ঢাকা ০৮:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হোমনায় ঝগড়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১১ বছর প্রধান শিক্ষক না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে পদান

মো. আবু রায়হান চৌধুরী, হোমনা (কুমিল্লা) থেকে:

কুমিল্লার হোমনা উপজেলার ঝগড়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি ১১ বছর ধরে শূন্য রয়েছে। এছাড়াও সহকারী শিক্ষক পদে আরও দু’জন শিক্ষক বিদ্যালয়ে কম থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মরত শিক্ষকদের। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।

বছরের শুরুতেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের অভিভাবক শিক্ষার সঠিক মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকসহ অনুমোদিত শিক্ষক পদ ৭ জন। প্রধান শিক্ষকসহ ২টি সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য।

বিদ্যালয়টি থেকে বিগত ২০১০ সালের ৫ই জানুয়ারী তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মো. মনির হোসেন বদলি হয়ে লটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলে গেলে বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য হয়। দীর্ঘদিন ধরে এ পদটি শূন্য থাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই দুষছেন অভিভাবকরা। কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। শিক্ষক সংকটের কারণে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করার ফলে শিক্ষকরা শ্রেণীকক্ষে ঠিকমতো পাঠদানে মনোনিবেশ করতে পারছেন না। এছাড়াও বিদ্যালয়ে বেঞ্চ সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের বসার স্থান সংঙ্কুলান হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়টির স্কুল ম্যানেজিং কমিটি (এসএমসি) দীর্ঘ দিন ধরে না থাকায় শিক্ষকদের নানান প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সানজিদা আক্তার নিগার বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩৫০ জন। লেখাপড়ার পরিবেশ ভালো। শুধু মাত্র সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের পদ দুটি পূরণ হলেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে হিমশিম হবে না। বিদ্যালয়টির লেখাপড়ার মান ও ্উন্নত হবে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (দুলালপুর ক্লাস্টার) মো. নজরুল ইসলাম জানান, যদি নিজ ইচ্ছায় কোনো প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক ওই বিদ্যালয়ে যেতে আগ্রহী হয়। তাহলে উপজেলা শিক্ষা অফিস তার দ্রুত বদলী করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যে কোনো সময় নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষদের পদায়ন হবে। এতে করে বিদ্যালয়টির শূন্য পদ পূরণ হবে বলে আমরা আশাবাদী।

বিদ্যালয়টির স্কুল ম্যানেজিং কমিটি (এসএমসি) দীর্ঘ দিন ধরে না থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচনের নীতিমালায় অমূল পরিবর্তন আসায় স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা এবং পরামর্শে আপাদত আডঅব কমিটি গঠন বিষয়টি পক্রিয়াধীন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

হোমনায় ঝগড়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১১ বছর প্রধান শিক্ষক না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে পদান

আপডেট সময় ০২:৫৮:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২০

মো. আবু রায়হান চৌধুরী, হোমনা (কুমিল্লা) থেকে:

কুমিল্লার হোমনা উপজেলার ঝগড়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি ১১ বছর ধরে শূন্য রয়েছে। এছাড়াও সহকারী শিক্ষক পদে আরও দু’জন শিক্ষক বিদ্যালয়ে কম থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মরত শিক্ষকদের। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।

বছরের শুরুতেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের অভিভাবক শিক্ষার সঠিক মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকসহ অনুমোদিত শিক্ষক পদ ৭ জন। প্রধান শিক্ষকসহ ২টি সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য।

বিদ্যালয়টি থেকে বিগত ২০১০ সালের ৫ই জানুয়ারী তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মো. মনির হোসেন বদলি হয়ে লটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলে গেলে বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য হয়। দীর্ঘদিন ধরে এ পদটি শূন্য থাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই দুষছেন অভিভাবকরা। কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। শিক্ষক সংকটের কারণে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করার ফলে শিক্ষকরা শ্রেণীকক্ষে ঠিকমতো পাঠদানে মনোনিবেশ করতে পারছেন না। এছাড়াও বিদ্যালয়ে বেঞ্চ সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের বসার স্থান সংঙ্কুলান হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়টির স্কুল ম্যানেজিং কমিটি (এসএমসি) দীর্ঘ দিন ধরে না থাকায় শিক্ষকদের নানান প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সানজিদা আক্তার নিগার বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩৫০ জন। লেখাপড়ার পরিবেশ ভালো। শুধু মাত্র সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের পদ দুটি পূরণ হলেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে হিমশিম হবে না। বিদ্যালয়টির লেখাপড়ার মান ও ্উন্নত হবে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (দুলালপুর ক্লাস্টার) মো. নজরুল ইসলাম জানান, যদি নিজ ইচ্ছায় কোনো প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক ওই বিদ্যালয়ে যেতে আগ্রহী হয়। তাহলে উপজেলা শিক্ষা অফিস তার দ্রুত বদলী করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যে কোনো সময় নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষদের পদায়ন হবে। এতে করে বিদ্যালয়টির শূন্য পদ পূরণ হবে বলে আমরা আশাবাদী।

বিদ্যালয়টির স্কুল ম্যানেজিং কমিটি (এসএমসি) দীর্ঘ দিন ধরে না থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচনের নীতিমালায় অমূল পরিবর্তন আসায় স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা এবং পরামর্শে আপাদত আডঅব কমিটি গঠন বিষয়টি পক্রিয়াধীন।