মো. আবু রায়হান চৌধুরী, হোমনা (কুমিল্লা) :
কুমিল্লার হোমনায় জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ছোট ভাইয়ের হামলায় মৃত বড় ভাইয়ের স্ত্রী আহত বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হামলাকারীদের একজনকে আটক করেন পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে হোমনা পৌরসভাধীন গোয়ারীভাঙ্গা গ্রামে।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, হোমনা পৌরসভাধীন গোয়ারীভাঙ্গা গ্রামে মৃত আলাল উদ্দিনের জায়গা দখল করার উদ্দেশ্যে একই গ্রামের মৃত ছেতু মিয়ার পুত্র রাসেল মিয়া (৩৫) এর নেতৃত্বে মৃত আলাল উদ্দিনের আপন ছোট ভাই শাহ-জাহান (৪৫), মৃত ইরন মিয়ার মেয়ে মনা বেগম (২০), মৃত ইরন মিয়ার স্ত্রী জখলে বেগম হামলা চালায় নিরীহ পরিবারটির উপর। এসময় মৃত আলাল উদ্দিনের স্ত্রী ফজিলতের নেছা (৪০) বাধা দিতে গেলে তাকে এলোপাথারিভাবে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে ও জোরপূর্বক ঘরে ডুকে লুটপাট করে এবং বাড়ি-ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। তার চিৎকার চেচামেচি শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা সেখান থেকে চলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এব্যাপারে, মৃত আলাল উদ্দিনের স্ত্রী আহত ফজিলতের নেছা সাংবাদিকদের বলেন, আমার স্বামীর জায়গা-জমি ও বসত ঘর জোরপূর্বক দখল করার জন্য অনেক দিন ধরে আমার দেবর শাহ-জাহান চেষ্টা চালিয়ে আসিতেছে। এবং তার সাথে বাড়ির সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ঘটনার দিন সকালে জোরপূর্বক আমার বসত ঘরে ডুকে বসত ঘর,পাকের ঘর ও বাথরুম ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এসময় ঘরে থাকা ১ভরি ওজনের ১টি স্বর্ণের চেইনসহ প্রায় ২লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। আমি তাদেরকে বাধা দিতে গেলে রাসেল মিয়া ও শাহ-জাহান আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চাপিয়া ধরে এবং ইরন মিয়ার স্ত্রী জখলে বেগম ও মেয়ে মনা বেগম আমাকে পিটাতে থাকে। আমার চিৎকার চেচামেচি শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা চলে যায়। যাওয়ার সময় আমাকে প্রাননাশের গুমকি দিয়ে যায়।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও অভিযুক্তদের কাউকেই পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় গ্রামবাসী এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হোমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হলে অভিযুক্তদের মধ্যে রাসেল মিয়া (৩৫) নামের একজনকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে হোমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয় লোকজন সামাজিক ভাবে বিচার শালিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিস্পত্তি করার দাবী জানালে উভয় পক্ষের স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে বাদী ও বিবাদীর কাছ থেকে রাজিনামা শর্তে স্বাক্ষর রেখে আটককৃত ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।