও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর কাছথেকে ১০০ টাকা কেটে নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণির ছাত্র আনিছুর রহমান, জুবায়ের আহম্মেদ, নবম শ্রেণির খাইরুল দশম শ্রেণির মো.রেজাউল করিম জানান ৬ষ্ট শ্রেণির শিক্ষর্থীরা কাছ থেকে ৫০ টাকা এবং নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে শিক্ষকদেও খানা বাবদ টাকা কেটে রাখা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষকদের খানা বাবদ টাকা কেটে রাখা হলেও বিদ্যালয়ের শিক্ষক সফিকুল ইসলাম,যোবায়ের স্যার কাউকে বলতে নিষেধ করেছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ মোবাইলে টাকা কম দেয়ার কথা স্বীকার না করলেও ম্যানেজিং কমিটি ও অফিসারদের খাবারের কথা স্বীকার করেন ।