তপন সরকার, হোমনা (কুমিল্লঅ) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় বার্লির সঙ্গে কেমিক্যাল মিশিয়ে নকল আমের জুস তৈরীর কারখানার সন্ধান পেয়ে তা সিলগালা করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার উপজেলার হরিপুর গ্রামের হারুন মিয়ার বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী শহিদুল ইসলাম এক অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় কারখানায় কর্মরত তিন শ্রমিককে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ওই কারখানার মালিক উপজেলার ওপারচর গ্রামের জয়নাল আবেদীনকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
কারাদন্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার হরিপুর গ্রামের মো. সালমান হোসেন(১৮), রেহেনা বেগম(৩০) ও হাজেরা আক্তার(১৮)। আদালত সংশ্লিষ্ট সুত্র ও
জানা গেছে, উপজেলার ওপারচর গ্রামের সুজিত আলীর ছেলে জয়নাল আবেদীন এক বছর পূর্বে হরিপুর গ্রামের হারুন মিয়ার একটি ঘর ভাড়া নিয়ে ‘চার ভাই তৃপ্তি স্লাইস’ নামের একটি কারখানা দেন। এতে প্রতিদিন ৯-১০জন শ্রমিক জুস তৈরীর কাজ করেন। কারখানাটিতে বার্লি ড্রামের মধ্যে পানিতে মিশিয়ে তা গরম করে তরল মিশ্রন তৈরী করা হয়। পরে এই মিশ্রনের সঙ্গে আমের গন্ধযুক্ত গোলাপী রঙের কেমিক্যাল মেশানো হয়। পরে ওই মিশ্রন কয়েকশ ফুট লম্বা পলি প্যাক করে তিন ইঞ্চি করে কেটে নেওয়া হয়। ওই জুস বাচ্চাদের খাবারের জন্য গ্রাম্যাঞ্চলের দোকানগুলোতে বিক্রি করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী শহিদুল ইসলাম খবর পেয়ে ওই কারখানায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। কারখানা থেকে ১৫০ কার্টন জুস (প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার জুস) এবং জুস তৈরীর কেমিক্যাল ও সরমঞ্জমাদি জব্দ করা হয়। পরে জুসগুলোকে ধ্বংশ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী শহিদুল ইসলাম বলেন, আমের গন্ধযুক্ত কেমিক্যাল বার্লির সঙ্গে মিশিয়ে যে জুস তৈরী করা হচ্ছিল তা শিশুদের জন্য মারাতক ক্ষতিকর। এই কেমিক্যাল শিশুদের পেটে গিয়ে পেটের নানান অসুখসহ নানান কঠির রোগের সৃষ্টি করতে পারে। জুসের কারখানার মালিক জয়নাল আবেদীন পলাতক রয়েছেন, তাই তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিন শ্রমিককে এক বছর করে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।