ঢাকা ১১:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হোমনায় প্রতিবাদ করায় বখাটেদের হামলা, নারীসহ আহত ৭

হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার হোমনায় বখাটেদের অশ্লীল আচরণের প্রতিবাদ করায় বখাটেদের হামলার শিকার হয়েছে একটি পরিবার। এ সময় বখাটে সন্ত্রাসীদের দেশীয় অস্ত্রের এলোপাতারি কোপের আঘাতে নারীসহ অন্তত সাতজন গুরুতর আহত হন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলা ভঙ্গাচর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এ বিষয়ে মো. সেলিম মিয়া বাদী হয়ে আজ শনিবার হোমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে বাদী পরিবারের অভিযোগ সন্ত্রাসীরা মামলার পরও প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে।

আহতরা হলেন- হোমনা সদরের মো. নসু মিয়ার স্ত্রী খাদিজা আযম মুক্তা (৩২), তার ছেলে মেহেদী হাসান (১৬), ভংগারচর গ্রামের মৃত শফিউল আযমের ছেলে মো. সুমন মিয়া (২৮), সুজন মিয়া (২৪), সেলিম মিয়া (৩০), রহিমা আযম সিমা ও হাবিবুর রহমানের ছেলে আরিফ (১৬)। তাদের ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে আরিফ ছাড়া সবাইকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যালে রেফার করা হয়।

অভিযোগে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ভংগারচর গ্রামের মৃত শফিউল আযমের ছেলে ও মেয়েরা ঘুরতে বেড়িয়ে ভংগারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে ডুমুরিয়া রাস্তায় বসে বসে গল্প করছিল। এ সময় কিছু বখাটে যুবক পাশে বসে অশালীন ভাষায় তাদেরকে উত্যক্ত করতে থাকে। এ সময় তারা বখাটেদের দূরে যেতে বললে, তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মোবাইলে এলাকার একটি সংগঠনের প্রায় ১৫-২০ জনকে ডেকে আনে। প্রথমে ভয়ে ওরা সবাই চলে আসে। কিন্তু  শুক্রবার সন্ধ্যায় হোমনা সদরের নসু মিয়ার ছেলে ও সফিউল আযমের নাতি মেহেদিকে না পেয়ে নসু মিয়ার স্ত্রী মেহেদীকে ডাকতে ডাকতে ফের সেখানে যায়। এরপর ডুমুরিয়ার লোকজনের সাথে কথা কাটাকাটি করতে থাকে। তখন ডুমুরিয়া গ্রামের বস্কর আলী উপস্থিত হয়ে তার ছেলে শরিফ ও জমসেরের ছেলে আল আমিনকে নির্দেশ দিলে ওই সংগঠনের বখাটেরা মহিলার ওপর হামলা চালায়। এ সময় খবর পেয়ে নসু মিয়ার স্যালকসহ পরিবারের লোকজন মুক্তাকে ও মেহেদীকে বাঁচাতে গিয়ে বখাটেদের রোসনলে পরে। বখাটে সন্ত্রাসীরা আরিফের ভূড়িতে টেটা দিয়ে গাই দিয়ে এবং মুক্তাকে মাথায় কোপ দিয়ে হত্যাচেষ্টা করে। তাদের বাচাঁতে গিয়ে এলোপাতারি কোপের আঘাতে সুজনের হাতের একটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং প্রত্যেকে মারাত্মকভাবে জখম হয়। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। এদের মধ্যে আরিফ ছাড়া সবাইকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যালে রেফার করা হয়।

এলাকাবাসী জানায়, ডুমুরিয়া গ্রামের বস্করের পরিবারের লোকজন প্রচণ্ড ভয়ানক ছিলো। আর সে কারণে তাদের এক ভাইকে গত কয়েক বছর পূর্বে এলাকাবাসী গুলি করে হত্যা করে। তাদের অত্যাচারে সে সময় মানুষ অতিষ্ঠ ছিলো।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হোমনা থানার ওসি (তদন্ত) কাজী নাজমুল হক বলেন, মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না। সন্ত্রাসীরা যত বড়
ক্ষমতাশীলই হক না কেনো তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসি’র মত বিনিময়

হোমনায় প্রতিবাদ করায় বখাটেদের হামলা, নারীসহ আহত ৭

আপডেট সময় ০২:৩৪:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০১৭
হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার হোমনায় বখাটেদের অশ্লীল আচরণের প্রতিবাদ করায় বখাটেদের হামলার শিকার হয়েছে একটি পরিবার। এ সময় বখাটে সন্ত্রাসীদের দেশীয় অস্ত্রের এলোপাতারি কোপের আঘাতে নারীসহ অন্তত সাতজন গুরুতর আহত হন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলা ভঙ্গাচর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এ বিষয়ে মো. সেলিম মিয়া বাদী হয়ে আজ শনিবার হোমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে বাদী পরিবারের অভিযোগ সন্ত্রাসীরা মামলার পরও প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে।

আহতরা হলেন- হোমনা সদরের মো. নসু মিয়ার স্ত্রী খাদিজা আযম মুক্তা (৩২), তার ছেলে মেহেদী হাসান (১৬), ভংগারচর গ্রামের মৃত শফিউল আযমের ছেলে মো. সুমন মিয়া (২৮), সুজন মিয়া (২৪), সেলিম মিয়া (৩০), রহিমা আযম সিমা ও হাবিবুর রহমানের ছেলে আরিফ (১৬)। তাদের ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে আরিফ ছাড়া সবাইকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যালে রেফার করা হয়।

অভিযোগে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ভংগারচর গ্রামের মৃত শফিউল আযমের ছেলে ও মেয়েরা ঘুরতে বেড়িয়ে ভংগারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে ডুমুরিয়া রাস্তায় বসে বসে গল্প করছিল। এ সময় কিছু বখাটে যুবক পাশে বসে অশালীন ভাষায় তাদেরকে উত্যক্ত করতে থাকে। এ সময় তারা বখাটেদের দূরে যেতে বললে, তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মোবাইলে এলাকার একটি সংগঠনের প্রায় ১৫-২০ জনকে ডেকে আনে। প্রথমে ভয়ে ওরা সবাই চলে আসে। কিন্তু  শুক্রবার সন্ধ্যায় হোমনা সদরের নসু মিয়ার ছেলে ও সফিউল আযমের নাতি মেহেদিকে না পেয়ে নসু মিয়ার স্ত্রী মেহেদীকে ডাকতে ডাকতে ফের সেখানে যায়। এরপর ডুমুরিয়ার লোকজনের সাথে কথা কাটাকাটি করতে থাকে। তখন ডুমুরিয়া গ্রামের বস্কর আলী উপস্থিত হয়ে তার ছেলে শরিফ ও জমসেরের ছেলে আল আমিনকে নির্দেশ দিলে ওই সংগঠনের বখাটেরা মহিলার ওপর হামলা চালায়। এ সময় খবর পেয়ে নসু মিয়ার স্যালকসহ পরিবারের লোকজন মুক্তাকে ও মেহেদীকে বাঁচাতে গিয়ে বখাটেদের রোসনলে পরে। বখাটে সন্ত্রাসীরা আরিফের ভূড়িতে টেটা দিয়ে গাই দিয়ে এবং মুক্তাকে মাথায় কোপ দিয়ে হত্যাচেষ্টা করে। তাদের বাচাঁতে গিয়ে এলোপাতারি কোপের আঘাতে সুজনের হাতের একটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং প্রত্যেকে মারাত্মকভাবে জখম হয়। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। এদের মধ্যে আরিফ ছাড়া সবাইকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যালে রেফার করা হয়।

এলাকাবাসী জানায়, ডুমুরিয়া গ্রামের বস্করের পরিবারের লোকজন প্রচণ্ড ভয়ানক ছিলো। আর সে কারণে তাদের এক ভাইকে গত কয়েক বছর পূর্বে এলাকাবাসী গুলি করে হত্যা করে। তাদের অত্যাচারে সে সময় মানুষ অতিষ্ঠ ছিলো।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হোমনা থানার ওসি (তদন্ত) কাজী নাজমুল হক বলেন, মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না। সন্ত্রাসীরা যত বড়
ক্ষমতাশীলই হক না কেনো তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে।