ঢাকা ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হোমনায় তৃতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ

মো. তপন সরকার, হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার হোমনায় তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে,জনতা গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে পোস্ট মাস্টার ও পল্লি চিকিৎসক সুভাস চন্দ্র দাস (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে। আজ মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ধর্ষককে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে হোমনা থানা পুলিশ।
মেয়েটি স্থানীয় দুলালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিলো। সে তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। ধর্ষক সুভাষ এর আগেও একবার মেয়েটিকে একইভাবে ধর্ষণ করেছে বলে মেয়েটির বরাত দিয়ে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোমনা সার্কেল মো. সাইফুর রহমান আজাদ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ধর্ষক সুভাষ দুলালপুর বাজারে ওষুধের ব্যবসার পাশাপাশি দুলালপুর সাব পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার হিসেবে কর্মরত। সে দুলালপুর-চন্ডিপুর গ্রামের মৃত রাজেন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে। তার স্ত্রী উপজেলার দুলালপুর চন্দ্রমনি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক। শিশুটি ওই দিন দুপুরে বাজার থেকে শ্যাম্পু কিনে তার দোকানের পাশ দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দোকানের ভেতরে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে।
শেষে তার হাতে (সিভিট ট্যাবলেট) ধরিয়ে দিয়ে এ ঘটনা কারও কাছে না বলার জন্য ভয়-ভীতি দেখায়। রাতেই মেয়েটিকে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিযে যায় পুলিশ।
মেয়েটিকে বুকে নিয়ে বসে থাকা অবস্থায় তার মা জানান, ওই দিন দুপুরে মেয়েটিকে শ্যাম্পু কিনতে দশ টাকা দিয়ে বাজারে পাঠাই। আসতে দেরী দেখে আমি বিভিন্ন রাস্তা ও দোকানে গিয়ে মেয়ের খোঁজ করি ‘না পেয়ে বাড়ি চলে আসি। অনেক পরে মেয়ে শ্যাম্পু নিয়ে বাড়ি ফিরলে আমি তাকে থাপ্পর দেই।
মেয়েটি কান্নাকাটি করতে থাকে পরে মেয়েকে গোসলের জন্য নিয়ে যাই নদীতে গোসল করানোর সময় তার বুকে দাগ দেখি আমি বলি কীসের দাগ। তখন মেয়ে বলে,আম্মু তুমি মাইরো না। আমি বলি সুভাষ মামায় ডেকে নিয়ে আমারে এইকি করছে। সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পরে সুভাষ আমার কাছে এসে অনুনয় বিনয় করতে থাকে। তখন আমি বিষয়টি চেয়ারম্যানের কাছে জানায়ছি।
তিনি আইনের মাধ্যমে যাওয়ার কথা বলে পুলিশকে জানান। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক ডাক্তার মো. রাশেদুল ইসলাম রাশেদ জানান, প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে দেখেছি। বুকের ডান দিকে কামড়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে আরও অন্যান্য পরীক্ষার নীরিক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছি।
এ ব্যাপা‌রে দুলালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন সওদাগর বলেন, আমি ঘটনা জানার সাথে সাথে বিষয়টি আমি পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে সুভাষকে থানায় নিয়ে যায়।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মো. ফজলে রাব্বী ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, শিশুটিকে ধর্ষণের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতার করে আজ সোমবার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

হোমনায় তৃতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ

আপডেট সময় ০৬:০১:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
মো. তপন সরকার, হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার হোমনায় তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে,জনতা গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে পোস্ট মাস্টার ও পল্লি চিকিৎসক সুভাস চন্দ্র দাস (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে। আজ মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ধর্ষককে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে হোমনা থানা পুলিশ।
মেয়েটি স্থানীয় দুলালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিলো। সে তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। ধর্ষক সুভাষ এর আগেও একবার মেয়েটিকে একইভাবে ধর্ষণ করেছে বলে মেয়েটির বরাত দিয়ে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোমনা সার্কেল মো. সাইফুর রহমান আজাদ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ধর্ষক সুভাষ দুলালপুর বাজারে ওষুধের ব্যবসার পাশাপাশি দুলালপুর সাব পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার হিসেবে কর্মরত। সে দুলালপুর-চন্ডিপুর গ্রামের মৃত রাজেন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে। তার স্ত্রী উপজেলার দুলালপুর চন্দ্রমনি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক। শিশুটি ওই দিন দুপুরে বাজার থেকে শ্যাম্পু কিনে তার দোকানের পাশ দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দোকানের ভেতরে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে।
শেষে তার হাতে (সিভিট ট্যাবলেট) ধরিয়ে দিয়ে এ ঘটনা কারও কাছে না বলার জন্য ভয়-ভীতি দেখায়। রাতেই মেয়েটিকে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিযে যায় পুলিশ।
মেয়েটিকে বুকে নিয়ে বসে থাকা অবস্থায় তার মা জানান, ওই দিন দুপুরে মেয়েটিকে শ্যাম্পু কিনতে দশ টাকা দিয়ে বাজারে পাঠাই। আসতে দেরী দেখে আমি বিভিন্ন রাস্তা ও দোকানে গিয়ে মেয়ের খোঁজ করি ‘না পেয়ে বাড়ি চলে আসি। অনেক পরে মেয়ে শ্যাম্পু নিয়ে বাড়ি ফিরলে আমি তাকে থাপ্পর দেই।
মেয়েটি কান্নাকাটি করতে থাকে পরে মেয়েকে গোসলের জন্য নিয়ে যাই নদীতে গোসল করানোর সময় তার বুকে দাগ দেখি আমি বলি কীসের দাগ। তখন মেয়ে বলে,আম্মু তুমি মাইরো না। আমি বলি সুভাষ মামায় ডেকে নিয়ে আমারে এইকি করছে। সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পরে সুভাষ আমার কাছে এসে অনুনয় বিনয় করতে থাকে। তখন আমি বিষয়টি চেয়ারম্যানের কাছে জানায়ছি।
তিনি আইনের মাধ্যমে যাওয়ার কথা বলে পুলিশকে জানান। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক ডাক্তার মো. রাশেদুল ইসলাম রাশেদ জানান, প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে দেখেছি। বুকের ডান দিকে কামড়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে আরও অন্যান্য পরীক্ষার নীরিক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছি।
এ ব্যাপা‌রে দুলালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন সওদাগর বলেন, আমি ঘটনা জানার সাথে সাথে বিষয়টি আমি পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে সুভাষকে থানায় নিয়ে যায়।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মো. ফজলে রাব্বী ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, শিশুটিকে ধর্ষণের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতার করে আজ সোমবার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।