হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার হোমনায় নার্সের অবহেলায় প্রসূতীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার থানা রোডে অবস্থিত লাইসেন্স বিহীন বেসরকারী এশিয়া জেনারেল হাসপাতাল ইউনিট-২ এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জেসমিন আক্তার (২৩) তিতাস উপজেলার উত্তর আকালিয়া (বৈদ্যার কান্দি) গ্রামের সলিমুল্লা মেয়ে ও উত্তর শ্রীনাইরকান্দি গ্রামের ওমান প্রবাসী হাবিবুর রহমান লিটন পাঠানের স্ত্রী। ঘটনার পর থেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পলাতক রয়েছে বলে অভিযোগ উঠে এবং প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানায় এই হাসপাতালে এর আগেও সিজারীয় অপারেশনের পর প্রসূতীর পেটে গজ-কেচি রেখেই সেলাই সম্পন্ন করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তিতাস উপজেলার সাতানী ইউনিয়নের উত্তর আকালিয়া (বৈদ্যারকান্দি) গ্রামের সলিমুল্লার মেয়ে জেসমিন আক্তারের প্রসব ব্যাথা শুরু হলে গত ২৮ আগস্ট বিকালে হোমনা উপজেলা সদরের এশিয়া জেনারেল হাসপাতাল ইউনিট-২ এ ভর্তি করায়। ওই হাসপাতালে ডিউটি অফিসারের চাকরী করে প্রসূতীর আত্মীয় মো. সুমন মিয়া। হাসপাতালে কোন ডাক্তার বা নার্স থাকায় অন্যত্র থেকে ভাড়া করে একজন নার্স এনে র্দীঘক্ষণ চেষ্ঠার পর ডেলিভারী করানো সম্ভব হয়। তবে নবজাতক বেঁচে গেলেও প্রসূতীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। পরিবারের লোকজনের দাবী অদক্ষতার ফলে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণেই প্রসূতীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভয়ে পালিয়ে যায়।
নিহতের আত্মীয় আবু হানিফ জানায়, আমরা ভাবির মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে আসি। এসে দেখি হাসপাতালের কেউ নেই। শুনেছি আরেক জায়গা থেকে নার্স ভাড়া করে এনে ডেলিভারী করিয়েছে। বেশি রক্ত যাওয়ায় ভাবির মৃত্যুর হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই বলে, এই হাসপাতালে কোন বৈধ ডাক্তার বা নার্স নাই। হাসপাতালের লাইসেন্সও নাই। রহস্যজননক কারণে এসব কসাইখানা টিকে থাকে আর অবহেলায় মানুষের জীবনবসান ঘটে।
হাসপাতালের লাইসেন্স আছে কিনা এবং কোন ডাক্তার বা নার্স এ ডেলিভারী করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে হাসপাতালের এমডি মো. জাহাঙ্গীর আলম সংবাদকে বলেন, আমি এখন একটু দূরে আছি। হাসপাতালে গিয়ে কাগজ-পত্র দেখে জানাতে হবে।
হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডাক্তার সরফরাজ সংবাদকে বলেন, বিষয়টি আমি গত রাতে শুনেছি। বর্তমানে আমি কুমিল্লাতে আছি। আমি হোমনায় এসে ভালবাবে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।