ঢাকা ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হোমনায় নিখোঁজের ৪ দিন পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার, ৩ ঘাতকের স্বীকারউত্তি

তপন সরকার, হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার হোমনা উপজেলার সাপলেজি গ্রামের স্কুল ছাত্র জাহিদ হাসানের মরদেহ নিখোঁজের পাঁচ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ৯টা দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
হোমনা থানার ওসি রসুল আহমেদ জানান, হোমনার সাপলেজি গ্রামের আখতারুজ্জামানের ছেলে পাশ্ববতী দুলালপুর চন্দ্র মনি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র জাহিদকে গত ৫ দিন আগে সন্ধ্যায় প্রতিবেশী এক ছেলে ডেকে নিয়ে যায়। রাতে জাহিদ বাড়ি না ফিরলে, পর দিন তার বাবা হোমনা থানায় অভিযোগ করে। এদিকে মঙ্গলবার সকালে একটি মোবাইল নাম্বার থেকে ম্যাসেজের মাধ্যমে জাহিদের চাচার কাছে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপন চাওয়া হয়।
মোবাইল নাম্বারটির সুত্র ধরে পুলিশ পাশ্ববর্তী উপজেলার ভিটিকালমিনা গ্রামের মজিবুরের ছেলে মো. জিহাদ হোসেন (১৯), হাফেজ হোসেনের ছেলে এমদাদ হোসেন (১৭) এবং মুরাদনগর উপজেলার ও দুলালপুরের ভাড়াটিয়া শাহ জালালের ছেলে মো. খাইরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা জানান, জাহিদকে নিখোঁজের দিনই দুলালপুর বাজারের একটি দোকানে গলাটিপে হত্যা শেষে দুলালপুর চন্দ্র মনি উচ্চ বিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখা হয়। হোমনা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়। এ বিষয়ে নিহতের বাবা আক্তারুজ্জামান বাদী হয়ে হোমনা থানায় মামলা দায়ের করেন এবং আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি ছাত্রদলের

হোমনায় নিখোঁজের ৪ দিন পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার, ৩ ঘাতকের স্বীকারউত্তি

আপডেট সময় ১২:৫৫:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৭
তপন সরকার, হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার হোমনা উপজেলার সাপলেজি গ্রামের স্কুল ছাত্র জাহিদ হাসানের মরদেহ নিখোঁজের পাঁচ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ৯টা দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
হোমনা থানার ওসি রসুল আহমেদ জানান, হোমনার সাপলেজি গ্রামের আখতারুজ্জামানের ছেলে পাশ্ববতী দুলালপুর চন্দ্র মনি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র জাহিদকে গত ৫ দিন আগে সন্ধ্যায় প্রতিবেশী এক ছেলে ডেকে নিয়ে যায়। রাতে জাহিদ বাড়ি না ফিরলে, পর দিন তার বাবা হোমনা থানায় অভিযোগ করে। এদিকে মঙ্গলবার সকালে একটি মোবাইল নাম্বার থেকে ম্যাসেজের মাধ্যমে জাহিদের চাচার কাছে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপন চাওয়া হয়।
মোবাইল নাম্বারটির সুত্র ধরে পুলিশ পাশ্ববর্তী উপজেলার ভিটিকালমিনা গ্রামের মজিবুরের ছেলে মো. জিহাদ হোসেন (১৯), হাফেজ হোসেনের ছেলে এমদাদ হোসেন (১৭) এবং মুরাদনগর উপজেলার ও দুলালপুরের ভাড়াটিয়া শাহ জালালের ছেলে মো. খাইরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা জানান, জাহিদকে নিখোঁজের দিনই দুলালপুর বাজারের একটি দোকানে গলাটিপে হত্যা শেষে দুলালপুর চন্দ্র মনি উচ্চ বিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখা হয়। হোমনা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়। এ বিষয়ে নিহতের বাবা আক্তারুজ্জামান বাদী হয়ে হোমনা থানায় মামলা দায়ের করেন এবং আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।